তালেবান হামলায় আহত পাকিস্তানের নারীশিক্ষা আন্দোলন কর্মী মালালা ইউসুফজাই সোমবার প্রথম এক ভিডিও বার্তায় জনসম্মুখে কথা বলেছেন।
এর মধ্য দিয়ে বার্মিংহামে মাথার খুলির জটিল অস্ত্রোপচারের পর সুস্থতাই জানান দিলেন তিনি।
মৃত্যুর মুখ থেকে নতুন জীবন ফিরে পাওয়ায় শুকরিয়া আদায় করে মালালা বলেন, আল্লাহ আমাকে এ ‘দ্বিতীয় জীবন’ দিয়েছেন।
বিশ্বব্যাপী যাদের দোয়া এবং ভালোবাসায় এ জীবন পেয়েছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদও জানান মালালা।
“অাজ অাপনারা দেখছেন আমি বেঁচে আছি।কথা বলতে পারছি। আমি আপনাদেরকে দেখতে পাচ্ছি। আমি সবাইকেই দেখতে পাচ্ছি। দিন দিন সুস্থ হয়ে উঠছি আমি।এটা কেবলমাত্র সবার দোয়ায়। নারী, শিশু থেকে শুরু করে নির্বিশেষে সবাই আমার জন্য দোয়া করেছে।আর সে কারণেই আল্লাহ আমাকে নতুন জীবন দিয়েছেন,” সোমবার প্রকাশিত সংক্ষিপ্ত এক ভিডিওতে বলেন মালালা।
তিনি আরো বলেন, “আমি কাজ করে যেতে চাই জনগণের জন্য। আর চাই প্রতিটি নারী, প্রতিটি শিশু শিক্ষিত হয়ে উঠুক।” নারীশিক্ষার জন্য ‘মালালা তহবিল’ চালুরও ঘোষণা দেন তিনি।
১৫ বছর বয়সের এই কিশোরী গত ৯ অক্টোবর পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় দুই সহপাঠীসহ তালেবানের গুলিতে আহত হন।
উন্নত চিকিত্সার জন্য তাকে যুক্তরাজ্যের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে নেয়ার আগে পাকিস্তানেই তার মাথায় বিদ্ধ বুলেট অস্ত্রোপচার করে বের করা হয়।
এরপর বার্মিংহামে কয়েক সপ্তাহের বিশেষ চিকিৎসার পর জানুয়ারিতে তাকে কুইন এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।
এরপর তার মাথার খুলির ক্ষত সারাতে ওই হাসপাতালেই গত শনিবার দুটো অস্ত্রোপচার করা হয়।প্রথম পর্যায়ের অস্ত্রোপচারে মালালার খুলির ক্ষতস্থানে ধাতব পাত বসানো হয়।২য় পর্যায়ে বসানো হয় একটি শ্রবণ যন্ত্র।
শনিবার ৫ ঘণ্টার ওই অস্ত্রোপচারের পর মালালা সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানান হাসপাতালের এক মুখপাত্র।
মেয়েদের শিক্ষার অধিকারের জন্য প্রচার চালানোর কারণে গত বছর অক্টোবরে মালালকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে পাকিস্তানি তলেবানরা।এর পর থেকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মালালার নামটি আলোচিত হচ্ছে।
নারীশিক্ষা নিয়ে তালেবানদের বিরোধী অবস্থান এবং চরমপন্থিবিরোধী শক্তিগুলোর প্রতীকে পরিণত হয়েছেন মালালা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


