ঘটনাটা রেড ইন্ডিয়েনদের। তাদের প্রবীন নেতা মারা গেছেন, যার ছিল আধ্যাত্মিক শক্তি। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন নতুন নেতা, যার তেমন ক্ষমতা ছিল না।
শরতের শেষে রেড ইন্ডিয়ানরা দলে দলে এলো নতুন নেতার কাছে – জনাব, এবার শীত কেমন পড়বে?
মানে?
প্রত্যেক বছর এ সময়ে আমাদের সাবেক নেতা আমাদের ডেকে বলতেন এ বছর শীত কেমন পড়বে, তার কথা অনুযাইয়ী আমরা কাঠ কেটে সংগ্রহ করতাম। তাই জিজ্ঞাস করছি।
নতুন নেতা খানিক ভেবে বললেন, মোটামুটি শীত পড়বে, তোমরা মাঝারি পরিমাণ কাঠ সংগ্রহ কোরো।
সে অনুযায়ী রেড ইন্ডিয়ানরা কাঠ সংগ্রহ করতে লাগলো।
ক’দিন পর নতুন নেতার মাথায় ছিন্তা এল, হঠাৎ করে যদি বেশি শীত পড়ে তখন যদি কাঠ কম পড়ে...! তিনি আবার সবাইকে ডেকে বললেন, যা জোগার করেছ তার চেয়েও খানিক বেশী করো, শীত মনে হয় খারাপ পড়বেনা।
এরও কয়েকদিন পর তার মনে হল শীত যদি আরও বেশি পড়ে তাহলে তো সর্বনাশ হবে! প্রথম বছরেই না আবার মানুষ শীতে মরে যায়। তিনি ঠিক করলেন টেলিভিশনে আবহাওয়ার পুর্বাভাস দেখবেন। তাই করলেন। টিভিতে বলল, এ বছর বেশ শীত পড়বে।
তিনি তখন আবার সবাইকে ডেকে বললেন, যতটা কাঠ কেটেছ, তার পরিমাণ আরো বাড়িয়ে দাও, শীত ভালই পড়বে। তাই রেড ইন্ডিয়ানরা কাঠ কাটার পরিমাণ বাড়িয়ে দিল।
তিনি কয়েকদিন পর আবার টেলিভিশনে আবহাওয়ার পুর্বাভাস দেখলেন - বলা হচ্ছে, এবার শীত পড়বে স্মরনকালের মধ্যে ভয়াবহতম। নেতা খুবই চিন্তিত হলেন। তিনি কাঠ কাটার জন্য টাস্কফর্স গঠন করলেন। তুমুলভাবে কাঠ কাটা চললো।
তারপর নেতা আবার টেলিভিশনে আবহাওয়ার পুর্বাভাস দেখতে বসলেন। সিএনএন সব খবর বন্ধ করে দিয়ে, শুধু আবহাওয়ার খবর দিচ্ছে। এবার খুব বেশী শীত পড়বে, বিমানবন্দর গুলো বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাব পড়বে। কত কিছুই আলচনা হচ্ছে টিভিতে।
তিনি তখন সিএনএন-এর প্রধানকে ফোন করলেন। ভাই, এবার শীত আসলে কেমন পড়বে?
ভয়াবহ।
কত ভয়াবহ?
এত শীত গত একশ বছরে পড়ে নাই।
আপনারা কিভাবে এতটা নিশ্চিত হচ্ছেন যে শীত এবার এতটাই পড়বে।
আপনি জানেন না, রেড ইন্ডিয়ানরা এবার পাগলের মত কাঠ সংগ্রহ করছে। তাদের কাঠ কাটার পরিমাণ দেখেই তো আমরা সবসময়ে শীতের পুর্বাভাস দেই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




