শিরোনামহীন
আমাদের ভবিষ্যৎ গুলো বসেছিলো বৃত্তাকারে ।তাদের অঙ্গভঙ্গি দেখে চেনা যাচ্ছিলো [এই যেমন মাথা অনবরত নেড়ে কথা বলছিলাম আমি,জল খানিকটা হেলে বসেছিলো আর দুলছিলো।আর সে কিছুন পরপর আকাশের দিকে তাকাচ্ছিলো...(তার তাকাবার পেছনে লুকায়িত একটি মিথ জাত আশংকা সে দূর অতীত আর ভবিষ্যতের সীমা অতিক্রম করে আবাবিল পাখির জন্য প্রতীক্ষা করে -যাদের দুপায়ের নুড়ি দ্বারা সূচিত সরল সকাল )এবং অন্যদের ভঙ্গিমার জন্য ] দূব থেকে শুনতে পাচ্ছিলাম আমাদের কোলাহল
।দেখলাম আমি কাক হয়ে গেছি –অনবরত মাথা নাড়ছি,কেউ শকুন , সে শুধু হয়ে গেল লাভবার্ড(এক কমলা দুপুরে যে পাখির নাম দিয়েছিলাম মেঘবতী,সাদা পাখিটার বুকে নীল ছোপ ছোপ। একজন আঁকিয়ে বন্ধু বলেছিলো এই রংটার নাম ’মভ ব্লু’) আমাদের আঁকিয়ে বন্ধুর শব পড়েছিলো আমরা উড়েগিয়ে তার শরীরে বসলাম । খুবলে খুবলে সমস্ত মাংস তুলে নিলাম.. তারপর কবিতার খাতার পৃষ্ঠা ছিঁড়ে মুড়ে নিলাম এবং যে যার মত চলে গেলাম । মনে পড়ে গেল আঁকিয়ে বন্ধুর ’হাত’ আর ’চোখ’ বড্ড লোভ ছিলো আমার । ক্লান্ত ছিলাম আর ফিরে গেলাম না । আমি বুঝতে পারছিলাম মোড়কের গায়ে কবিতা আমার ভবিষ্যৎকে অভিশাপ দিচ্ছে । উপেক্ষাকরলাম ।
পুনশ্চ ঃ আরও ভবিষ্যতে কবিতার সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতার অনুশোচনায় আমি আত্মহত্যা করলাম ।্
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:২৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



