somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

Paulo Coelho এর adultery (পরকীয়া)

২০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৩:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(১৩)
পেছনের লম্বা রাস্তা দিয়ে গাড়ীতে গেলাম,ফেলে আসা মানসিক হাসপাতালটা তখনও দেখা যাচ্ছিল,হয়তো আমার ওখানেই যাওয়া উচিত ছিল।ছেলেমেয়েরা ঘুমোতে যাওয়ার পর,স্বামীকে জিজ্ঞাসা করলাম,আমরা সবাই কি এ ধরণের মানুষ?
‘কি ধরণের,কি বলতে চাচ্ছ,ঠিক বুঝলাম না’?
আমরা আনন্দে ছুটে যাই একেক সময়,আবার দুঃখে ভেসে যাই আরেক সময়।
‘হয়তো তাই।আত্মসংযমের অভ্যাস করি,চেষ্টা করি যেন লুকানো দানবটা কোনভাবেই বের না হয়ে আসে’।
এটাই সত্যি।
‘আমরা কেউই হতে পারিনা আমাদের আকাঙ্খিত মানুষটা।পারিপার্শকতা,সময়-যে দিকে যে ভাবে ঠেলে দেয়,আমরা হয়ে দাঁড়াই সেই মানুষটা।বাবা মা এর ইচ্ছার ফসল,পারিপার্শকতার ধাক্কায় অন্য আরেকজন কাউকে হতাশ করতে চাই না;আমরা চাই সকলের পচ্ছন্দের মানুষটা হতে।এভাবেই মেরে ফেলি নিজেদের,স্বপ্নের মানুষটা হয়ে যায় দুঃস্বপ্নের দানব,হয়ে যায় অজানা একটা চরিত্র’।

মনে পড়লো মনোবিজ্ঞানে এটাকে বলে, ‘manic-depressive psychosis’,কিন্ত এখন এটার নতুন নাম, ‘bipolar disorder’।কোথা থেকে এই নামটা আসলো?উত্তর আর দক্ষিন মেরুর মধ্যে কোন পার্থক্য কি নাই?এটা হয়তো সংখ্যালঘুদের…।
‘অবশ্যই ঐ ধরণের মানুষ আছে দুদিকেই,যারা মন্তব্য করে,তারা তো সংখ্যালঘুদের দলেই।তবে কোন সন্দেহ নাই যে আমাদের সকলের মধ্যেই লুকোনো আছে একটা দানব’।

একদিকে আমি সেই শয়তান যে ভার্সিটির ক্যাম্পাসে গিয়ে একজন নিরীহ মানুষকে বিপদে
ফেলার চেষ্টা করছে,আবার আমিই মা,গৃহিনী যে সংসারের সবাইকে আনন্দে রাখার চেষ্টা করছে।
‘মনে পড়ে,Jekyll আর Hyde এর গল্পটা’?
বোঝাই যাচ্ছে শুধু Frankenstein ই একমাত্র বই না,যা ছাপা বন্ধ হয়নি লেখার পর,Robert Louis Stevenson এর The Strange Case of Dr.Jekyll and Mr.Hyde
ঐ দলেরই আরেকটা লেখা,শোনা যায় মাত্র তিনদিনে নাকি লেখা।

গল্পটা উনবিংশ শতাব্দীর লন্ডনের,একজন ডাক্তার,বিজ্ঞানী Henry Jekyll নিয়ে,যে প্রমান করতে চায় দানব মানুষ আছে প্রতিটা মানুষের মধ্যে।কথাটা শুনে তার বাবা,এমন কি তার বান্ধবী বিট্রিসও বেশ ঠাট্টা করলো তাকে নিয়ে।যাক,অনেক গবেষনার পর সে একটা ঔষুধ আবিষ্কার করলো,আর অন্য কারও জীবনে বিপদ না এনে সে নিজের উপরেই প্রয়োগ করলো ঔষুধটা।

ঔষুধের প্রক্রিয়ায় আবির্ভাব হলো লুকোনো দানব,যার নাম সে দিল-Mr.Hyde।
Jekyll এর বিশ্বাস ছিল ঐ দানবকে আয়ত্বে আনতে তার কোন অসুবিধা হবে না,কিন্ত সেটা তার বোঝার সম্পূর্ন ভুল।আমরা যখন আমাদের অন্ধকার দিক টেনে আনি,সেটা ঠেলে দেয় আলোর রাজ্যটাকে অনেক দূরে।

হয়তো এ কথা সকলের জন্যেই প্রযোজ্য,এ ভাবেই জন্ম সব অত্যাচারী শাসকদের।সবাই ভাবে তাদের সবাই মানুষের উপকারের জন্য কাজ করে যাচ্ছে,আর তার জন্যে যে পদ্ধতি তারা খুঁজে নেয়, সেটা হয়ে যায়, ‘ত্রাসের দেশ’।

আমি কিছুটা বিভ্রান্ত এই প্রশ্নে,এই আলো অন্ধকারের লুকোচুরি কি আছে সকলের মধ্যেই?
‘সবাই আছে এই দলে,শুধু কয়েকজনের মধ্যেই এই চিন্তাধারা ছড়ানো,না’।

জানি না,এই সংখ্যালঘুর দল বলতে খুব একটা ছোট্ট দলের কথা বলা যায় না,এ একটা ঘটনা মনে পড়লো স্কুল জীবনের।আমাদের একজন টিচার,আমাদের চোখে পৃথিবীর সবচেয়ে ভাল মানুষ,হঠাৎ বদলে গেল মানুষটা,দেখা দিল অস্বাভাবিক ভয়ংকর নতুন এক চেহারা।সব ছাত্ররাই ভঁয়ে ভঁয়ে থাকতো-কারও কিছু বলার সাহস ছিল না,হঠাৎ কখন ছুটে আসবে ভয়াবহ নতুন মানুষটা।কারও অভিযোগ করার কোন সাহস ছিল না,কেননা ছাত্ররা যতই যাই বলুক শিক্ষকেরা সব সময় ঠিক।সবাই ভাবলো,হয়তো বাড়ীর সাময়িক কোন সমস্যা নিয়ে বেশ বেসামাল হয়ে আছে মাষ্টার মশাই,সেটার সমাধান হলেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।তবে যা ঘটলো সেটা ছিল অবিশ্বাস্য একজন ছাত্রকে মারধর করার,অভিযোগ গেল স্কুল বোর্ডের কাছে,আর বরখাস্ত হলো আমাদের সেই টিচার।

আজও আমি আবেগপ্রবন লোকজনদের খুব ভঁয় করি।
‘অলস মনের,হাজারো অযথার চিন্তা,ও ছাড়া আর কি বলবো’?

হ্যা,দুটো খেতে পায় যেন সবাই আর যারা ষোড়শ লুইএর অত্যাচার থেকে ফ্রান্সকে উদ্ধারের চেষ্টা করে,ঐ মেয়েরা যারা বিচার চাইতো দোষীদের,অত্যাচারের দিনগুলোতে গিলোটিনের প্রথম সারিতে বসে সেলাইও করতো তারাই।

‘তোমার মানসিক শক্তি অনেক বেশী,আমার খুবি অবাক লাগতো।এ জন্যেই মনের কথাগুলো ঠিকমত বলতে পারিনি অনেকসময়-যাতে কোন দূর্বলতা প্রকাশ না পায়’।
কি বলার ইচ্ছা ছিল আমার স্বামীর,আর কি বললো,তবে আলাপ শেষ তখন,এক পাশে সরে সে ঘুমের দেশে।
আর আমি একা,মনের ‘শক্তি’ জড় করে ছাদের দিকে তাকিয়ে আছি।

যা ছিল কল্পনার বাইরে ঠিক সেটাই করলাম সপ্তাহখানেক পরে,গেলাম এক মানসিক চিকিৎসকের কাছে।অ্যাপয়ন্টমেন্ট করে রাখলাম আরও তিনজন ভিন্ন ডাক্তারের কাছে।
সবাই ব্যাস্ততায় এতই ঠাঁসা যে অ্যাপয়ন্টমেন্ট পাওয়াটা বেশ দুষ্কর।বোঝা যাচ্ছে জেনেভায় মানসিকভাবে অসুস্থ লোকের সংখ্যা বেশ ভালই।

চেষ্টা করলাম দেখা করতে খুব জরুরী ভাবে,তবে সেক্রেটারীরা মাফ চেয়ে বললো,অন্য রুগীদের অ্যাপয়ন্টমেন্ট তো যা আছে সেটা তো আর সরানো সম্ভব না।
বাধ্য হয়ে আমার কাজের কথা বললাম, ‘নামকরা খবরের কাগজ,সাংবাদিক’,এই কথাগুলো অনেকটা যাদুর মতই কাজ করে,আর কিছু বলতে হয়নি, অ্যাপয়ন্টমেন্ট পেতে আর কষ্ট হয়নি।

বাড়িতে,কাজে কাউকে কিছুই বলিনি,স্বামীকে বা সম্পাদক কাউকে না।প্রথম যে মানসিক ডাক্তারের কাছে গেলাম,লোকটা বেশ অদ্ভুত,লন্ডন থেকে আসা,ব্রিটিশ উচ্চারনে বেশ বোঝা যাছিল,আর কোন সুইস জাতীয় ইনস্যুরেন্স নিবে না,হয়তো অবৈধ ভাবে সুইজারল্যান্ডে প্র্যাক্টিস করছে।

আমার সমস্য্যাগুলো জানালাম,এমন কি ‘ফ্রাঙ্কেনষ্টাইন আর তার দানব,ডাক্তার জেকাইল,মিষ্টার হাইডের’, উদহারণ দিয়ে সমস্যাগুলো ভালভাবে বিশ্লেষণ করতেও ছাড়িনি,মনের দানবটাকে কি ভাবে সংযমে আনতে পারি?আরও বিস্তারিত জানতে চাইলো সাইকোলোজিষ্ট,তবে ওর চেয়ে বেশী কিছু আর বলা সম্ভব ছিল না।

কিছু মিথ্যা কথাও বললামঃস্বামীকে ঘুমের মধ্যে খুন করার চিন্তা প্রায়ই আসে মাথায়।ডাক্তার জিজ্ঞাসা করলো,আমাদের কারও কি কোন প্রেমিক আছে,আমি
উত্তর দিলাম, ‘না’।ডাক্তার বললো অবস্থাটা বুঝতে তার কোন কষ্ট হচ্ছে না,তবে এমন হওয়াটা খুব একটা অস্বাভাবিক কিছু না।সপ্তাহে ডাক্তারের সাথে তিনটা সেশন নিলে,মাসখানেকের মধ্যেই ও ধরনের চিন্তা মাথা থেকে অর্ধেক সরে যাবে।শুনে আমি অবাক!এর আগে আমি যদি আমার স্বামীকে মেরে ফেলি?সাইকোলোজিষ্ট উত্তর দিল,যা কিছু ঘটছে ও আর কিছু না ‘আমি আমার পুরানো স্বপ্ন খুঁজে বেড়াচ্ছি’,আর ‘কল্পনার ফান্টুসে’,ভেসে বেড়াচ্ছি,যারা খুন করতে চায় তারা কি আর ডাক্তারের কাছে যায়?

যাকগে,২৫০ সুইস ফ্র্যাঙ্ক দিয়ে ফিরে গেলাম,পরমার্শের জন্য অন্যান্য সেশনের অ্যাপয়ন্টমেন্ট করার ইচ্ছা ছিল না,আর।দ্বিতীয় সাইকোলোজিষ্ট একজন মহিলা,সুইস ইনস্যুরেন্স নেয়,ধৈর্য ধরে আমার কথাগুলো শুনলো।স্বামীকে খুন করার আবার বললাম তাকেও।ডাক্তার হেসে বললো, ‘আমিও তো প্রায়ই আমার স্বামীকে খুন করার কথা ভাবি,তবে সব মেয়েরা যারা স্বামীকে খুন করতে চায়,যদি সত্যি সত্যিই খুন করতো,পৃথিবীর সব ছেলেমেয়েরা হতো বাবা ছাড়া।বুঝতেই পারছেন এ ধরণের ইচ্ছা সব বৌদের মনে কোন না কোন সময়ে আসেই’।
একেবারে সাধারণ চিন্তা,কল্পনা?
অনেক আলাপ আলোচনার পর,মহিলা সাইকোলোজিষ্ট আমাকে বুঝিয়ে বললো, ‘হয়তো সংসারে আপনার মতামত কেউ শোনেনা,তাই নিজেকে বেশ অসহায় ভাবছেন’।এটাও বললো ডাক্তার,যৌনসঙ্গমের অভাবও হতে পারে, ‘মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করে দিচ্ছে’।কাগজে কটা ওষুধ লিখে দিয়ে বললো,ওষুধ খাওয়ার মাসখানেকের মধ্যে মোটামুটি সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

যত দিন আমি ওষুধ খাবো!তবে কতদিন খাব ওষুধ?
‘ওটা নির্ভর করে ব্যাক্তির উপরে।তবে বছর তিনের মধ্যে ওষুধের মাত্রা কমে যাবে’।
ইনস্যুরেন্সের একটা সমস্যা,বিলটা সব সময় বাড়ীতে পাঠানো হয়,সব কিছু চিন্তা করে নিজেই টাকা দিয়ে ঠিক করলাম আর ফিরে যাব না।

তৃতীয় সাইকোলোজিষ্ট পুরুষ,চেম্বারের বহরটা দেখার মত।আর দুজন ডাক্তারের মত অত অধৈর্যও না লোকটা,সবকিছু শুনে বললো,কোন সন্দেহ নাই আমি যে কোন সময় খুন করতে পারি।একটা দানব আমার মনের খাঁচা থেকে বের হয়ে ছুটে,যে কোন সময় কোন কিছু একটা ঘটে যেতে পারে।

বেশ সর্তকের সাথে সাইকোলোজিষ্ট জিজ্ঞাসা করলো,আমি কি ড্রাগ ব্যাবহার করি?
বললাম,একবার।
লোকটা বিশ্বাস করলো না,বিষয় বদলে অন্য কথা বলা আরম্ভ করলো।আমরা আলোচনা করলাম প্রতিদিনের জীবন যুদ্ধের গল্প,তারপর আবার ড্রাগের প্রশ্ন।

‘আমার উপরে আপনি ভরসা রাখতে পারেন নিশ্চিন্তে,এ আলাপ আলোচনা ডাক্তার রুগীর
গোপনীয়তায় রক্ষিত।এটা তো জানাই কেউ ড্রাগ মাত্র একবার কোনদিন ব্যাবহার করে না।আর আপনার এর পরের অ্যাপয়ন্টমেন্ট করার আগে ওটা বললেই ভাল।আপনাকে যেমন আমার উপর বিশ্বাস রাখতে হবে ডাক্তার হিসাবে,আমাকেও বিশ্বাস রাখতে হবে রোগীর উপরে।এ ভাবেই সমস্যার সমাধান হয়’।

জানি না,কি বলবো?আমি সত্যি সত্যিই ড্রাগ ব্যাবহার করি না।নিয়ম পদ্ধতই আমার জানা আছে,আমি তো এখানে মিথ্যা কথা বলতে আসিনি।আমি শুধু আমার সমস্যার সমাধান করতে চাই,কারও কোন ক্ষতি করার আগে।

মুখে দাঁড়ি,সুন্দর চেহারার লোকটা মাথা নেড়ে বললো, ‘আপনার মধ্যে জমা হয়ে বছর বছরের হতাশা আর আপনি সেটা রাতারাতি সরাতে চাচ্ছেন?মানসিক চিকিৎসায় বা মানসিক বিশ্লেষনে সেটা সম্ভব হবে না।আমরা তো আর যাদুকর না যে মুখ ঘুরাতেই সব দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যাবে’।
আর যাই হোক এটুকু বুঝলাম,মানসিক চিকিৎসা আমার জন্যে না।


লাটিন ভাষায়, ‘টেনেব্রাস লাক্স’,আঁধার সরিয়ে আসে আলোর সুর।

শহরের পুরানো দেয়ালটার পাশে দাঁড়িয়ে,প্রায় ১০০ মিটার লম্বা,পাশে চারটা বিরাট মূর্তি সাথে আরও ছোট্ট দুটা মূর্তি।একটা মূর্তির মাথাটা ঢাকা,বিরাট লম্বা দাঁড়ি,হাতে একটা বাইবেল,একসময়ে ছিল অস্ত্রের চেয়েও শক্তিশালী।

মাঝের লম্বা মুর্তিটা গালভিনের,যদি তার জন্ম হতো এখন,তা হলে ক্যাথলিকরা শুধু ফ্রান্সে না সারা পৃথিবীতে তাকে বলতো,সন্ত্রাসী।নিজের বিশ্বাসকে সারা পৃথিবীর বিশ্বাস করার জন্যে সে ছিল সন্ত্রাসী ওসামা বিন লাদেনের চেয়ে কম কিছু না।দুজনের ছিল একই ইচ্ছা ধর্ম রাজ্য প্রতিষ্ঠা-আর অবিশ্বাসীদের দেখানো বিধাতার শাস্তি কত ভয়ংকর।দুজনই সন্ত্রাসের যত পদ্ধতি জানা,কোনটাই অবলম্বন করতে ছাড়েনি তারা।

নিজের মতামত প্রতিষ্ঠা করার জন্যে গালভিনের লোকের হাতে শত শত লোক খুন হয় জেনেভার এখান থেকে খুব একটা বেশী দূরে না।ক্যাথলিকরা যাদের মনে প্রশ্ন ছিল,বিজ্ঞানীরা যারা অসুখের চিকিৎসায় বাইবেলের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করতে দ্বিধা করেনি,কেউ বাদ যায়নি।
বিজ্ঞানী মাইকেল সারভেটাস,যার আবিষ্কার হার্ট থেকে ফুসফুসে রক্ত সঞ্চালনের কথা,সেটা তো ছিল বাইবেলের বিশ্বাসের বিপক্ষে,ধর্মের স্বীকার হলো,সে।

যদি কেউ বলে ধর্মের নামে অত্যাচার করা হচ্ছে,
তবে তারাও দোষী।এখানে মানুষের বলার,প্রতিবাদ
করার কিছু নাই,এটা বিধাতার বিচার,যা হয় সব তারই
আদেশে।আর মানুষেরা যারা শুধু খ্যাতির জন্যে
ধর্মের কথা,বিধাতার কথাকে ব্যাঙ্গ করে,সেই
মহাশক্তিমানকে অবমাননা করে,তার শাস্তি একটাই।

মৃত্যু,ধ্বংস,অত্যাচার শুধু জেনেভাতে থেমে থাকেনি;জন কালভিনের অনুসারীরা যারা তার পাশে মূর্তি হয়ে দাঁড়ানো,ঐ অত্যাচার আর ভাষা সারা ইউরোপে নিয়ে গেল।১৫৬৬ সালে
হল্যান্ডে অনেক গির্জা ধ্বংস হয়,খুন হয় অনেক মানুষ,যারা গালভিনের ভাষায় অবিশ্বাসী।
অনেক নাম করা শিল্পীর ছবিও আগুনে পোড়ানো হয়,শুধু ধর্মের নামে।

আর এখন স্কুলের ছেলেরা গালভিনের জীবনী পড়ে-মহাপুরুষ জন কালভিনের,এমন একজন মানুষ যে ধর্মের অন্ধত্ব থেকে মুক্তি দিয়ে আমাদের দেখালো এই নতুন পৃথিবির চেহারা দেখালো।আমাদের প্রজন্ম অবাক হয়ে তাকায় ঐ মানুষটার যেন স্বাধীন আকাশে মশাল দিয়ে আলো ছড়াচ্ছে।
আধার সরিয়ে ছুটে আসে আলো,নাকি আকো সরিয়ে আসে আঁধার!
০০০০০০০০০
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৩:০৬
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×