somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

Paulo Coelho এর adultery (পরকীয়া)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৩:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(১৫)

শীতের হাল্কা একটু আঁচড়,তবু খুব একটা অসুবিধা হচ্ছিল না,বললাম দিনটা ছোট হয়ে আসছে,এর পরে দেখা করলে যেন বেলা পড়ে যাওয়ার আগে দেখা করি,তাতে সব কিছু মানিয়ে নেয়ার একটা সূযোগ থাকবে।মাথা নেড়ে সম্মতি দিয়ে জেকব,তাড়াহুড়া করে ঠোঁটে হাল্কা একটা চুমু দিল এমন ভাবে যাতে কারও চোখে না পড়ে।

‘জান,শরতের দিনগুলো আমার খুবই অপচ্ছন্দের,মিষ্টি রোদে ভঁরে থাকা সারাটা দিন।
অফিসের জানালার পর্দা সরালেই দেখি রাস্তায় হাতধরা হাতে হেঁটে যাচ্ছে লোকজন,কোন চিন্তা নাই,হাসি ভঁরা মুখ।আর আমার সাহস হয় না,হয় নি,ভালবাসার মানুষটার হাত ধরে স্বছন্দে ঘুরে বেড়াতে’।

ভালবাসা?কিউবান ওঝা সহানুভুতিতে আমার জন্যে ঐশ্বরিক শক্তির কাছে কোন সাহায্য জোগাড় করলো নাকি কে জানে?ওঝার সাথে দেখা করার সময় তেমন কিছু একটা ভাবিনি,কোন ভাবনা যে মনে দোলা দেয় নি,তা না-কোন ভাবে জেকবের কাছাকাছি পৌছানোর দুরন্ত একটা ইচ্ছা অবশ্যই ছিল মনের সুপ্ত পায়াট।মনটা আনন্দে ছুটে বেড়াচ্ছিল বাতাসের দোলায়,জানার ইচ্ছাও ছিল না,হঠাৎ কেন সব কিছু বদলে যাচ্ছে আমার পচ্ছন্দমত।

‘এমন না যে অন্য কারও ভালবাসার হাসি মুখ দেখে আমার ঈর্ষা হয়,এটুকু জানতে ইচ্ছে করে ঐ মানসিক স্বচ্ছন্দের সুখ কেন খুঁজে পাইনি আমি আজও’?জেকব ইউরোতে বিলটা শোধ করলো,বর্ডার পার হয়ে হেঁটে আমরা গেলাম,রাস্তার ওপারে রাখা গাড়ীতে।
সুইজারল্যান্ড এলাকায়।

ভালবাসা দেখানোর সময় শেষ,গালে দু তিনটা চুমুর পর্ব তারপর আমরা,ফিরে গেলাম নিজেদের পথে।গাড়ী চালানোর শক্তিও ছিল না আমার তখন,লম্বা একটা স্কার্ফ গলায় দিয়ে এলোমেলো হেঁটে বেড়ালাম আশেপাশে,একপাশে একটা পোষ্ট অফিস,চুল কাটার দোকান।খোলা একটা বার,তবে ওখানে না ঢুকে বরং আশেপাশে হেঁটে বেড়ানোটাই ছিল আমার পচ্ছন্দের।

জানার ইচ্ছা ছিল না কি ঘটছে,শুধু একটাই চাওয়া ছিল কিছু একটা ঘটুক।জেকবের কথাগুলো মনের জানালায় ঘোরা ফেরা করছিল ঝড়ো বাতাসের মত,
‘সকালে অফিসের পর্দা সরালেই দেখি,হাত ধরাধরি করে লোকজন হেঁটে যাচ্ছে,কোন উদ্বেগ নেই সমাজ,সংসার নিয়ে,আর আমি আঁটকে আছি সংসার,সমাজের যাঁতাকলে’।

কেউ আমাকে বুঝতে পারছে না,কেউ জানে না কি ভাবে অজানা একটা ঝড় আমাকে এলোমেলো করে দিচ্ছে।ওঝাটারও জানা নেই,জানা নেই সাইকোলোজিষ্টের,এমন কি আমার স্বামীরও-জেকব,আমার স্বপ্নের রাজকুমার,নতুন চেহারায় যে দেখা দিলো আমার মনে…

এটাই একাকীত্ব।চারপাশে লোকজনে ভঁরা যারা আমাকে ভালবাসে,ভালটাই চায় হয়তো,তারাও আমার মতই একাকী,তারা জানে আমার যন্ত্রনাটা,এ জন্যেই হয়তো সবাই একই কথা বলে, ‘একাকীত্বে আমরা সবাই আমাদের সেই পুরোনো মানুষটা’।

যদিও চারপাশ জানান দিচ্ছে সব কিছুই আছে যথাযথ,তবু আমার অন্তর,আমার হ্রদয় কোন এক অজাণা যন্ত্রণায় শুধু এপাশ ওপাশ করছে।কেন এই অসহায় ভাব,কেন এই অভাবনীয় মানসিক যন্ত্রনা?আমি সকালে উঠি-উঠতে হয়,ছেলেমেয়েদের চাহিদা পূর্ন করি।ভুলে যাই না-স্বামী,প্রেমিক,কাজের মানুষ,সম্পাদক,লোকজনদের কথা,যারা আমার সাধারণ সময়টাকে অসাধারণ করে।

মুখ ভঁরা হাসি,আর মনে আশ্বাস নিয়ে আমি সাধারণ হয়ে ঘোরাফেরা করি,একাকীত্বের এই যন্ত্রনা আর কি অন্য কারও কাছে খুলে বলা যায়?যদিও ঐ একাকীত্ব আমাদেরকে ঘুন পোকার মত কুরে কুরে ফাঁকা করে দেয়,তবুও সবার সামনে নিজেকে তোঁ হাসি খুশী থাকতেই হবে।সকালে উঠে ধরে রাখতে হবে গোলাপের সুন্দর রুপটা,কাঁটার খোচায় নিজে যতই রক্তাক্ত হও না কেন?

অসহনীয় একাকীত্বেও চীৎকার করা যায় না, ‘বড়ই একা আমি,আমার একটা সঙ্গ দরকার।মনের ঐ দানবটাকে মেরে ফেলতে হবে আমাকে,যদিও অন্যান্য সবাই ভাবছে সবকিছুই আমার মন সাজানো ভুতুড়ে কাহিনী,বা অন্য কিছু একটা’।আমি অপেক্ষা করে আছি সেই বীর যোদ্ধার জন্যে,যে ছুটে আসবে কোন এক সময়,ঐ দানবকে মেরে আমাকে নিয়ে যাবে শান্তির দেশে,কোথায় সেই বীর যোদ্ধা?

বেঁচে আছি তবুও আশায়,নামতার মত একই ভাবে চলছে জীবনটা,বদল নেই,সাহসও নেই নতুন কিছু একটা করার।লুকোনো ছোট্ট কাঁটা ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে,হচ্ছে আরও যন্ত্রনাদায়ক,হতাশ হতে পারি না,তবুও বেঁচে থাকতে হবে,নতুন সূর্যের আলোর অপেক্ষায়।
অপেক্ষা করে আছে সবাই কি ঘটে না ঘটে দেখার আশায়,জীবন যে একটা দাবা খেলা।
আমরা ভান করি সব সময় প্রতিযোগীতাই আসল,জেতা হারাতে কি আসে যায়,কিন্ত লুকোনো একটা মুখ বলে, ‘আসলে কি তাই’?কারও আসল চেহারাটা কোন সময় দেখা যায় না,দেখা যায় মুখোশ পরা অন্য এক চেহারা…।

…আশ্বাসের আকাশ না খুঁজে,একাকীত্বের পুরোনো ঘা নিয়েই সাধারণ হয়ে থাকি আমরা,ছুটে বেড়াই অযথা,নিজেকে ভোলার আশায়।অনেক সময় হৈ চৈ করে মাতাল হয়েও পালাতে চাই নিজেদের থেকে,তবে কাছের যারা তাদের বুঝতে কষ্ট হয় না,কোথাও কিছু একটা গরমিল আছে।অনেক সময় তারা নিজেদেরকেই দোষী মনে করে,ভাবে কেন যে সময়মত মনোযোগ না দেয়ার জন্যেই এই বদল।কেউ কেউ জানতে চায় করে সমস্যাটা কোথায়, কিইবা বলার থাকতে পারে,আমরা বলে যাই,সব কিছুই ঠিক আছে…।

ক্লান্ত আমি,আমাকে একলা ছেড়ে দাও,কান্নাও ছেড়ে গেছে আমাকে,যন্ত্রনা উপলদ্ধি করার মত শক্তিও হারানো।ঘুম ছাড়া রাত্রি,শূন্যতা,আর হতাশায় ভঁরা আমার চারপাশ-নিজেকে জিজ্ঞাসা করে দেখ,হয়তো তুমিও আমার মত,লুকোনো চেহারার আরেক মানুষ।সবাই বলে এটা এমন কিছু না সময়ে কেটে যাবে সব কিছুই,তবে সাহস করে কেউ বলে না কথাটাঃএকাকীত্বের যন্ত্রনা।

তবুও আমরা খুঁজি স্বপ্নের সেই সাহসী যোদ্ধাকে যে মারবে লুকোনো দানবটাকে,কাঁটাকে উপেক্ষা করে,নীল গোলাপটা দেবে ভালবাসায়।অনেকে ভাবে এটা তো প্রাপ্যই আমাদেরঃ একাকীত্ব,অসুখী একটা মন।তারা ভাবে সব কিছুই আছে আমাদের আর নিঃস্ব তারা।

দুঃখী যারা খুঁজে পায় সান্তনা,অন্ধকার সরে যাওয়া আলো দেখে,যন্ত্রনার কান্নায় ভঁরে থাকা মনটা ভঁরে উঠে হাসিতে।স্বপ্নের যোদ্ধা,উদ্ধার করে যন্ত্রনার মানুষটাকে,সাথে আলো ছড়ানো হাসি।

(মিথ্যা বলতে হয়,ঠকাতে হয় মাঝে মাঝে,ওটাই তো বেঁচে থাকা,বদলে যাওয়া পৃথিবীর আসল চেহারা।এমন কে আছে,যার এক সময় মনে হয়নি,যে সব কিছু ছেড়ে ছুটে যাবে স্বপ্নের মানুষটার খোঁজে?খুঁজে নিতে স্বপ্নের সেই অজানা সুখের আকাশ,বিশেষ কিছু একটা,অনেক খেশারত দিতে হয় যে তার জন্য।কোন কোন দেশে স্বপ্ন সুখের মানুষটার জন্যে বরাদ্দ শাস্তি মৃত্যুদন্ড,আবার কোন দেশে শাস্তি এক ঘরে নির্বাসন।

মিথ্যা কথা বলে যাও,অনেকেই জেনে শুনে ভান করে সবকিছুই বিশ্বাস করার,কিন্ত অন্তরালে ঈর্ষায় ভঁরে আছে তাদের মন,আড়ালে হাজারো খারাপ কথা বলতেও দ্বিধা হয় না তাদের।
পুরুষ হলে না হয় অন্য কথা,তুমি পুরুষ না যে পরকীয়া প্রেমে জড়িত,যাকে সমাজ সহ্য
করে,অনেকে সম্মানও করে।একটা মেয়ে যে অন্য পুরুষের সাথে বিছানায় যেতে দ্বিধা
করেনি,একভাবে তার স্বামীকেও ঠকাচ্ছে,হতভাগা স্বামীরা চেষ্টা করে সরাতে বৌ এর যন্ত্রনা ভালবাসার জোয়ারে নানানভাবে…।

কিন্ত তুমি তো নিজে জানই তোমার স্বামী ঐ একাকীত্বকে একপাশে সরাতে পারেনি কখনও।
কিছু একটার অভাব ছিল তোমাদের মাঝে,তবে সেটা জানা ছিল না তোমারও।তুমি তো স্বামীকে ভালবাস,হারাতে চাও না তাকে।কিন্ত স্বপ্নের সেই যোদ্ধা টেনে নিয়ে যাচ্ছে তোমাকে এই গতানুগতিকতার যন্ত্রনা থেকে,ছুটে আসছে সে তোমার মনের লুকোনো দানবটাকে শেষ করতে,লোকে কি বললো না বললো তাতে কিইবা যায় আসে?

অবাক এবং দুঃখের কথা,তোমার স্বামী সবকিছু মেনে নিয়ে,তোমার এই পরকীয়ায় কোন অভিযোগ করেনি,ঝগড়া করেনি,চীৎকার করেনি,সবকিছুই যেন স্বাভাবিক তার কাছে।তোমার স্বামী বিশ্বাস করে,সময়ে সব কিছু কেটে যাবে,হয়তো তুমিও বিশ্বাস করো তাই,তবে এখন সেই দৃশ্যটা সোচ্চার হয়ে তোমার সামনে দাঁড়ানো।

এ ভাবেই চলে একমাস,দুইমাস,এক বছর…সবকিছুই সহনীয় হয়ে উঠে সকলের কাছে।এটা সম্মতি নেয়ার প্রশ্ন না,এক সময় তুমি নিজেই পরকীয়া প্রেম নিয়ে নোংরা মন্তব্য করতে,কিন্ত তুমি যখন নিজেই পরকীয়া জড়াও তখন একগাদা অজুহাত দিতে তোমার একটুও অসুবিধা হয়নি,এটাও বলতে দ্বিধা হয় না যে তোমার তো সুখী হওয়ার অধিকার আছে,সেটা কিছুটা সময়ের জন্যে হলেও,স্বপ্নের রাজকুমার সে তো স্বপ্নেই।ঐ দানবের মৃত্যু হয় না কখনও,তবুও কে না চায় জীবনে অন্তত একবার সেই স্বপ্নের দেশে যেতে।তারপর আসে সেই মূহুর্তটা,
না চাওয়া একটা সময়,ফেলে রাখা একপাশেঃএকসাথে সংসার চালানো,না খুঁজে নেয়া জীবনের নতুন একটা পথ।

ভঁয় থাকে মনে,না জানি কোথায় ভুল হলো,সিদ্ধান্তের ধরণটা যাই হোক না কেন।মনে হয় অন্য কেউ যেন বলে দিচ্ছে সিদ্ধান্তটা,ভঁয় হয় হয়তো হারাবে এ কুল ও কুল-দুই কুল।
কেন না আমরা কেউই তখন সেই পুরোনো একজন না,দুজন হয়তো বা আরও বেশী,এক চেহারার সাথে আরেক চেহারার কোন মিল নাই।জানা নেই পথটার শেষ কোথায়।সব কিছু বদলে যায় একজন,দুজন হয়তো বেশ কজনের যন্ত্রনার কারণ হয়ে দাঁড়ায় চারপাশটা।হয়তো যা হয় তোমার সারা জীবনটা তছনছ হয়ে যায়।)

চারপাশের গাড়ীঘোড়া ট্রাফিকে যেন অচল হয়ে গেছে,আধুনিকতার আরেক চেহারা যানজট,
সেটা আবার আজকের দিনে!জেনেভার,লোকসংখ্যা খুব বেশী হলে হয়তো লাখ দুয়েক,তবে গাড়ী ঘোড়া চলা দেখে মনে হয় এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শহর।হয়তো কিছু কিছু লোক আবার সেটা বিশ্বাসও করে,তাই বছরে বছরে নানান তথাকথিত ‘সম্মেলন’, হয় এখানে।যদিও সাধারণত শহরের বাইরে ঐ সব সম্মেলন আর ট্রাফিকে খুব একটা সমস্যাও হয় না সেটায়।যা হয় হেলিকপ্টার কটা দিনের জন্যে আকাশে দৌড়াদৌড়ি করে।

কি হলো আজকে,সব চেয়ে বড় রাস্তাটা কেন জানি বন্ধ হয়ে আছে।খবরের কাগজ পড়লেও শহরের খবরটা পড়া হয়নি,জানি পৃথিবির বড় বড় দেশের প্রতিনিধি প্রায়ই আসে,এখানে আনবিক শক্তির কথাবার্তা নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে এই ‘নিরপেক্ষ জায়গায়’।ওটা তো আমার ছোটখাট জীবনেও অনেক ঝড় আনে।বোকার মত নিজের গাড়ীটা না নিয়ে বাসে গেলেই ভাল করতাম,এই থমকে থাকার ধাক্কা থেকে তো বাঁচা যেত।

প্রতি বছর ইউরোপের লোকেরা প্রায় ৭ কোটি সুইস ফ্র্যাঙ্ক খরচ করে প্রাইভেট ডিটেকটিভদের জন্যে স্বামী না হয় স্ত্রীর পরকীয়া প্রেম উদঘাটন করার জন্য।অন্যান্য ব্যাবসাগুলো অর্থনীতির টানাপোড়েনে থাকলেও পরকীয়ার রহস্য উদঘাটনের ডিটেকটিভদের ব্যাবসা সবসময়ই জমজমাট।

শুধু ডিটেকটিভ না এমন কি নতুন নতুন নানান ধরণের ফোনের app,সময়মত প্রিয় বা প্রিয়ার সাথে যোগাযোগ সন্দেহ দূর করার জন্যে।হয়তো প্রেমিক তার প্রেমিকার সাথে চাদরের
নীচ শরীর খেলায় ব্যাস্ত,প্রেমের খেলায় হারানো,চিন্তার কোন কারণ নাই app আছে যা সময়মত সংসারের মানুষের কাছে ম্যাসেজ চলে যাবে, ‘অফিসের কাজে ব্যাস্ত,আসতে দেরী হবে’,ভাষার সমস্যাও নাই,নানান ভাষার ব্যাবস্থাও আছে।

তা ছাড়াও আছে হোটেলের ব্যাবসা,ঐ একান্তের প্রেমিকেদের জন্যে, ‘আমাদের app আছে যা হোটেলের রুমের চার্জ দেখা যাবে লাঞ্চ খাওয়ার বিল হিসাবে’।আমি তো এখন ঐ জগতেই।
সাতজন সুইস এর মধ্যে অন্ততঃ একজন পরকীয়া প্রেমে ব্যাস্ত,প্রায় চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার লোক একটা জায়গা খুঁজছে সম্পর্ক করার জন্যে।

ঘণ্টা আধেক অস্থির ভাবে ঘোরাঘুরির পর গাড়ীটা valet পাকিং দিয়ে হোটেলের রুমে গেলাম,আর ই মেইলের সুবাদে কারও সাথে প্রশ্ন করে খোঁজ খবর নেয়ারও কোন দরকার ছিল না।কফির দোকান ছেড়ে এই ফরাসী এলাকায় এখন আর কোন প্রশ্ন নেই,অযথা ভালবাসার কথাটা বলতে হবে না,কোন আগামী কালের গল্পও নাই,ওটাই দুজনের চাওয়া।
আমাদের দুজনেরই ভঁয় ছিল বেশী চিন্তা করা নিয়ে,বেশী আলাপ আলোচনায় না যেয়ে এ সিদ্ধান্ততে পৌঁছানো।

শরতের স্নিগ্ধতা সরে গিয়ে বসন্তের হাসি এখন চারপাশে।আমি সেই কিশোরী বছর ষোল বয়সের,আর ছেলেটার বয়স পনের।আমার ভেতরটায় হঠাৎ করে খুঁজে পাওয়া কুমারীত্ব(শরীরে সেটা হারানো বেশ কিছুদিন আগে)।চুমু খেলাম।মনেই পড়ে না চুমু খাওয়ার এই উচ্ছাসটা ছিল আমার শরীরে লুকিয়ে ছিল।বেঁচে ছিলাম যেন শুধু আমার চাওয়া খোঁজার আশায়-স্বামী ছিল সময়ের কাছে চাওয়া মেটানোর জন্যে।তবে ওটাতো সবটাই ভুল ছিল কেন জানি।এই যে আমরা দুজন খুব সহজে তো সর্মপন করি নি অন্যের কাছে।

চুমু খাওয়ার পর আমরা তো আগে আগাইনি কোনদিন,হয়তো ও থেমে যাবে এবার।স্কুলের এক কোনায় ছিল আমাদের চুমু পর্ব,ঠোঁট দুটো আটকানো যেন সময়ের শেষ প্রহর পর্যন্ত।
আমি চাইতাম সবাইকে দেখুক আর হিংসা করুক আমাকে।

জেকব থেমে ছিল না,ওর জিভের স্বাদটা কেমন জানি একটু বিস্বাদ,ভদকা আর সিগারেট মেশানো একটা ককটেল।একটা সিগারেট ধরানো দরকার,সাথে ভদকায় চুমুক না হলে ঠিক জমছে না।মিনি বার থেকে ছোট্ট একটা জিনের বোতল করে এক চুমুকেই শেষ করলাম,
একটা সিগারেটও নিলাম জেকবের কাছ থেকে।সিগারেট দিতে দ্বিধা না করলেও জেকব বললো রুমে সিগারেট খাওয়ায় নিষেধ আছে।নিয়ম ভাঙ্গার অদ্ভুত একটা আনন্দ আছে,আর এ ধরনের বিদঘুটে নিয়ম নিয়ে আর কিইবা বলা যায়।সিগারেটটা খেয়ে সর্তকতার জন্যে বাথরুমে ফেলে দিলাম।জেকব পেছন থেকে এসে জড়িয়ে চুমু খাওয়া আরম্ভ করলো,কখনও ঘাড়ে,কখনও কানে।ওর শরীরের প্রতি অঙ্গ প্রতঙ্গের ছোঁয়াচ অনুভব করছিলাম,এমন কি তার স্ফীত লিঙ্গটা জানান দিচ্ছিল তার অনুভুতির কথা।কোথায় আমার নৈতিকতা?কি হবে আমার জীবনের গল্পে এখান থেকে চলে যাওয়ার পর?

জেকব আমাকে টেনে ঘরে নিয়ে গেল,আমিও যোগ দিলাম ঐ আনন্দ যাত্রায়,জেকবের জিভটা আমার জিভে,থুতু,ভদকা আর সিগারেট মেশানো আলাদা একটা স্বাদ।একবার কামড়ও দিলাম ঠোঁটে,জেকব তখন আমার স্তন নিয়ে খেলা করছে,স্কুলেও যা করেনি কোনদিন,হয়তো সাহসও ছিল না।কাপড়চোপড় খুলে একপাশে ফেলে নগ্ন শরীরে আমি রুমের মাঝখানে,কোন লজ্জা নেই-আমি তো এখন আর স্কুলের সেই অনভিজ্ঞ মেয়েটা না।সমাজ,সংসার,নীতিকথা না হয় থাক একপাশে,আমি শূধু শরীর ভালবাসা খুঁজছি নতুন স্বাদে।

পর্দাটা সরানো ছিল,ভাবছিলাম হয়তো কেউ দেখছে আমাদের,আর ঐ চিন্তায় আরও উত্তেজিত হয়ে গেলাম,আমি তখন একটা বেশ্যা,আর ঐ নামকরা উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে শরীর খেলায় মত্ত,যদিও কোন লেনদেন নেই।


০০০০০০০
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৩:২১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিব নারায়ণ দাস নামটাতেই কি আমাদের অ্যালার্জি?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭


অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে গিয়ে।
.
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×