আর পরবর্তীতে ১৬০৯ খৃষ্টাব্দে Youhanes Kaplar তিনি তার বই astronomy novae তে লিখেছেন যে এই সৌর-জগতে পৃথিবী আর অন্যান্য গ্রহ শুধু সূযের চার পাশে প্রদক্ষীন করে না , তারা নিজ অক্ষের সূযের চার পাশেও প্রদক্ষীন করে । আমি যখন স্কুলে ছিলাম তখন পড়ে ছিলাম , পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ নিজ অক্ষের পাশে প্রদক্ষীন করে । তখন আমি পড়ে ছিলাম যে সূয স্থীর থাকে , সূয তার নিজ অক্ষের পাশে প্রদক্ষীন করে না ।
কিন্তু পবিত্র কোরানে আছে সুরা আল-আম্বিয়ার এর ৩৩-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে – وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ আর অল্লাহ-তা’আলা সৃষ্টি করিয়াছেন রাত্রি এবং দিবস وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ আর সূযঁ ও চন্দ্র كُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ প্রত্রেকেই নিজ নিজ কক্ষ পথে বিচরন করিতেছে তাহাদের নিজস্ব গতিতে । এখানে আরবি শব্দটা يَسْبَحُونَ এটা এসেছে মূল শব্দ সাবাহা থেকে যেটা দিয়ে চলন্ত কোনো কিছুর গতিকে বোঝানো হয় । যদি আমি বলি একজন মানুষ মাটির ওপর সাবাহা করছে তার মানে এই নই যে সে মাটিতে গড়া গড়ি করছে এর অর্থ সে হাটছে অথবা দৌড়াচ্ছে , যদি আমি বলি একজন মানুষ পানিতে সাবাহা করছে তার মানে এই নই যে সে ভেসে আছে এটার অর্থ সে সাতাঁর কাটছে একি ভাবে পবিত্র কোরানে যখন বলা হচ্ছে ইয়াসবাহুন যার মূল শব্দ সাবাহা গ্রহ নক্ষএ সম্র্পকে তখন এটা উড়ে যাওয়া বোঝায় না নিজ অক্ষের চারিদিকে প্রদক্ষীন করা বোঝায় । আর এখন বিজ্ঞানের কল্যানে উন্নত প্রযুক্তি ব্যাবহার করে সূযের ইমেজ ঘরে বসে পরীক্ষা করা যায় , দেখা যাবে বেশ কিছু কালো রংগের বিন্দু আছে , আর এই কালো বিন্দু গুলো আনুমানিক ২৫ দিনের মধ্যে একবার নিজ অক্ষকে প্রদক্ষীন করবে । যার অর্থ সূয আনুমানিক ২৫ দিনের মধ্যে নিজ অক্ষের চার পাশে প্রদক্ষীন করে । একবার চিন্তা করেন পবিত্র কোরানে সূযের গতি আর নিজ অক্ষের চার পাশে প্রদক্ষীনের কথা বলেছে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে যেটা বিজ্ঞান অাবিষ্কার করেছে কিছু দিন আগে ।
পবিত্র কোরানে সুরা ইয়াসিন এর ৪০-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে –
সূযের পক্ষে সম্ভব নয় চন্দ্রের নাগাল পাওয়া এবং রজনী দিবসকে অতিক্রম করা وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ এবং প্রত্যকেই নিজ নিজ কক্ষ পথে সংকরন করে তাহাদের নিজস্ব গতিতে পবিত্র কোরানে এই কথাটা দারা কি বোঝানো হয়েছে যে সূযের পক্ষে সম্ভব নয় চন্দ্রের নাগাল পাওয়া , আগেকার দিনে মানুষ মনে করতো সূয এবং চন্দ্রের কক্ষ পথ একটাই
আর পবিত্র কোরানে বলছে না সূয আর চাঁদের কক্ষ পথ আলাদা তাই একটার পক্ষে আরেকটার নাগাল পাওয়া সম্ভব নয় । আর এরা দুটোই সূয এবং চাঁদ গতিশীল আর নিজ অক্ষেকে প্রদক্ষীন করে
পবিত্র কোরানে সুরা ইয়াসিন এর ৩৮-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে –
وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَّهَا যে সূয ভ্রমন করে উহার নির্দিষ্ট পথে নির্দিষ্ট গর্ন্তব্যের দিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এখানে আরবি শব্দ مُسْتَقَرّ অর্থ একটি নির্দিষ্ট গর্ন্তব্য অথবা একটি নির্দিষ্ট সময়। আজকের দিনে বিজ্ঞান জানতে পেরেছে যে সূয এই সৌর জগতকে নিয়ে বিশ্ব জগতের দিকে একটি নির্দিষ্ট পয়েন্টে এগিয়ে যাচ্ছে যে পয়েন্টাকে বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন Solar Apex এই পয়েন্টের দিকে সূয যাচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে ১২ মাইল গতিতে , আর এভাবে সূয যে পয়েন্টের দিকে এগুচ্ছে সেটার নাম consolation of Hercules এই একি কথা বলা হয়েছে পবিত্র কোরানে সুরা রদ এর ২-নং আয়াতে আর এছাড়াও সূরা ফাতির এর ১৩-নং আয়াতে, সূরা লোকমানের এর ২৯-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর অাছে এছাড়াও সূরা জুমার এর ৫-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর আছে যে – সূয এবং চন্দ্র উহারা প্রত্যকেই পরিক্রম করে এক নির্দিষ্ট কাল পরযন্ত । পবিত্র কোরানে সুরা যারিয়াতি এর ৪৭-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর আছে যে – একমাত্র আমি এই আকাশ নির্মান করিয়াছি আমার ক্ষমতা বলে এবং আমি অবশ্যই এই বিশ্বস্ব জগতকে করিয়াছি মহা সম্প্রসারনকারি আরবি শব্দ مُوسِعُونَ অর্থ সম্প্রসারনকারি মহা বিশ্বস্ব , বিশ্বস্ব জগতের অসীমতা । orvey naho একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছেন যে আর বলেছেন এই বিশ্বস্ব জগত সম্প্রসারিত হচ্ছে , Galaxy গুলো একটা আরেকটা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে যে কথাটা কোরান বলে গিয়েছে ১৪০০ বছর আগে । এটা এমন কনো ব্যাপার না যে কোরানে জ্যোতিষ বিদ্যা সর্ম্পকে বলা হয়েছে , কারন আরবরাসিরা তারা জ্যোতিষ বিদ্যার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বরা বরি উন্নত ছিল, আমি আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চায় পবিত্র কোরান নাযিল হওয়ার কয়েকশ বছর পরে আরবরা জ্যোতির বিদ্যায় বেশ উন্নত সাধন করে , তাই পবিত্র কোরান থেকেই আরবরা জ্যোতির বিদ্যা সম্পকে জেনেছিল এর উলটো টা হয়নি ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




