somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বব্যক্তিত্ব নিয়ে গল্পকথা : নেপোলিয়ন বোনাপার্ট(Napoleon Bonaparte )

১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নেপোলিয়ন বোনাপার্ট (১৫ই আগস্ট, ১৭৬৯-- ৫ই মে, ১৮২১-) তিনি ছিলেন ফরাসি বিপ্লবের সময়কার একজন জেনারেল। তিনি ফরাসি প্রজাতন্ত্রের প্রথম কনসল ( First Consul ) ছিলেন। তিনি নেপোলিয়ন ১ নামে ১১ নভেম্বর, ১৭৯৯ থেকে ৬ এপ্রিল ১৮১৪ পর্যন্ত ফ্রান্সের সম্রাট ছিলেন এবং পুনরায় ১৮১৫ সালের ২০ মার্চ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত স্বল্প সময়ের জন্য ফ্রান্সের সম্রাট ছিলেন। তিনি ইতালির রাজাও ছিলেন। এছাড়া তিনি সুইস কনফেডারেশনের মধ্যস্থাকারী এবং কনফেডারেশন অফ রাইনের রক্ষকও ছিলেন।

তাঁর নেতৃত্বে ফরাসি সেনাবাহিনী এক দশকের বেশী সময় ধরে সকল ইউরোপীয় শক্তির সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় এবং তিনি ইউরোপের অধিকাংশ অঞ্চল তাঁর আয়ত্বে নিয়ে আসেন। ১৮১২ সালে সংগঠিত বিপর্যয়কারী রাশিয়া আগ্রাসন একটি যুগঃসন্ধিক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। রাশিয়া আগ্রাসন এবং ১৮১৩ সালে লিপজিগে পরাজয়ের পর ষষ্ঠ কোয়ালিশন ফ্রান্সে আগ্রাসন চালায় এবং এর ফলস্বরূপ নেপোলিয়ন ১৮১৪ এর এপ্রিলে পশ্চাৎপসারণ করতে বাধ্য হন। কিছুদিন পরেই নেপোলিয়ন একটি অভিযান চালান যা হান্ড্রেড ডেস নামে পরিচিত। কিন্তু নেপোলিয়ন ১৮১৫ সালের ১৮ জুন ওয়াটারলুতে পরাজিত হন। নেপোলিয়ন তাঁর জীবনের বাকী ছয় বছর ব্রিটিশদের তত্ত্বাবধানে আটলান্টিক মহাসাগরের দ্বীপ সেন্ট হেলেনাতে কাটান।

নেপোলিয়নে সেনাবাহিনীতে কিছু পরিবর্তন সাধন করেন। তিনি মিশরে মুখোমুখি সংঘর্ষের উপযোগী সেনাবাহিনী নিয়োগ ছাড়াও যুদ্ধজাহাজের কামান নিয়ন্ত্রনের জন্য গোলন্দাজ বাহিনী স্থাপন করেন এবং সকল বিভাগে আদর্শ সেনাবাহিনী গড়ে তু্লেন। তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে সেরা ধারণাগুলো বেছে নিয়ে অসাধারণ একোটি বাহিনী প্রস্তুত করেন যেটি তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু যুদ্ধে জয় এনে দেয়। সেনাবাহিনীতে তাঁর উদ্ভাবন সমূহ বর্তমানে প্রায় সকল সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তিনি সারা বিশ্বে সর্বকালের অন্যতম সেরা সেনাপতি হিসেবে সুপরিচিত। নেপোলিয়ন কোড প্রতিষ্ঠাও তাঁর অন্যতম সেরা কীর্তি।

তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের এবং বন্ধুদের তাঁর অর্জিত বিভিন্ন রাষ্ট্রের শাসক এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ করেন। যদিও তাদের শাসন নেপোলিয়নের পতন ঠেকাতে পারেনি, নেপোলিয়নের এক ভাতিজা, নেপোলিয়ন ৩ উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে ফ্রান্স শাসন
করেন।

প্রথম জীবন
নেপোলিয়ন দ্য বোনাপার্ট ১৭৬৯ সালের ১৫ আগস্ট ফ্রান্সের করসিকার এজাক্সিউ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্মের মাত্র একবছর আগে দ্বীপটি জেনোয়া প্রজাতন্ত্র কর্তৃক ফ্রান্সকে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি নেপোলিয়ন বোনাপার্ট নামেই অধিক পরিচিতি লাভ করেন। বোনাপার্ট পরিবার মূলত লুনিজিয়ানায় বসতি স্থাপনকারী লোম্বার্ড বংশোদ্ভূত তুস্‌কান গোত্রের অন্তর্ভূক্ত, যারা ইতালির একটি অভিজাত সম্প্রদায় হিসেবে বিবেচিত হতেন। পরিবারটি ফ্লোরেন্সে গমন করে এবং দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে অধিক গ্রহনযোগ্য, বোনাপার্ট-সারজানা, ফ্রান্স ত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং ১৬শ শতাব্দীতে তৎকালীন জেনোয়া প্রজাতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত দ্বীপ করসিকাতে আগমন করেন।

তাঁর পিতা, কার্লো বোনাপার্ট ১৭৪৬ সালে জেনোয়া প্রজাতন্ত্রে জন্মগ্রহণ করেন। নেপোলিয়নের মা, মারিয়া লেটিজিয়া রামোলিনো তাঁর বাল্যকালে গভীর প্রভাব ফেলেন।

নেপোলিয়নের বড়ভাই ছিলেন জোসেফ বোনাপার্ট। নেপোলিয়ন ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁর অনুজরা ছিলেন- লুসিয়েন বোনাপার্ট, এলিসা বোনাপার্ট, লুই বোনাপার্ট, পউলিন বোনাপার্ট, ক্যারোলিন বোনাপার্ট এবং জেরোমি বোনাপার্ট।

পারিবারিক কারণে নেপোলিয়ন ছোটবেলা থেকেই অন্যান্য সাধারণ কর্সিকানদের তুলনায় শিক্ষার্জনে অধিক সুবিধা লাভ করেছিলেন। ১৭৭৯ সালের ১৫ মে, নেপোলিয়নের বয়স যখন মাত্র নয়, তখন তাঁকে ট্রয়েস্রের নিকটবর্তী ছোট্ট শহর Brienne-le-Château -e অবস্থিত একটি ফরাসি মিলিটারী স্কুলে ভর্তি করানো হয়। বিদ্যালয়ে ভর্তির আগে তাঁকে ফরাসি ভাষা শিখতে হয়েছিল। কিন্তু নেপোলিয়ান সারাজীবনই ইতালিয়ান টানে কথা বলেছেন এবং তিনি কখনো ঠিকমত বানান করা শিখতে পারেন নি। প্রচলিত আছে যে, নেপোলিয়নের প্রথম দেখা হয় শ্যাম্পেন প্রস্তুতকারক Jean-Remy Moët-এর সাথে। এই দুজনের বন্ধুত্ব শ্যাম্পেন এবং শ্যাম্পেন প্রস্তুতকারক এলাকার উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। ব্রিয়েনের ডিগ্রী পাওয়ার পর নেপোলিয়ন ১৭৮৪ সালে প্যারিসের এলিট École Royale Militaire-এ ভর্তি হন। সেখানে তিনি মাত্র এক বছরেই দুই বছরের কোর্স সমাপ্ত করেন। একজন পরীক্ষক তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন- " বিমূর্ত বিজ্ঞানের জন্য নিবেদিত প্রাণ, অন্যান্য বিষয়ে কিছুটা আগ্রহশীল; গণিত এবং ভূগোলে ভালো জ্ঞান রয়েছে। তিনি প্রথমে ন্যাভাল বিশয়ে আগ্রহশীল থাকলেও École Militaire-তে আর্টিলারী নিয়ে পড়াশোনা করেন।

সেনাজীবনের সূচনা
১৭৮৫ সালে ডিগ্রী লাভ করে নেপোলিয়ন সেকেন্ড লেফট্যানেন্ট পদে ভূষিত হন। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ষোল। ১৭৮৯ সালের বিপ্লবের পূর্ব পর্যন্ত নেপোলিয়ন ভ্যালেন্স এবং এক্সনে সেনারক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী অধিকাংশ বছর তিনি করসিকাতে অতিবাহিত করেন। তখন সেখানে রাজবংশীয়-বিদ্রোহী-সাধারণ কর্সিকানদের মধ্যে ত্রিমুখী দ্বন্দ্ব চলছিল। নেপোলিয়ন জ্যাকোবিনের ফ্যাকশনকে সমর্থন করেন এবং লেফট্যানেন্ট কর্ণেল পদে ভূষিত হন। রক্ষণশীল জাতীয়তাবাদী নেতা প্যাস্কোয়েল প্যাইলির ক্রমবর্ধমান সহিংসতার কারণে বোনাপার্ট এবং তাঁর পরিবার ১৯৭৩ এর জুনে ফ্রান্সে যেতে বাধ্য হন। তাঁর কর্সিকান সহচরীদের সহযোগিতায় নেপোলিয়ন গোলন্দাজ সেনাপতি নির্বাচিত হন এবং টাউলন দখল করেন। টাউলনের উত্থান হয়েছিল প্রজাতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ফলে এবং এটি ব্রিটিশরা দখল করে নিয়েছিল। তিনি বিচক্ষণ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি l'Eguillete কেন্দ্রে সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগ করেন, যা পোতাশ্রয়ে ব্রিটিশ জাহাজের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায় এবং তারা পোতাশ্রয় ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। পরবর্তী একটি সফল আক্রমণে নেপোলিয়ন উরুতে আঘাতপ্রাপ্ত হন কিন্তু অসাধারণ কৃতিত্ব তাঁকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের পদ এনে দেয়। তাঁর সাফল্য কমিটি অফ পাবলিক সেফটির দৃষ্টিগোচর হয় এবং তিনি বিদ্রোহী নেতা ম্যাক্সিমিলিয়েন রবেসপিয়েরের অনুজ অগাস্টিন রবেস্পিয়েরের একান্ত সহকারী হিসেবে কাজ করেন। এর ফলস্বরূপ, বড় রবেস্পিয়েরের পতনের পর ১৭৯৪ সালের ৬ আগস্ট কারাগার বন্দী হন কিন্তু দুই সপ্তাহ পরই নেপোলিয়ন ছাড়া পান।

হুইফ অফ গ্রেপশট
১৭৯৫ সালের ৩ অক্টোবর রাজপক্ষীয়রা এবং বিদ্রোহের বিরোধীরা জাতীয় কনভেনশনের বিরুদ্ধে একটি সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলে। নেপোলিয়নকে টুইলারিস(Tuileries) প্রাসাদে প্রতিষ্ঠিত কনভেনশনের রক্ষায় গঠিত বাহিনীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি জোয়েচিম মুরাট (Joachim Murat) নামক একজন তরুণ কর্মকর্তাকে নিয়ে গোলন্দাজ বাহিনীর বিভিন্ন অংশকে একত্র করেন। তিনি এই বাহিনীকে আক্রমনকারীদের বিরুদ্ধে নিয়োগ করেন। তিনি পরে একে এভাবে ব্যাখা করেন যে তিনি হুইফ অফ গ্রেপশট-এর মাধ্যমে পথ পরিষ্কার করেছেন। এই সঘর্ষ সমগ্র ফ্রান্সেই বিদ্বেষপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করে। এ অসাধারণ বিজয় তাঁকে অনেক খ্যাতি এনে দেয়। তিনি নতুন ডিরেক্টরির নেতা বারাসের (barras) সমর্থন পান। কিছুদিন পরেই তিনি বারাসের প্রাক্তন স্ত্রী জোসেফাইন দ্য ব্যুহ্যারানাইস (Josephine de Beauharnais)। পরবর্তীতে তিনি ১৭৯৬ সালের ৯ মার্চ জোসেফাইনকে বিবাহ করেন।

ইতালিতে সামরিক তৎপরতা (১৭৯৬-৯৭)
বিয়ের পরেই ১৭৯৬ সালের ২৭ মার্চ নেপোলিয়ন ফরাসি আর্মি অফ ইতালির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি সফলতার সাথে ইতালি আক্রমণ করেন। লোডিতে(Lodi) তিনি দি লিট্‌ল করপোরাল(le petit caporal) উপাধিতে ভূষিত হন। তিনি তাঁর প্রায় সৈন্যকে খুব ভালোভাবে চিনতেন। তা থেকে ধারণা করা যায় সতীর্থদের সাথে তাঁর সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা। তিনি লোম্বার্ডি থেকে অস্ট্রিয়ানদের বিতাড়িত করেন এবং পাপাল প্রদেশের(Papal States) সেনাবাহিনীকে পরাজিত করেন। এর কারণ ছিল, পোপ পিউস ৬(Pope Pius VI) কর্তৃক লুইস ১৬ (Louis XVI) এর কর্মকান্ডের প্রতিরোধ, ফ্রান্স কর্তৃক দুটি ক্ষুদ্র পাপাল ভূখন্ডের দখল। নেপোলিয়ন ইতালি আক্রমণ এবং পোপকে সিংহাসনচ্যুত করার জন্য ডিরেক্টরির আদেশ অগ্রাহ্য করেন। অবশ্য পরের বছরই জেনারেল বার্থিয়ের(General Berthier) ইতালি দখল করে নেন এবং ফেব্রুয়ারির বিশ তারিখ পোপকে বন্দী করেন। সেখানেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে পোপ মৃত্যুবরণ করেন। ১৭৯৭ সালের শুরুতেই নেপোলিয়ন তাঁর সেনাবাহিনী নিয়ে অস্ট্রিয়ায় প্রবেশ করেন এবং তাঁর শক্তিকে শান্তির জন্য কাজে লাগান। কিছুদিনের মধ্যেই ফ্রান্স উত্তর ইতালির অধিকাংশই দখল করে নেয়। নীচুদেশসমূহ এবং রাইনল্যান্ডও ফ্রান্সের অধিকারে আসে। কিন্তু ভেনিস তখনো ফ্রান্স অধিকার করতে পারেনি। নেপোলিয়ন এরপর ভেনিসে গমন করেন এবং ভেনিস আত্নসমর্পন করতে বাধ্য হয়। এভাবে এক সহস্র বছরের স্বাধীন ভেনিসের পতন হয়। পরবর্তীতে ১৭৯৭ সালেই নেপোলিয়ন ইতালির ফ্রান্স শাসিত রাজ্যসমূহ নিয়ে সিজালপাইন রিপাবলিক (Cisalpine Republic) গড়ে তুলেন।

নেপোলিয়নের সামরিক তৎপরতাসমূহ তাঁর বাস্তবক্ষেত্রে সামরিক শক্তি প্রয়োগের অসীম জ্ঞানেরই প্রতিফলন ঘটায়। নেপোলিয়নের ভাষায়ঃ
“ আমি ষাটটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি, কিন্তু আমি এমন কিছু শিখিনি যা আমি শুরুতে জানতাম না।”
পূর্ব প্রকাশিত
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×