
আমি Wi-Fi এর সাথে পরিচিত হই ২০১৩ সালে। আমি এইচ এস সি পরীক্ষার শেষে এক স্থানে কম্পিউটারের ট্রেনিং করতাম। সেখানে Wi-Fi ছিলো। আমি সেখানে আধাঘন্টা বেশী থাকতাম। দুমছে ডাউনলোড দিতাম।
আমাদের গজারিয়া উপজেলা তে ব্রডব্যান্ড আসে ২০১৬ সালের শেষের দিকে। ভবেরচর স্টান্ডে অনেক দোকানে Wi-Fi আসে। আমি অনেক লোকদের রিকুয়েস্ট করেছিলাম Wi-Fi পাসওয়ার্ড দিতে। কিন্তু দেয় নি। যদিও ওরা আমার পরিচিত ছিলো।
পরে একজন Wi-Fi পাসওয়র্ড দিয়েছিলো। আমি সকালে ঘুম থেকে ওঠেই ভবেরচর স্টান্ডে গিয়ে ১ ঘন্টা Wi-Fi চালাতাম। পরে কলেজে যেতাম। তখন আমি সোনারগাঁও সরকারি কলেজ (নারায়ণগঞ্জ) এ অনার্স এ পড়িতাম। কলেজ থেকে এসে, দুপুরে রেস্ট নিয়ে, বিকালে আবার সেখানে গিয়ে Wi-Fi চালাতাম।
আমি তখন সাতকাহনিয়া গ্রামে নানী বাড়িতে থাকতাম। আমিই প্রথম সাতকাহনিয়া গ্রামে যারা Wi-Fi আনি। এখন গ্রামের ভিতরেও অনেকে Wi-Fi লাইন নিয়েছেন। যা দেখে আমার খুব ভালো লাগলো।
আমি যে দিন প্রথম Wi-Fi লাইন নেই সেদিন বাড়িতে নানী ছিলো না। নানী খালায় বাসায় বেড়াতে গেছিলেন। ব্রডব্যান্ড এর লোক আসেন আছরের সময়। বিকাল ৫টা বাজে লাইন নেওয়ার পর আমি একটু বাহিরে যাই। সেখানে আবার দেলোয়ার ভাই এর সাথে দেখা। উনি আমাকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে খাওয়াইছে। আমার তো Wi-Fi চালানোর জন্য মনটা খুব নাচতে ছিলো।
যাই হউক। আমি বাসায় এসে ইচ্ছে মত Wi-Fi চালালাম। সেদিন রাত্রে আমি 1971 beyond borders ভারতের সিনেমা দেখি। সেদিন রাত্রে আমি রাতের খাবার খেতে ভুলে গেছিলাম।

ঐ দিন আমার কাছে ঈদের দিন ছিলো। আর জানুয়ারি মাস ছিলো। লেপের নিচে শুয়ে শুয়ে Wi-Fi দিয়ে সিনেমা দেখার মজাই ছিলো অন্যরকম।
আপনাদের Wi-Fi নিয়ে মাজার অভিজ্ঞতা কমেন্ট করুন।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




