
আজ একটি ফেসবুকে পোস্ট দেখলাম। যেখানে লেখা আছে ঠিক এমন “মনে পড়ে? তুমার বাবা তুমাকে নিলামে তুলেছিলো আমার সাধ্য না থাকায় কিনতে পারিনি সেদিন,খালি হাতে ফিরেছিলাম!” ঐ দিন ঐ ছেলের ইনকাম থাকলে; পছন্দের মেয়ে বিয়ে করতে পারতেন। প্রেম ভালোবাসা সবার জীবনে আসে। আমি কিশোর জীবনের ক্ষণস্থায়ী ভালো লাগার কথা বলছি না। আমি প্রকৃত ভালোবাসা বলছি। ইনকাম একটি ছেলে কে পুরুষ এ পরিনত করে। ইনকাম একটি ছেলে কে বেডা মানুষ তৈরি করে।

এখন আসল কথায় আসি। ইনকাম করাটাই আসল। হউক সেটা মুচি গিরি করে। বা সরকারি চাকরি করে। সঠিক দিক নির্দেশনা পেলে ও চোখ কান খোলা থাকলে মুচি থেকে জুতার কম্পনি তৈরি করা সম্ভব। পৃথিবীর কোন বৈধ কাজ ছোট না। আমি মনে করি ১৫ বা ১৬ বছর থেকে দোকানে কাজ শুরু করা দরকার। বাপের দোকান থাকলে, মাজে মাজে বাপ কে কাজে সাহায্য করা যায়। বাপের দোকান না থাকলে এলাকার পরিচিত দোকানে কাজ করলো। বা বাপের বাস বা ট্রাক থাকলে বাসের হেল্পারি করলো। ১৮ বছর হলে সেও বাসা চালাবে। সরকারি চাকরিই যে করতে হবে এমন তো কথা নাই। এই দ্রব্যমূল্য উর্দ্ধগতি তে সরকারি চাকরিজীবীরাই কষ্টে আছে। তাদের বেতন বাড়ে নাই। বেসরকারি চাকরিজীবীরা ওভার টাইম ডিউটি করে কিছু বাড়তি টাকা পায়। জিনিস পত্রের দাম বাড়িয়ে ব্যাবসায়ীরা এক একজনে ফ্র্যাট গাড়ি ইত্যাদির মালিক হচ্ছে। এখন যদি সরকারি চাকরি না পায় তাহলে তো তাকে অন্য কিছু করে খাওয়া লাগবে। যে ছেলে ১৫/১৬ বছর থেকে দোকানে পিতাকে সাহায্য করতো, বাপের বাসে হেল্পারি করতো, তার দাম বেশী? নাকি যে চাকরির প্রস্তুতি নিয়েও সরকারি চাকরি হয় নি তার দাম বেশী? নিশ্চই যে ১৫ বছর থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে আসছে তার দাম বেশী। কারন তার অভিজ্ঞতা বেশী। ছেলেটি যে কোন স্থানে সেলস ম্যান হিসেবে কাজ করিতে পারবে।
আমার বাসায় লেপটপ আছে। আমি বাসা বসে বসে মানুষের সিভি বানিয়ে দেই, অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র ও জন্ম নিবন্ধন এর কাজ করে দিতাম। অনলাইনে চাকরির আবেদন করে দিতাম। মাসে দুই, তিনহাজার টাকা আসতো। এখন সামনে ফার্মেসী এর দোকান দিবো ইনশাল্লা। সাথে কনফেশনারী প্রিন্ট, ফটোকপি, মুদির আইটেম রাখা হবে। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৪৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




