
ছিড়া টাকা। আমাদের ঘামের কারনে এসব টাকা দুর্বল হয়ে যায়। ছিড়ে যায়।
একদিন কোন এক কাজে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে গিয়েছিলাম। আম্মু একটি নোট ছিড়া দিয়েছিলেন সেটা আমি তখন থেয়াল করি নাই্। ব্যাংকে টাকা জমা নেওয়ার সময়, ছিড়া টাকাটি ক্যাশিয়ারের চোখে পড়ে। উনি এই টাকা নিবেন না।
আমি তাকে বুঝালাম। ”আমরা টাকা ছাপাই না। ছপালে নতুন টাকাই দিতাম। যারা টাকা ছাপায়, তাদের কাছ থেকে এক্সচেইজ্ঞ করে আনুন।” উনারা উত্তরে বলেন যে “একটি নোট উনারা চেইজ্ঞ করে দেন না। এমন এক বান্ডিল করে দিলে, ছিড়া টাকা চেইজ্ঞ করে দেয়।” তারপর আমি বললম “আমার মত কতই তো গ্রাহক আসেন। সবারটা মিলিয়ে ১০০ টি নোট করুন।” উনারা বললো “ছিড়া টাকা আর কেউ আসে না। এই বছরে আমি একাই এসেছি।”
পরে আর উপায় না দেখে গুলিস্থান থেকে চেইজ্ঞ করে এনেছি।
আমার তো মনে হয় উনারা গুলিস্থান নতুন টাকার ব্যাসায়ী সিন্ডিকেট থেকে ঘুস খান। জ্বি। আমি ডাইরেক বলছি, “উনারা গুলিস্থানের নতুন টাকা ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে ঘুস খান।” তা হলে এই ছিড়া টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক এর মারফত তফসিলি ব্যাংকগুলো পুরান টাকা এক্সচেইঞ্জ করে দিতেন।
এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এর উচিত, “১০০ টি খারাপ নোট জামাইয়া গ্রাহক কে ফেরত দেওয়া” এর মত ফালতু সিস্টেম রদ করে, বাজারে সকল অচল নোট ফেরত নেওয়া। এর অচল টাকার সম পরিমান নতুন নোট ছাপানো
শেষ কথা: আমি একদিন ব্যাংকে গিয়েছিলাম। এক ভদ্রলোক ১ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন। ১০০০ টাকার ঐ বান্ডিলে ৫ টা ছিড়া/অচল নোট ও একটি জাল টাকার মত ছিলো। পরে ক্যাশিয়ার চেইজ্ঞ করে দিছে। এখন আমার প্রশ্ন “আমাদের থেকে তো এমন ছিড়া ফাড়া অচল টাকা নেন না। আপনারা আবার আমাদের দেন কেন?
নিলেও একই টাকা আমাদের দেন কেন? যারা টাকা ছাপায় ওদের মুখে ছুড়ে মারেন
আপনারা এখন টাকা নেওয়ার সময় চেক করে নিবেন, কোন ছিড়া ও নকল টাকা আছে কিনা?
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


