পৃথিবীর মোট স্থলভূমির শতকরা ৩১ ভাগ বনভূমি রয়েছে। এই বনভূমি প্রায় ৩০ কোটি মানুষের এবং ৮০% প্রাণবৈচিত্র্যের আবাসস্থল। বিশ্বব্যাপী টেকসই উন্নয়নের অপরিহার্য অঙ্গ হলো বন। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী প্রায় ১৬০ কোটি মানুষের জীবিকা প্রত্যক্ষ বা পরেক্ষভাবে বনভূমির উপর নির্ভর করে। বনভূমি ধ্বংস হয়ে গেলে প্রাণবৈচিত্র্য থাকবে না। আর প্রাণবৈচিত্র না থাকলে মানুষও টিকে থাকবে না। কাজেই যে কোন মূল্যে বনভূমিকে রক্ষা করতে হবে।
জাতিসংঘের ফুড এন্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (FAO) এর মতে প্রতি বছর সারা পৃথিবীতে প্রায় এক লাখ ত্রিশহাজার কিলোমিটার পরিমান বনভূমি উজাড় হয়ে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশের মোট আয়তনের কাছাকাছি। বিশ্বব্যাংকের হিসাব মতে বন উজাড় হওয়ায় গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমন তথা বৈশ্বিক উষ্ঞায়নের পরিমান শতকরা বিশভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া বন উজাড় মরুকরনের অন্যতম প্রধান কারন।
এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের সচিবালয় থেকে ২০১১ সালকে বিশ্ব বন বর্ষ ঘোষনা করা হয় এবং এর সফল উদযাপনের জন্য সবাইকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহবান জানানো হয়। বন বর্ষ প্রধানত তিনটি পর্যায়ে উদযাপন করা হবে। এগুলো হচ্ছে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে বন বর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে অনুসন্ধিৎসু চক্র বিজ্ঞান সংগঠনের পক্ষ থেকে বন বর্ষ উপলক্ষ্যে কিছু কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
লোগো পরিচিতি: বন বর্ষ উপলক্ষ্যে নির্মিত লোগোটির মূল থিম হলো “মানুষের জন্য বন”। এর দ্বারা মানুষকে বনে সংরক্ষন ও টেকসই উন্নয়নে উৎসাহিত করা হয়েছে।
বিভিন্ন প্রকার নকশা দ্বারা বন থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন মূল্যবান দ্রবাদি দেখানো হয়েছে। বন মানুষ ও প্রাণবৈচিত্রের জন্য বাসস্থান যোগায়। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও নির্মল পরিবেশ ও স্থিতিশীল বৈশ্বিক জলবায়ুর উৎসও হলো বন। লোগোতে উপস্থিত সবগুলো উপাদান আমাদের এই বার্তা দেয় যে, এসব উপাদান মিলে ৭০০ কোটি মানুষকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাচ্ছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




