মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আস সালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে ভালো আছেন। এ অধম গোলামও মহান আল্লাহ পাকের দয়ায় ভাল আছি। এবার ঈদ তো গেল। তবে এতিমের মত। জৌলুস, আনন্দ ও উৎসবের ছোঁয়া ছাড়া। অনেকের ঘরে ছিল বেদনার হাহাকার। করোনার হানা ছিল অনেক পরিবারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি অক্লান্ত চেষ্টা ও পরিশ্রম করে যাচ্ছেন করোনার ছোবলের বিরুদ্ধে। আপনি ৫০ লক্ষ গরীব, দুঃখী, দিনমজুর ও অসহায় মানুষদের প্রত্যেককে ২৫০০ টাকার করে দেয়ার যে সাহসিক ও উদার পদক্ষেপ নিয়েছেন তা নিন্দুকের কাছেও প্রশংসিত হয়েছে। তবে এই টাকা বিতরণের পদ্ধতি নিয়ে কিছুটা সমালোচনা হয়েছে। যাহোক, আপনার উদারতা ও ভাল মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন নাই। যারা নিন্দুক তারা সকল কাজেই নিন্দা করে যাবে। এ নিয়ে আপনি মন খারাপ করবেন না। তবে আপনার কোন মহৎ উদ্দেশ্য কারো অসৎ হাতে কলঙ্কিত যেন না হয় সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। আর ডাক্তার, নার্স, পুলিশ, RAB প্রভৃতি সকলে থাকে চরম ঝুঁকির মধ্যে। তাই তাদের যথাপোযুক্ত পিপিই, প্রশিক্ষণ, মুটিভেশন ও আস্থা থাকার ব্যবস্থা করা দরকার। ইতিমধ্যেই অনেক পুলিশ করোনা আক্রান্ত হয়েছে এবং মারাও গেছে। বেশ কিছু ডাক্তারও মারা গেছে। রাষ্ট্রের পূর্ণ সহযোগিতা ও আশ্বাস তাদের কাজের গতি ও আন্তরিকতা বাড়াতে পারে। এ জন্য যা করা দরকার তা-ই করবেন। আমার বিশ্বাস এ বিষয় নিশ্চয়ই আপনার খেয়াল রয়েছে। আর আপনার সকল অনুদান ও সাহায্য যাতে যথাযথভাবে জনগণের কাছে পৌঁছে তার সঠিক ব্যাবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরী। এ অধম গোলামের বেয়াদবি মাফ করবেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি নিজেই অযোগ্য, অবুঝ, আমি আপনাকে উপদেশ বা বুদ্ধি দেয়ার জন্য কিংবা মনের খেয়ালে কিংবা লেখা চর্চা করার জন্য কিংবা নাম কামের জন্য এ খোলা চিঠি লিখছি না। আমি ইঙ্গিত ও ইশারায় একটা জিনিস বুঝাতে চাই কিন্তু হাজার মিথ্যার ডামাডোলে সত্যও মিথ্যার স্রোতে ভেসে যায় কিনা এটাই ভাবনা। অতিত ইতিহাস অতি ভয়ংকর। এমন হলে ক্ষতিটা সকলের হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, করোনায় আমাদের অনেক কিছু চিনিয়ে দিল। লক্ষ লক্ষ ভক্তের হৃদয় সিংহাসনে আসীন তথাকথিত খেতাবধারী, তারকা দৃশ্যমান মান্যবর ধর্মগুরুরা যাদের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি তারা আসলেই কৃত্রিম সজ্জিত অভিনেতা তা -এই করোনার কারণে আমরা বুঝে নিলাম। এদের কেউ বলল, "করোনা মুসলমানদের জন্য নয়, এটা এসেছে ইহুদিদের জন্য"। কেউ বলল, " ওজুর সাথে থাকলে ও নামাজ পড়লে করোনা কিছু করতে পারবে না। আমার কাছ থেকে বুঝে নিয়েন। তা হলে কোরআন মিথ্যা হয়ে যাবে"। কেউ বলেছে, " রমজান মাস আসলে করোনা থাকতে পারে না। কারণ, রমজান মাস রহমতের মাস। এ মাসে আযাব গজব থাকতে পারে না, রমজান এলেই করোনা দূর হয়ে যাবে।" আবার কেউ বলছে, " মে মাসের ১২ তারিখে আকাশে সুরাইয়া তারা উঠবে। তখন পৃথিবী থেকে সকল করোনা চলে যাবে"। কেউ বলেছে," কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা না দেয়ার কারণে দেশে করোনা গজব এসেছে"। এ ক্ষেত্রে যে সমস্ত দেশ কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করেছে যেমন- পাকিস্তান, সৌদি আরব ও অন্যান্য মুসলিম দেশ - তাদের দেশেও তো করোনা ঢুকেছে এবং মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এমন যদি হতো, যে সমস্ত দেশে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করেছে তাদের দেশে করোনা প্রবেশ করে নাই, তাহলে বুঝা যেত কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা না করার কারনে করোনা ভাইরাসের গজব এদেশে এসেছে। এ সব অসার কথা সরকারকে ফাঁদে ফেলার অযুহাত। আর একদল আছে তারা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ব্যাপারে তৎপর। নিত্য নতুন ফন্দি ফিকির বের করছে। মিজান আজাহারীরা ওয়াজে বলছে, এ দেশে নাকি তার মত ওয়াজিন আর নাই। ঘরে ঘরে সাঈদী আসা দরকার। আমি বুঝি না, কার ওয়াজ ভাল আর কার ওয়াজ ভাল না এর বিচার করবে কে ? যদি বলা হয় সাধারণ জনগণ। তাহলে প্রশ্ন, জাগে, যে বিচার করে সে-ই বড়? নাকি যার বিচার করে সে-ই বড়? জনগণকে যদি বিচারকের আসনে বসান হয় তাহলে তারাই তো সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞ হলো। ধর্ম বিষয়ে অজ্ঞদের রায়ে বা সমর্থনে যারা নিজেদেরকে বড় মনে করে তাদের মত আহাম্মক আর কে থাকতে পারে? জনগণের এই রায় কি আল্লাহ পাকের কাছে গ্ৰহণযোগ্য হবে? এটা কোন কিতাবের দলিল? দুনিয়ার সকল মানুষও যদি একজনকে ভাল বলে তাতেই কি সে আল্লাহর কাছে ভাল হয়ে যাবে? দুনিয়ার সকল মানুষও যদি একজনকে মন্দ জানে আর এক আল্লাহ যদি তাকে ভাল জানে তাহলে সে আসলেই ভাল। এমন বহু নবী রাসুল, ওলী আওলিয়া জগতে এসেছিলেন, যাদেরকে জগতের মানুষ ভাল তো বলেই নাই বরং তাদেরকে হত্যা করেছে। নবী রাসুল, ওলী আওলিয়াগণের চেয়ে ভাল মানুষ জগতে আর কে হতে পারে? ভাল সে ব্যাক্তি যাকে আল্লাহ ভাল জানে। মৃত্যুর পর জনগণের লক্ষ কোটি সমর্থনও কি কোন কাজে আসবে? একবার তো দেশে সুর তুলেছিল যে জনাব সাঈদী সাহেবকে নাকি চাঁদে দেখা গেছে। এতই বুজুর্গ যদি সে হয়ে থাকে তাহলে জেল খানার ওয়াল টপকিয়ে বের হোক দেখি। সাধারণ মানুষ ও সরকারকে ধোঁকা দেয়ার ফন্দি ফিকির এ ছাড়া এগুলো আর কিছু নয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এখনও কি এদের চিনে নেয়ার আর কিছু বাকি আছে? একমাত্র আল্লাহ পাকের ওলী আওলিয়াগণের কাছেই সত্য ও সঠিক ধর্ম পাওয়া যায়। তবে, প্রকৃত ওলী আওলিয়া চিনা বড় কঠিন। আজকাল তো ঘরে ঘরে ওলী আওলিয়ার বিচরণের খবর শুনা যায়। জাল টাকা দেখতে যেমন আসল টাকার মতই কিন্তু জাল টাকা অচল ও নিষিদ্ধ। জাল টাকা তৈরি ও ব্যবহার শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তদ্রুপ আল্লাহ পাকের নির্বাচিত ওলী আওলিয়া ব্যতীত কারো অনুকরণ ও অনুসরণ করাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পুলিশ নয় এমন কোন ব্যাক্তি যদি পুলিশের পোষাক পরে অপকর্ম করে তাহলে ধরা পড়লে যেমন শাস্তি পেতে হবে তেমনি আল্লাহ যাকে ওলী আওলিয়া নির্বাচন করেন নাই এরূপ কেউ যদি ওলী আওলিয়া সাজে তাকে কঠোর শাস্তি পেতে হবে দুনিয়া ও আখেরাতে উভয় জায়গায়। কারণ, এ ব্যাপারে ফাঁকি দেয়ার কোন সুযোগ নাই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশে যারা ওয়াজ নসিহত করে অথবা পীরালী করে অথবা খ্যাতিমান ধর্মীয় বক্তা অথবা যে কোন নামীদামী পীর বুজুর্গদের আসনে আসীন অথবা যারা লক্ষ লক্ষ ভক্তের হৃদয়ে পূজ্য হয়ে আসছে- তাদের যে কোন একজনকে যদি জিজ্ঞাসা করেন আপনি কি আল্লাহ কর্তৃক নির্বাচিত ওলী? আমি নিশ্চিত যে তিনি উত্তর দিবেন না অথবা সেটা আল্লাহ জানেন। আবার যদি কেউ হ্যা উত্তর দেনও, তাহলে তিনি ধরা পড়বেনই। ওলী নিজ থেকে দাবী করার কোন ব্যাপার নয়, আল্লাহ কর্তৃক নির্বাচিত হওয়ার বিষয়। ওলী বা শেষ নবীর প্রতিনিধি বা খাস বান্দা অথবা ধর্ম সংষ্কারক অথবা মোজাদ্দেদ অথবা নবীর নায়েব ইত্যাদি অনেকে মানতে রাজি নয়। তারা বলে আমাদের জন্য কোরআন ও হাদিসই যথেষ্ট, আর কোন কিছুর দরকার নাই। প্রত্যেক নবী রাসুল ও ওলী আওলিয়াদের যুগের ধর্মগুরু ও তাদের ভক্তরা এই কথা বলে আল্লাহ পাকের প্রিয় বান্দাদের পথে কাঁটা দিয়ে চরম বিরোধিতা, এমন কি অমানবিক জুলুম নির্যাতন করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আল্লাহ পাকের প্রিয় বান্দা, নবী রাসুল, ওলী আওলিয়াগণই বিজয়ী হয়েছেন। আর যারা তাদের বিরোধিতা করেছে তারা মানুষের কাছে ধিকৃত ও নিন্দিত হয়েছে এবং আল্লাহ পাকের কাছে অভিশপ্ত ও জালেম হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে। আল্লাহ পাক কোরআনে আফসোস করে বলেছেন, " ইয়া হাছরা তান আলাল ইবাদ মাইয়া তিহিম মির রাসূলেন ইল্লা কানু বিহি ইয়াছ তায়জিউন" অর্থাৎ " আফসোস বান্দাদের জন্য এমন কোন রাসূল পাঠাই নাই যার সাথে (যুগের) লোকজন হাসি ঠাট্টা না করেছে।" আল্লাহ পাক স্বয়ং তার আফসোসের কথা নবী করীম (সাঃ)কে জানিয়েছেন। নবী রাসুল, ওলী আওলিয়া, মোজাদ্দেদ, খাস বান্দা প্রভৃতি আল্লাহ পাকের প্রিয় বান্দাদের বিরোধিতা করা ও অপমান অপদস্থ করা যুগের লোকেদের ক্রনিক ব্যাধি। আর পথভ্রষ্ট মানুষকে পথ দেখানোও আল্লাহ পাকের চিরাচরিত বিধান। এই জগত যতদিন থাকবে, ততদিন মানুষ ভুল করবে ও ভুলে যাবে এবং দয়ালু ও মহান আল্লাহও হেদায়েতের ব্যাবস্থা বহাল রাখবেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আল্লাহ পাকের শেষ নবীর প্রতিনিধি, ওলী, খাস বান্দা, মোজাদ্দেদ বা ধর্ম সংষ্কারক- কোন যোগ্যতার বলে কেউ হতে পারে না। আল্লাহ পাক তার হেদায়েতের কাজ করানোর জন্য যাকে ইচ্ছা নিয়োজিত করতে পারেন। কখনো কখনো শিক্ষিত ব্যাক্তিগণের মধ্যে থেকে আবার কখনো কখনো সম্পূর্ণ অশিক্ষিত ব্যাক্তিগণের মধ্যে থেকে আল্লাহ পাক হাদী বা পথপ্রদর্শক মনোনীত করেছেন। আল্লাহ পাক হলেন মহাজ্ঞানী। তিনি যে কোন ব্যাক্তিকে যে কোন শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারেন। মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় ও প্রধান পথপ্রদর্শক হলেন নবী রাসুলগণ। নবী রাসুল বানাতেই আল্লাহ পাকের দুনিয়ার কোন শিক্ষা দীক্ষা লাগে নাই। আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) যিনি সারা দুনিয়ার জন্য রহমত, তিনি কি কোন শিক্ষাগারে লেখা পড়া করেছিলেন? অথবা শিক্ষককের কাছ থেকে কোন শিক্ষা গ্ৰহণ করেছিলেন কি? অথবা ঘরে বসে মোটা বই পুস্তক পড়াশুনা করেছিলেন কি? এসবের কোনোটাই তিনি করেন নাই। তিনি ছিলেন একজন নিরক্ষর নবী ও রাসূল। নিজ মাতৃভাষায় তিনি নিজের নামটি পর্যন্ত লিখতে পারতেন না। এই রকম একজন মানুষকে আল্লাহ পাক যথাপোযুক্ত জ্ঞান দান করে সমগ্ৰ মানবজাতির শিক্ষক, পথপ্রদর্শক, নবী রাসুল বানিয়েছেন। হযরত ঈসা (আঃ) ছিলেন একজন কাঠমিস্ত্রি। তাকে আল্লাহ পাক করেছেন নবী রাসুল। হযরত মূসা (আঃ) ছিলেন খুনী। ফেরাউন সম্প্রদায়ের একজন লোককে খুন করে আরেক এলাকায় পালিয়ে গিয়ে আট বছর হযরত শোয়েব (আঃ)এর গরুর রাখালী কাজ করেছেন। এসব লোকজনকে আল্লাহ বানিয়েছেন নবী রাসুল, পথপ্রদর্শক। নবী রাসুল বানাতেই আল্লাহ পাকের কাছে শিক্ষা দীক্ষা লাগে না, আর নবীর নায়েব, খাস বান্দা, ওলী, মোজাদ্দেদ বা সংষ্কারক বানাতে কি আল্লাহ পাকের কাছে শিক্ষিত লোক লাগবে? তিনি অশিক্ষিত কিংবা নিরক্ষরকেও নবীর নায়েব, খাস বান্দা, ওলী, মোজাদ্দেদ বা সংষ্কারক বানাতে পারেন আর শিক্ষিতদের মধ্য থেকেও বানাতে পারেন। এটা আল্লাহ পাকের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে।
পৃথিবীতে যখন আল্লাহ পাকের এই সমস্ত প্রিয় বান্দাগণ আসেন তখন দুনিয়ার লোকজন আসমানী কিতাবসমূহের ওপর নির্ভরশীল থাকে এবং তারা দলে দলে বিভক্ত থাকে। মূলত ধর্মগুরুদের মধ্যে অনৈক্য, পরষ্পর বিরোধী মত পোষণ, হিংসা, ঘৃণা ও নিজ নিজ মতে কিতাবের ব্যাখ্যা দেয়ার কারণে এটা হয়ে থাকে। ধার্মিকদের এই অবস্থায় আল্লাহ পাকের কাছে ধর্ম গ্রহণযোগ্য হয় না। কারণ, তিনি জগতবাসীর অশান্তি দূর করার জন্যই ধর্ম প্রেরণ করেছেন। ধর্ম নিয়ে মতানৈক্য ও সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করে ধর্মগুরুরা যখন আল্লাহ পাকের নির্দেশিত ঐক্য ও সম্প্রীতি ভঙ্গ করে নিজেরাই অশান্তি সৃষ্টিতে লিপ্ত থাকে তখন আল্লাহ পাক তাদের ওপর ভীষণ ক্রুদ্ধ হন এবং পার্থিব জীবনে তাদের দুটি গজব দেন। এক, আল্লাহ পাক কোরআনে বলেছেন, "মাছকানাত" অর্থাৎ দারিদ্রতা বা পরমুখাপেক্ষীতা। দুই, এটাও কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, " ঝিল্লতি" অর্থাৎ অপমান লাঞ্ছনা। বর্তমান পৃথিবীতে এমন কোন মাদ্রাসা, মসজিদ নাই যা অপরের দান খয়রাতে প্রতিষ্ঠিত না হয়েছে কিংবা দান খয়রাতের ওপর নির্ভরশীল না। এসব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণও এমন লোকজনের অধীন যাদের তোষামোদ করা ছাড়া কোন ইমাম, মোয়াজ্জিন কিংবা অধ্যক্ষ, শিক্ষক, মুফতী , মাওলানা, মোহাদ্দেস প্রভৃতি কারোই কোন স্বাধীন ক্ষমতা নেই। আল্লাহ পাকের এই দুই গজবে নিপতিত সকল ধর্মগুরুরা। কারণ, এ পৃথিবীতে যতবারই, যেখানেই এবং যখনই আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে মানুষের হেদায়েতের জন্য কোন বান্দা এসেছে ততবারই, সেখানেই এবং তখনই যুগের ধর্মগুরুরা ও তাদের লালিত পালিত ভক্তদের নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে চরম বিরোধিতা করেছে এবং এখনও করছে। আল্লাহ পাকের সাহায্যে তার প্রিয় বান্দাগণ ও তাদের ভক্তরা পৃথিবীতে বিজয় লাভ করেন এবং পরকালেও মুক্তি প্রাপ্ত বান্দাগণের অন্তর্ভূক্ত হন । আর আল্লাহ পাক তাদের বিরোধী যুগের ধর্মগুরু ও তাদের অনুগতদের জগতে নানা রকমের অপমান ও লাঞ্ছনাজনক শাস্তি দিয়ে ধ্বংস করেন এবং পরকালেও তাদের জন্য রেখেছেন ভয়াবহ শাস্তি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আজকের মত এখানেই শেষ করতে চাই। এ অধমের লেখায় যদি কোন ভুল ত্রুটি পরিলক্ষিত হয় তাহলে নিজ দয়াগুনে ক্ষমা করবেন। আমি অন্তর দিয়ে দোয়া করি আল্লাহ পাক যেন আপনাকে তার প্রিয়জনদের অন্তর্ভুক্ত করেন, আমিন
ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন
সেক্রেটারি
বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি আহবায়ক সমিতি
খোলা চিঠি ৭
খোলা চিঠি ৮
খোলা চিঠি ৯
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:১৮