মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আস সালামু আলাইকুম। নানান দুঃসময় ও দুঃসংবাদের মধ্যেও আশা করি মহান আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে ভাল আছেন। এ অধম, নগন্য গোলামও দয়াময় আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে ভাল আছি
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি আপনাকে বার বার বিরক্ত করছি এবং আশা করছি আমার এ লেখায় যদি অনিচ্ছা সত্বেও কোন আদব কায়দা লঙ্ঘন হয় তাহলে মা যেমন আপন ছেলেকে ক্ষমা করে তেমনিভাবে দয়া করে এ অধম গোলামকে ক্ষমা করে দিবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বর্তমান করোনার বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ আপনি করে যাচ্ছেন তা আমার মতে অত্যন্ত সুদক্ষ ও নিখুঁতভাবেই এগুচ্ছে। এ সমরে সম্মুখ সারির যোদ্ধারা হলো ডাক্তার, নার্স, সেনাবাহিনী, পুলিশ, RAB, আনসার ও অন্যান্য সক্রিয় বিভাগ। এদের যথাযথ প্রশিক্ষণ, প্রোটেকশন ও তাদের মনোবল বাড়াতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা অত্যন্ত দরকার। ইতিমধ্যেই পুলিশ বাহিনীর আট হাজারেরও বেশি সদস্য আক্রান্ত হয়েছে এবং অনেক সদস্য মারাও গিয়েছে। তেমনিভাবে প্রায় দেড় হাজার ডাক্তার করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং অনেক ডাক্তার মৃত্যুবরণ করেছেন। এসবের প্রভাব যেন তাদের ওপর না পড়ে সেই দিকে দৃষ্টি থাকা দরকার। এ পর্যন্ত আমি যা দেখেছি তাতে আপনি সকল দিকেই নজর রাখছেন বলে আমার মনে হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বেয়াদবি মাফ করবেন। আমি আপনাকে যা বলতে চাচ্ছি তা এক অজানা ভয়ে সুষ্পষ্ঠভাবে বলতে পারছিনা। শুধুমাত্র আকার ইঙ্গিতে বলার চেষ্টা করছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমি যা বলতে চাই তা আপনি ইশারা ইঙ্গিতে বুঝতে পারবেন। বর্তমান মরণঘাতী করোনা ভাইরাস এমনিতে আসে নাই। সৃষ্টিকর্তা বা আল্লাহ পাকের ইচ্ছা ছাড়া কোন কিছু সৃষ্টি হতে পারে না এবং মরতেও পারে না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ১৯১৮ সালে মরণঘাতী "ষ্প্যানিস ফ্লু" অসংখ্য মানুষের প্রান কেড়ে নিয়েছিল। আজ ঠিক এক শত বছরের মাথায় অর্থাৎ ২০২০ সালে আরেক মরণ ঘাতক করোনা বিশ্বের রাজা, মহারাজা, মন্ত্রী, সচিব, রাজনীতিবিদ, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, মোল্লা, মাওলানা, ডাক্তারসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রান কেড়ে নিয়েছে এবং এখনও নিচ্ছে। কোন শক্তিই এখনো তেমন প্রতিরোধ করতে পারছে না। বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও প্রতাপশালী রাষ্ট্রই করোনা ছোবলে তছনছ হয়ে গেছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি যদি দয়া করে একটু খেয়াল করেন তাহলে নিশ্চয়ই দেখতে পাবেন- আল্লাহ পাকের বানী "প্রত্যেক উম্মতের জন্য একটি নির্দিষ্ট কাল রয়েছে। যখন উম্মতের সেই নির্ধারিত কাল আসার সময় হবে, কেউই তা ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না কিংবা এগিয়েও আনতে পারবে না।" এবং শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ ( সঃ) বানী "নিশ্চয়ই প্রতি শতাব্দীর শিরোভাগে আল্লাহ পাক এই উম্মতের সংস্কারের জন্য একজন মোজাদ্দেদ বা সংষ্কারক পাঠাবেন", অর্থাৎ শেষ নবী নির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করে বলেছেন," নিশ্চয়ই একশত বছরের মাথায় একজন মোজাদ্দেদ বা সংষ্কারক পাঠাবেন"। আমার সুষ্পস্ট বিশ্বাস এই শতাব্দীর শেষ নবীর প্রতিনিধিকে অবিশ্বাস, অস্বীকার, অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতন করার কারণেই আল্লাহ পাকের এই আজাব গজব চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনাকে আমি একটা ফালতু কিংবা আজেবাজে কথা বলব, এটা কি হতে পারে? আমার কি কোন ভয় ডর নাই? এই শতাব্দীর শেষ নবীর প্রতিনিধিকে বেছে বের করে তার পরামর্শ মোতাবেক দোয়া খায়ের করলে ও বিধি বিধান মেনে চললে অবশ্যই শুধু বাংলাদেশ নয় সারা পৃথিবী থেকে সকল আজাব গজব আল্লাহ পাক তুলে নিবেন। এটা না করা হলে এর চেয়ে আরো কঠিন আজাব গজবে নিপতিত হবে সারা বিশ্ববাসী এবং আরো বহু লোকের জীবন অবসান হবে। এ ব্যাপারে আমি দৃঢ় বিশ্বাসী।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার প্রতি আমার সুগভীর শ্রদ্ধা, ভক্তি ও সম্মান রয়েছে। আপনি যদি ইচ্ছা করেন তাহলে শেষ নবীর এই শতাব্দীর প্রতিনিধিকে খুব সহজেই বেছে বের করতে পারবেন। এ ব্যাপারে এ অধম গোলাম আপনাকে যে কোন সময়ে যে কোন সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমার বয়সের শেষাংশে চাওয়া পাওয়ার আর কিছু নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি আপনাকে বিনীতভাবে অনুনয় বিনয় করে বলছি এ কাঙ্গালের কথাটি ভেবে দেখবেন। বাংলা ভাষায় একটা প্রবাদ আছে "কাঙ্গালের কথা বাশি হলেও ফলে" ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার নিজের, পরিবারের, বাংলাদেশ তথা বিশ্বের সকল মানুষের মঙ্গল ও শান্তির কথা বিবেচনা করে এ অধম গোলামের কথা দয়া করে একটু ভেবে দেখবেন। এতে তো আপনার কোন ক্ষতি হবে না কিংবা কোন কষ্টও পেতে হবে না। এ অধমের সকল ভুল ত্রুটির ক্ষমা প্রার্থনা করছি। মহান আল্লাহ পাক আপনাকে সুস্থ রাখুন, ভাল রাখুন ও তার নেক নজরে রাখুন, আমিন।
ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন
সেক্রেটারি
বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি আহবায়ক সমিতি
খোলা চিঠি ৭
খোলা চিঠি ৮
খোলা চিঠি ৯
খোলা চিঠি ১০
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:৪৮