কেস স্টাডি .:১:.
এক্স মনিপুর উচ্চ বিদালয়ের এক ছাত্রী ।চেহারা বইতে একাউন্ট খুলেই নিযুত উতসাহে ফ্রেণ্ড রিকোয়েস্ট প্রেরণ।ব্যাপক জাতীয় সেরা ছবিটা প্রোফাইল পিকচার হিসেবে সংযোজন।কমেন্টের উপর মন্তব্য আর মন্তব্যের উপর কমেন্টকরণ।
যাহোক,স্কুল নেটওয়ার্কে থাকার কারনে একটা রিকোয়েস্ট আমিও পেলাম।মেয়ে বলে এসেপ্ট করিনি।ফেক একাউন্টের জ্বালাতনে ইগনোর ও করিনি।তবে দুই তিন দিনের মাথায় যখন তাবত ক্লাসমেটগুলোর "মিউচুয়াল" হয়ে গেল, তখন মাঝে মাঝেই প্রোফাইলে চোখ পড়ত।কারন ততক্ষণে যে অনেকের ভাবনা শুরু হয়ে গেছে।ভাবনা ,তা নিয়ে খোচাখুচি--পাল্টা খোচাখুচি।সাইডলাইনে বসে উপভোগই করতাম।কার ভাবনার কতটুকু প্রোগ্রেস তার একটা আভাস যদি পাওয়া যায়!
কিন্তু এক্ জানত না যে, মেয়ে হিসেবে বন্ধু হবার অনুরোধ করা তার অন্যায়।বিশেষ করে ফেসবুকের মত নেটওয়ার্কে যেখানে মানুষ সময় কাটায় এই লিখে,
LOOKING FoR A ReLaTiOnShIp,
iNtErEsTed In WoMeN
দুই দিনে প্রোফাইল পিকচারটিতে কমেন্ট পরল ৩২টি।উহু বত্রিশ জনের নয়, এক জনেরই একাধিক কমেন্টস।নমুনা দেখবেন?
ish! amar jodi emon ekta gf thakto!
jibone erokom meye deki nai
tomar ki boy frienD ache?
seat khali hobe ki?
যাহোক, এগুলো সবই কমেন্ট, কি কি মেসেজ এক্স পাইয়াছে তাহা তো আমাদের জানার কথা নহে।বিষয়টা চিন্তা করে আবার বত্রিশ দন্ত বিকশিত করবেন না যেন।
এর পরের কাহিনি আরো ভয়ঙ্কর।বিচিত্র টাইপের পাবলিক বিচিত্র সিস্টেমে এক্স এর নেক নজর অর্জন করতে চেষ্টায় লাগিল।এর মধ্যে একজন আবার চ্যালেঞ্জ করিয়া বসিল,ছবি নাকি তাহার আসল নয়। ছবি ঠিক হইলেও নাকি বয়েস সঠিক নহে।ক্যামেরার ডেট এবং এক্স এর কথিত বান্ধবী স্বয়ং এর প্রতি সমর্থন জানাইল।
আর এক্স এর ভাগ্যে কি ঘটেছিল তা কি বলে দিতে হবে?আজ একাউন্ট পরিক্রমন করে দেখলাম তার সর্বশেষ activity টি তিন মাস আগের।সেই বিখ্যাত কুখ্যাত আলোচিত সমালোচিত ছবিটিও আর নাই।সাধের ফেসবুক!
একসময় সেই চ্যালেঞ্জার এবং এক্স এর কথিত বান্ধবীর স্বরুপ উন্মোচিত হইল।এরা দুইজন আর কেউ নয় আমাদের ক্লাসের সজীব।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



