somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শেখর গুপ্তের কথা এবং ২১ নভেম্বর :মে.জে. (অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শেখর গুপ্তের কথা এবং ২১ নভেম্বর
মে.জে. (অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক
এই কলামটি অতীতে লিখিত কলামগুলো থেকে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে লেখা।
আজকের কলামে আমার কথা কম, অন্যের কথা বেশি। অন্য বলতে আমি যেই
ব্যক্তির প্রতি ইশারা করছি তিনি হচ্ছেন শেখর গুপ্ত। তিনি ভারতের
অতি বিখ্যাত দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস নামক ইংরেজি ভাষার পত্রিকার
সম্পাদক। শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০১৩ দিনটা আমার জন্য একটু ব্যস্ত ছিল।
ঢাকা মহানগরের তোপখানা রোডে অবস্থিত জাতীয় প্রেস কাবের
দোতলায় ভিআইপি লাউঞ্জে বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত
একটা আলোচনা সভা ছিল। সেখানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। ওই
আলোচনা সভার বিষয়বস্তু ছিল ‘পুলিশি সন্ত্রাসে বিপন্ন নাগরিকতা’;
আয়োজক ছিল নাগরিক সংলাপ। আবার একই দিন বিকেল
৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত একই প্রেস কাবের দোতলায় কনফারেন্স
লাউঞ্জে আরেকটা আলোচনা সভা ছিল। সেখানেও আলোচক
হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। ওই দু’টি আলোচনা সভায় গুরুত্বপূর্ণ
জ্ঞানী ব্যক্তিরা জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য রেখেছিলেন; কিন্তু আজকের কলাম
ওই বিষয়গুলোর ব্যাখ্যা নয়। ১৬ নভেম্বর বিকেল ৪টায় যেই
আলোচনা সভা ছিল, সেটার আয়োজক ছিল ‘মুক্তিযোদ্ধা গণপরিষদ’ নামের
একটি সংগঠন। এই সংগঠনের সব সদস্য ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের
রণাঙ্গণের মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৯৫ সালে এই সংগঠনের জন্ম।
চাকরি থেকে আমি অবসর পাওয়ার পর এবং চাকরি-পরবর্তী এক বছর
এলপিআর বা প্রাক-অবসর ছুটি শেষ হওয়ার পর জুলাই ১৯৯৭ থেকে, যেদিন
(৪ ডিসেম্বর ২০০৭) বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রতিষ্ঠা বা জন্ম
ঘোষণা করি, তার আগের দিন পর্যন্ত আমি এই সংগঠনের প্রধান
উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছি। এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও
সাধারণ সম্পাদক যারা এখনো দায়িত্ব পালন করছেন, তারা হচ্ছেনÑ
মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ
খান। উলফাত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালে ঢাকা মহানগরে অপারেশনরত
ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য এবং সাদেক ছিলেন ঢাকা মহানগরেই
অপারেশনরত গেরিলাদের একজন। উলফাতের আপন বড় ভাই শহীদ
লেফটেন্যান্ট আশফাক উস সামাদ বীর উত্তম ছয় নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ
করেছেন এবং এখন কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে শায়িত আছেন।
১৬ নভেম্বর ২০১৩ বিকেল ৪টায় আলোচনা শুরুর আগেই আয়োজক সংগঠনের
সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত আলোচকদের তিন পৃষ্ঠার
একটি কাগজ দিলেন। কাগজটি হচ্ছে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত
একটি কলাম বা নিবন্ধের ফটোকপি। যেই কলামের লেখক ছিলেন শেখর গুপ্ত।
সেই তিন পৃষ্ঠা ওই সময় পড়েছিলাম এবং আবারো পড়লাম। এই কলাম
লেখার সময় পুনরায় ওই নিবন্ধের ফটোকপি ইন্টারনেট থেকে নিলাম।
ইন্টারনেট থেকে নেয়ার সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৫, রোববার ১৭ নভেম্বর ২০১৩।
ইংরেজি ভাষায় বা অরে ‘ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট : ডিয়ার নরেন্দ্রভাই :
দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ এইরূপ লিখে সার্চ দিলে নিশ্চয়ই পাঠক নিজেও
উদ্ধার করতে পারবেন। এতদসত্ত্বেও লিংকটি এখানে দিলাম। http://
Click This Link
narendrabhai/1162432/
আমার বিবেচনায়, শেখর গুপ্ত ভারতীয় চিন্তাশীল মহলের চিন্তার
বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন তার কলাম বা নিবন্ধে। আমি সেই কলামের
সারসংপে বা ভাবার্থ এখানে বাংলায় উদ্ধৃত করব। পাঠক কষ্ট
করে মনে করুন, শেখর গুপ্ত ভারতের বিখ্যাত রাজনীতিবিদ
এবং বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদিকে একটি চিঠি লিখছেন; এরূপ আঙ্গিকেই
ইংরেজিতে লেখা। অতএব বাংলায়ও আমি ওই একই আঙ্গিক বা স্টাইল
অনুসরণ করেছি।
আমার নিবেদন এই যে, এটা হুবহু আরিক অনুবাদ নয়, এটা ভাবার্থ
তবে যথাসম্ভব অনুবাদের কাছাকাছি।
উদ্বৃতি শুরু।
নরেন্দ্র ভাই। যদিও আমি এই চারজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে আপনার
থেকে বেশি ঘনিষ্ঠভাবে চিনি তথাপি আমি এই আবেদনটি তাদের
প্রতি না করে আপনার প্রতি করছি। তার দু’টি কারণ আছে। ওই চারজন
হলেনÑ সম্মানিত এল কে আদভানি, আমার পুরনো বন্ধু সুষমা সরাজ,
রাজনাথ ও অরুণ জেটলি। প্রথম কারণ হচ্ছে, আদভানি ও সুষমা এই
মুহূর্তে এমন কোনো বিষয়েই মনোযোগ দেবেন না, যেটা ভারতীয় রাজনীতির
এই মুহূর্তের প্রোপটে প্রতিপ শিবিরের সাথে আপসকামী মনে হয়। চারজনের
মধ্যে শেষের দুইজন আমার কাক্সিত বা উদ্বেগের
বিষয়টি নিয়ে চেষ্টা ইতোমধ্যেই করেছেন, এখনো করছেন; কিন্তু
মাঝে মধ্যে মনে হয় তারা ান্ত দেবেন। যদি ওই দুইজনও ান্ত দেন
তাহলে ভারতের চূড়ান্ত জাতীয় স্বার্থ বিপদগ্রস্ত হওয়ার
সম্ভাবনা আছে। তাই আমি আপনি নরেন্দ্র ভাইয়ের প্রতি আবেদন করছি যে,
আপনি আপনার মন ও প্রভাব বিনিয়োগ করুন।
আমি যেই ঘটনার প্রোপটের কথা বলছি, ঐরূপ ঘটনা বা মুহূর্ত একটি জাতির
ইতিহাসে হয়তো বা এক যুগে বা একাধিক যুগে একবার আসে। ওই ধরনের
মুহূর্তগুলোকে যদি সদ্ব্যবহার করা না হয়
বা ঘটনাগুলোকে সুনিপুণভাবে সামলানো না হয় তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ
প্রজন্ম আমাদেরকে মা করবে না। ওই ধরনের মুহূর্তগুলো সদ্ব্যবহার
করতে না পারার জন্য আমাদের জাতীয় অঙ্গনের বৃহৎ রাজনৈতিক
দলগুলোর মধ্যে বিদ্যমান দ্বন্দ্ব ও মতপার্থক্য
দায়ী হতে পারে অথবা যেকোনো একটি বড় দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বও
দায়ী হতে পারে। যে কারণেই হোক না কেন, আমাদের ব্যর্থতার
কোনো মা পাবো না। আমি যেই সুনির্দিষ্ট ঘটনা বা মুহূর্তের কথা আপনার
নিকট উপস্থাপন করতে চাচ্ছি, ভারতীয় জাতীয় স্বার্থের অনুকূলে সেই
ঘটনা বা মুহূর্তের ফয়সালা আপনার পার্টিতেই আটকে আছে। তাই
বিষয়টির প্রতি আপনার ব্যক্তিগত মনোযোগ ও সময় বিনিয়োগের জন্য আবেদন
করছি। দু-একটি ঘটনা আপনাদের দলের জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের কারণেই ঘটে গেছে।
এখন ভারত যদি এই মুহূর্তে যেই সুযোগের কথা বলছি সেই সুযোগ হারায়,
তাহলে আপনি নেতা হিসেবে ুদ্র হয়ে যাবেন নিজের দলের ভেতরে তো বটেই,
এমনকি জাতীয় অঙ্গনেও।
ওপরের দুই অনুচ্ছেদে যে দীর্ঘ সূচনা দিলাম সেটার প্রয়োজন ছিল। কারণ
আমার বক্তব্য বাংলাদেশকে নিয়ে। আপনাদের দলীয় বা আপনাদের
মতাদর্শগত রাজনীতিবিদদের ধারণা, বাংলাদেশ হচ্ছে ভারতের পূর্ব
সীমান্তে আরেকটি পাকিস্তান। আমি মনে করি, এই মুহূর্তে একটি সুযোগ
এসেছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ইতিহাস বদলানোর এবং প্রোপট
বদলানোর। আমি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বারিতব্য ভূ-
সীমান্তরেখা চুক্তি (ইংরেজিতে ল্যান্ড বাউন্ডারি এগ্রিমেন্ট)
প্রসঙ্গে বলছি। আপনারা এই চুক্তির বিরুদ্ধে কোনো যুক্তি আনেননি।
অনেকবার আপনারা যুক্তির পইে বলেছেন, কিন্তু চূড়ান্ত পর্যায়ে আপনার
দল লোকসভায় উপযুক্ত ভোটটি দেয় না। ভারতীয় সংবিধান সংশোধন
করতে হবে এই চুক্তি স্বারের নিমিত্তে, তাই আপনাদের ভোট প্রয়োজন।
বিজেপির আসাম প্রাদেশিক শাখা আপত্তি করছে, এই
ঠুনকো অজুহাতে লোকসভায় চুক্তিটি পাস করার অনুকূলে আপনারা ভোট
দেন না। অতএব আমি এই চুক্তিটির তাৎপর্য আপনার নিকট উপস্থাপন
করছি।
আমি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি পাকিস্তান ও ভারতের মধে স্বারিত
সিমলা চুক্তির প্রতি। সে সময়
আমরা ইচ্ছা করলে কাশ্মিরে এলওসি রেখাটিকে আনুষ্ঠানিকভাবেই
কাশ্মির অঞ্চলে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার আন্তর্জাতিক
সীমান্ত রেখা হিসেবে অনুমোদিত করে নিতে পারতাম।
ইন্দিরা গান্ধী ভুল করেছিলেন। সেই ভুলের মাশুল ভারতের পশ্চিম
সীমান্তে আমরা এখনো দিচ্ছি। সুতরাং ভারতের পূর্ব সীমান্তে একই
প্রকারের ভুল কেন আমরা আরেকবার করব বা আমাদের কি আরেকবার
করা উচিত? যদি করি তাহলে একমাত্র কারণ হবে এই যে, আপনার
দলে ‘হস্তিনাপুর মারাঠিগণ’ একমত হতে পারছেন না। আর আপনি যদি এখন
আপনার মনোযোগ ও প্রভাব বিস্তার করতে না পারেন,
তাহলে আপনি কেমন নেতা? আপনার বোঝার সুবিধার্থে ভারত-
বাংলাদেশের মধ্যে প্রস্তাবিত বা স্বারিতব্য যেই ভূ-সীমান্ত
রেখা চুক্তির কথা বলছি, তার একটু ব্যাখ্যা ও প্রোপট দিই।
আমি দু’টি পয়েন্ট আপনার সামনে তুলে ধরব।
প্রথম পয়েন্ট। ১৯৪৭ সালে স্যার সিরিল রেডকিফ যখন
সীমান্তরেখা টেনে দিয়েছিলেন তখন সীমান্তরেখার উভয় পাশে প্রত্যেক
পরে বা অন্য পরে কিছু কিছু জায়গা রেখে দেয়া হয়েছিল, যেগুলোকে এনকেইভ
বা ছিটমহল বলা হয়। সেগুলোতে সংশ্লিষ্ট এলাকার আয়তন কম,
জনসংখ্যাও অনেক না। কিন্তু ওই জনসংখ্যা আসলে কোনো দেশেরই
নাগরিক নয় এবং অনেক বেআইনি কাজে জড়িত থাকে। বিভিন্ন
জেহাদি গ্র“প এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই
তাদেরকে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে।
সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ভারতবান্ধব
উদার মনোভাবাপন্ন সাহসী সরকার মতায় আসার কারণে এই
ছিটমহলগুলোর বিনিময় এবং দুই দেশের মধ্যকার আন্তর্জাতিক
সীমান্তরেখা সহজ করার (ইংরেজিতে রেশনালাইজ) সুযোগ এসেছে।
পাশাপাশি যৌথভাবে বর্ডার ম্যানেজমেন্ট বা সীমান্ত ব্যবস্থাপনার
একটি চুক্তি ইতোমধ্যে স্বারিত হয়েছে; কিন্তু সেই ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন
সম্ভব হচ্ছে না ছিটমহলগুলো প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত না হওয়ায়। ভারতের
কোনো ভূখণ্ড হারাতে হবে না। বাংলাদেশ ৫০০ হেক্টর হারাতে পারে।
ভারত সরকার সবাইকে ব্রিফিং করেছে। আসাম গণপরিষদ এইরূপ
একটি চুক্তির বিরোধিতা করছে জোরালোভাবে।
বিজেপি দলগতভাবে প্রকাশ্যে বিবৃতির মাধ্যমে সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু
কংগ্রেসের সাথে আপনার দলের সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় এবং আপনার
দলের অভ্যন্তরে নেতাদের মধ্যে (আরএসএসের মনোযোগ পাওয়ার জন্য)
প্রতিযোগিতা তীব্র হওয়ায় এই চুক্তি পার্লামেন্টে প্রকাশ্যভাবে পাস
হচ্ছে না যথেষ্ট সমর্থনের অভাবে।
ভারতের অভ্যন্তরে মোটামুটি একটি রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হওয়ায়
এবং ঐরূপ ঐকমত্য প্রকাশ্যে দর্শনীয় হওয়ায়, রাষ্ট্রপতি প্রণব
মুখার্জি ২০১৩ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ
সফরকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বক্তৃতাকালে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছিলেন
যে, সীমান্ত চুক্তি ভারতীয় পার্লামেন্টে রেটিফাই বা অনুমোদিত হবে।
এখন ২০১৩ সালের অক্টোবর মাস চলছে। এখনো অনুমোদন হয়নি। যদি অনুমোদন
না হয়, তাহলে এটা ভারতের জন্য অপমান (ইংরেজিতে ডিসগ্রেইস)।
এবং অবশ্যই ভারতের জন্য একটি কৌশলগত সুযোগ হারানো। এ রকম
কৌশলগত সুযোগ আগামীতে কবে আসবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। ২০১৩
সালের ডিসেম্বরে অথবা ২০১৪-এর জানুয়ারিতে বাংলাদেশের সাধারণ
নির্বাচন। শেখ হাসিনা অবিশ্বাস্য রকমের সাহস প্রদর্শন
করে বাংলাদেশ সরকারের ভারতনীতি অতীতের তুলনায় সম্পূর্ণ
ঘুরিয়ে দিয়েছেন। ওই পরিপ্রেেিত আমরা যদি দু’টি পবিত্র (ইংরেজিতে সলেম)
বিষয়ে চুক্তি স্বার করতে না পারি যথাÑ মমতার বাধার
কারণে আটকে থাকা তিস্তার পানি চুক্তি এবং সার্বিক দুর্বলতার
কারণে আটকে থাকা ভূ-সীমান্তরেখা চুক্তি, তাহলে এ বিষয়টি শেখ
হাসিনার জন্য বড় রকমের বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি করছে এবং করবে।
এটা শেখ হাসিনার জন্য প্রায় আত্মঘাতী বিড়ম্বনা। কারণ, শেখ
হাসিনার সমালোচকেরা বলছে এবং বলবে যে, শেখ হাসিনার নতজানু
ভারতনীতি বাংলাদেশের জন্য কিছুই আনতে পারেনি।
যদি আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা হেরে যান এবং ইসলামিক শক্তির
(ইংরেজিতে ইসলামিস্ট ফোর্সেস) সহায়তায় খালেদা মতায় ফিরে আসেন,
তাহলে সবচেয়ে বড় লুজার বা তির শিকার হবে ভারত।
আগামী নির্বাচনে আপনাদের দল মতায় গিয়ে প্রস্তাবিত ভূ-
সীমান্তরেখা চুক্তির খসড়া যেটা টেবিলে আছে সেটা পড়ার সুযোগও
পাবেন না, তার আগেই সেটা খালেদা জিয়ার সরকার বাতিল
করে দেবে। অতএব, আপনাদের হাতে নষ্ট করার মতো সময় নেই।
দ্বিতীয় পয়েন্ট। আমি মনে করি যে, যেই সুযোগটি আমাদের সামনে এসেছে, এ
রকম একটি সুযোগ একটি প্রজন্মে একবারই আসে। আমি মনে করি,
এটি একটি কৌশলগত (স্ট্র্যাটেজিক) সুযোগ। আমি ব্যাখ্যা দিই।
পাকিস্তানের রাজনীতি সমাজ এবং জনমত ভারতের অনুকূলে পরিবর্তন
হওয়া যেমন প্রয়োজন, তেমনি বাংলাদেশের রাজনীতি সমাজ
এবং জনমতও ভারতের অনুকূলে পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন। শেখ
হাসিনা বাংলাদেশের রাজনীতি সমাজ
এবং জনমতকে ভারতমুখী তথা ভারতের অনুকূলে করতে চেষ্টা করেই
যাচ্ছেন। একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশ ছিল ভারতের
বিদ্রোহী জনগোষ্ঠীর (ইংরেজিতে রেবেল) অভয়াশ্রম, বিশেষ করে উলফার।
একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশ ছিল পাকিস্তানের আইএসআই
এবং জেহাদি গোষ্ঠীদের খেলার মাঠ। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ
ভারতের ঘনিষ্ঠ মিত্র। আপনি (নরেন্দ্র ভাই) খেয়াল করুন যে, বাংলাদেশ
কী নিয়মে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বিদ্রোহী উলফা নেতা অরবিন্দ
রাজখোয়াকে আমাদের নিকট ফেরত দিয়েছে এবং কী নিয়মে বাংলাদেশ
নিজের কাছেই অনেক রিস্ক নিয়ে অনুপ চেটিয়াকে আটকে রেখেছে।
আমি আপনার কাছে আরো কয়েকটি তথ্য বা বিষয় উপস্থাপন করছি আপনার
বিবেচনার জন্য। ত্রিপুরার মাটির নিচে অনেক গ্যাস আছে। ত্রিপুরা এই
গ্যাসকে জ্বালানি তথা বিদ্যুতে রূপান্তরিত করতে পারছে কারণ
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় বিশাল আকৃতির
জেনারেটরগুলো বাংলাদেশের নদীর ওপর দিয়ে ভাসমান অবস্থায়
এবং নদীর ওপর বাঁধ দিয়ে রাস্তা বানিয়ে পার করে পশ্চিমবঙ্গ
থেকে ত্রিপুরা পৌঁছানোর সুযোগ করে দিয়েছে। বাংলাদেশ যদি এই সুযোগ
করে না দিত তাহলে আমাদের উত্তর-পূর্ব প্রদেশগুলোর ঘোরানো-
প্যাঁচানো পার্বত্য রাস্তাগুলো বেয়ে বেয়ে ওই বিশাল আকৃতির
জেনারেটরগুলো কোনো দিনই নেয়া যেত না। এই ঘটনার কারণে আইএসআই
বাংলাদেশে তার দোকানপাট বন্ধ করে ফেলেছে। বাংলাদেশ রাইফেলস
নামক আধা সামরিক বাহিনীকে বাতিল বা ভেঙে দিয়েছে (আপনার
কি মনে আছে সেই বীভৎস চেহারা যখন বিএসএফের টহল দলের
সদস্যদেরকে মেরে সেই মৃতদেহকে বাংলাদেশের বিডিআর কেমন করে বহন
করে নিচ্ছিল, সেই ছবিগুলোর কথা?) শেখ হাসিনার সরকারের
অধীনে বা আমলে আদালতগুলো জেনারেল জিয়াউর রহমান
এবং জেনারেল এরশাদ কর্তৃক জারি করা সামরিক শাসনকে (মার্শাল
ল) অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছে এবং আরিক অর্থেই
বাংলাদেশকে ইসলামি রাষ্ট্র ঘোষণা করা হয়েছিল ওইরূপ
বিধানগুলো আদালত কর্তৃক বাতিল করা হয়েছে। কোনো-না-
কোনো অতি উদার ব্যক্তি অবশ্যই বাংলাদেশ সরকারের
বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেন যে, কেন
তারা জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করল বা কেন
তারা জামায়াতের পুরনো কট্টর নেতাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে? কিন্তু
সেটা নিশ্চয়ই আপনার দলের অবস্থান হতে পারে না।
আপনি (নরেন্দ্র ভাই) কি জানতে চান, লাভগুলো কত অস্থায়ী? যেই
কট্টরপন্থী নেতাকে প্রথম মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে তার নাম আবুল
কালাম আজাদ, যাকে অনেকেই বাচ্চু রাজাকার বলত,
তিনি পাকিস্তানে পালিয়েছেন এবং এখন তিনি সেখানকার জেহাদিদের
আশ্রয়ে আছেন। আরো অনেক কট্টরপন্থী যারা এখন বিচারাধীন
তারা হাসিনা সরকারের পতনের জন্য অপো করছেন। বাংলাদেশের
বর্তমান কট্টরপন্থীদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হেফাজতে ইসলাম। এই
হেফাজতে ইসলামের জন্ম চট্টগ্রাম থেকে এবং এই হেফাজতে ইসলামের
১৩ দফা দাবিনামা সরাসরি তালেবানদের দাবিনামা থেকে ধার
করা বা নকল করা। আমি আপনার (নরেন্দ্র ভাই) সাথে একমত হতেও
পারি আবার নাও হতে পারি, কিন্তু আমি এটা জানি যে,
আপনি (বা আপনারা) মনে করছেন আপনি আগামী গ্রীষ্মকালে মতায়
আসীন হচ্ছেন। আপনি বা আপনারা মতায় আসীন হয়েছেন ওইরূপ ভবিষ্যৎ
প্রোপট সত্য ধরেই, আপনি এখন বিশ্লেষণ করুন ভারতের পূর্বপ্রান্তে কেমন
বাংলাদেশ আপনি কামনা করেন? কেমন বাংলাদেশ কামনা করেন সেই
প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সুযোগ আপনার সামনে এখন উপস্থিত।
যারা আপনার সমালোচক, যারা আপনার শত্র“, এমনকি যেসব
সংখ্যালঘু আপনাকে ভয় করে তারাও আপনাকে একজন জাতীয়
নেতা হিসেবে একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে সম্মান
করবে যদি আজকে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নেন। উদ্বৃতি শেষ।
২০১৩ সালের নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ প্রায় শেষ। ২১ নভেম্বর
সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে উদযাপিত হবে। ওই দিবসে সব অবসরপ্রাপ্ত
সামরিক কর্মকর্তা দাওয়াত পান। বাংলাদেশের আট-
দশটি সামরিকনিবাসে বা সেনানিবাসে এ উপলে অনুষ্ঠান হবে। ওই
সেনানিবাস যেই এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার সব চাকরিরত সামরিক
অফিসার, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক অফিসার, গণমান্য বেসামরিক
সরকারি কর্মকর্তা এবং গণ্যমান্য নাগরিক দাওয়াত পাবেন
এবং উপস্থিত থাকবেন। এটিই রেওয়াজ। সামরিক বাহিনীর
সাথে বেসামরিক জগতের সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক
পুনঃস্থাপনে ২১ নভেম্বরের অনুষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সব
সেনানিবাসের মধ্যে ঢাকা সেনানিবাস হলো সবচেয়ে বড়।
ঢাকা সেনানিবাসের অভ্যন্তরে অবস্থিত সেনাকুঞ্জ নামক অনন্য সুন্দর
স্থাপনার প্রাঙ্গণে প্রতি বছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের
অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়। ওই দিবসের সকালেও অনেক কিছু হয়।
তবে অপরাহ্ণের অনুষ্ঠানগুলোই গুরুত্বপূর্ণ। অবসর নেয়ার পর প্রথম ১৫ বছর
দাওয়াত পেতাম এবং উপস্থিত থাকতাম। বিগত দুই বছর দাওয়াত পাই
না অতএব উপস্থিত থাকি না। দাওয়াত না পাওয়ার কারণ,
আমি প্রকাশ্যে রাজনীতি করি। বলাই বাহুল্য যে, বাংলাদেশ কল্যাণ
পার্টি বর্তমান মতাসীন সরকারের বিরোধী ১৮ দলীয় রাজনৈতিক জোটের
অন্যতম শরিক দল। সোচ্চার রাজনীতিবিদ হওয়ার
কারণে আমাকে সেনাকুঞ্জে দাওয়াত দেয়া হয় না। আমি একা নই,
আমার মতো এরূপ আরো অনেক অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সামরিক
কর্মকর্তা আছেন যাদেরকে দাওয়াত দেয়া হয় না রাজনৈতিক মতামতের
কারণে। এবং এই রেওয়াজটি অনেক পুরনো। অতএব, এটা এই মুহূর্তের
মতাসীন গোয়েন্দা বাহিনীগুলোর দোষ নয়।
গোয়েন্দা বাহিনীগুলো মনে করে বা তাদের অনুভূতি হলো রাজনীতিবিদ
ইবরাহিম বা ক, খ, গ, ঘ যদি সশস্ত্র বাহিনী দিবসের
অনুষ্ঠানে সেনাকুঞ্জে উপস্থিত থাকে এবং যদি চাকরিরত অফিসারদের
সাথে কথা বলেন তাহলে চাকরিরত অফিসারগণ জেনারেল ইবরাহিমের
রাজনৈতিক মতে দীতি হয়ে যেতে পারেন। ব্যাখ্যা না করেও বলা যায়
যে, রাজনীতির অঙ্গনে দু’টি অংশ থাকে যথা সরকারি অংশ ও
বিরোধী অংশ। বিবেকবান ও বুদ্ধিমানদের জন্য বিবেচ্য হলো এই যে,
বিরোধী দলের রাজনীতিবিদদের রাজনীতি যদি ছোঁয়াচে রোগের মতো হয়
তাহলে সরকারি দলের রাজনীতিবিদদের রাজনীতি কি ছোঁয়াচে রোগের
মতো হতে পারে না?
২১ নভেম্বর যেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিবস তেমনি বিজয় দিবস
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিবস। ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বরে তৎকালীন যুদ্ধরত
বাংলাদেশের প্রায় সব সেক্টরে তথা সীমান্তের অনেক
স্থানে মুক্তিযোদ্ধারা বা মুক্তিবাহিনী একযোগে পাকিস্তানি বাহিনীর
ওপর নতুন উদ্যোগে সমন্বিতভাবে আক্রমণ রচনা করেছিল। তাই এই
দিবসটিকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অপরপে ১৬
ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরাজিত হয়ে আত্মসমর্পণ
করেছিল, কিন্তু মুক্তিবাহিনীর নিকট নয়। ২১ নভেম্বর সেনাকুঞ্জের
অনুষ্ঠানে দূর অতীতে শেখ হাসিনা এবং বেগম খালেদা জিয়া উভয়ের
মধ্যে দেখা-সাাৎ হয়েছিল। অর্থাৎ সেনাকুঞ্জ তথা সশস্ত্র
বাহিনী দিবস তথা বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী তথা মহান মুক্তিযুদ্ধ
জাতীয় ঐক্যের প্রতীক, জাতীয় অগ্রগতির প্রতীক। একই
কথা ভবিষ্যতের জন্য প্রযোজ্য হবে কি হবে না সেটা জানি না। কিন্তু
মুক্তিযোদ্ধা ইবরাহিম চায় মুক্তিযুদ্ধ যেন জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হয়,
মুক্তিযুদ্ধ যেন জাতীয় অগ্রগতির প্রেরণা হয়, মুক্তিযুদ্ধ যেন জনসংখ্যার
এই মুহূর্তের ৭০ ভাগ তথা তারুণ্যের চিন্তা ও চেতনার উৎসভূমি হয়।
মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন বাংলার মুসলমান হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সবাই
সম্মিলিতভাবে এবং মহান মানব ধর্ম দ্বীন ইসলামের কোনো শিা মহান
মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না বা আজো নেই। অতএব মুসলমান তরুণগণও
নিজেদের বে যেমন দ্বীন ইসলামের মূল্যবোধকে লালন করবেন
তেমনি মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক চেতনাগুলোকে লালন করবেনÑ এই
কামনা আমি করি। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাজনৈতিক
মটো বা আদর্শ-নীতি হলো ‘পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি’। আমরা চাই
মুক্তিযুদ্ধ আগামী প্রজন্মকে একতাবদ্ধ রাখুক, বর্তমান প্রজন্মের
বিভক্তিকে দূরীভূত করুক। সেটা শুরু হতে পারে ২০১৪ সালের নভেম্বর
মাসের ২১ তারিখের সেনাকুঞ্জের দাওয়াত থেকে।
চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি
http://www.generalibrahim.com
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গ্রামে থেকে যাওয়ার চিন্তা করছি

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৬

ঢাকা ছেড়ে গ্রামে
ঢাকা ছেড়ে আমার নিজ গ্রামে থাকছি প্রায় দুই সপ্তাহ হতে চললো। শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ বেশ ভালোই লাগছে! যদিও শীতের রাতে বাড়ির পাশে শিয়ালদের হুক্কাহুয়া মাঝে মাঝে ছওমকে দেয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মজনু নামাজ পড়ার পর মোনাজাত ধরল তো ধরলই, আর ছাড়তে চাইল না | পাক আর্মির বর্বরতা!!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭



১৯৭১ সালে পাকিস্তানী আর্মি পুরো বাঙালী জাতির উপর যে নৃশংস হত্যাংজ্ঞ, বর্বরতা চালিয়েছে যা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। সত্যি বলতে ১৯৭১ সালে বাঙালী জাতির উপর পাকিস্তানী আর্মি কর্তৃক... ...বাকিটুকু পড়ুন

সব দোষ শেখ হাসিনার !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৬


অনেকদিন পর zahid takes এর ডা. জাহেদুর রহমানের এনালাইসিস ভিডিও দেখলাম। জুলাই আন্দোলনের পূর্বে বিশেষত যখন র‍্যাব স্যাংশন খায় তখন থেকেই উনার ভিডিও দেখা আরম্ভ করি। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার মাঈনউদ্দিন মইনুলকে ১৩ বছর পুর্তি উপলক্ষে অভিনন্দন।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৭



সামুর সুসময়ের আদর্শ ব্লগারদের মাঝে মাঈনউদ্দিন মইনুল হচ্ছেন একজন খুবই আধুনিক মনের ব্লগার; তিনি এখনো ব্লগে আছেন, পড়েন, কমেন্ট করেন, কম লেখেন। গত সপ্তাহে উনার ব্লগিং;এর ১৩ বছর পুর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিয়তির খেলায়: ইউনুস ও এনসিপিনামা

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৪



২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া আমেরিকান চলচ্চিত্র 'আনব্রোকেন' একটি সত্যি ঘটনার ওপর নির্মিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে, আমেরিকান বোমারু বিমানের কিছু ক্রু একটি মিশন পরিচালনা করার সময় জাপানিজ যুদ্ধ বিমানের আঘাতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×