সংখ্যালঘুরা হবে বলির পাঁঠা। নাৎসিদের
বিচার আর দক্ষিণ আফ্রিকা বা বাংলাদেশের
প্রক্ষাপট ভিন্ন। ম্যান্ডেলার
ফর্মুলা অনুযায়ী জামায়াত-শিবিরসহ সব
দলকে নিয়েই রাজনীতি করতে হবে কারণ
এরা অন্য দেশে যাচ্ছে না। শিবসেনা, বিজেপি,
হিন্দু মহাসভাকে নিয়েই ভারতের রাজনীতি।
আইন, সংবিধান, ব্যক্তিগত কষ্ট, পাশ
কাটিয়ে একক
সিদ্ধান্তে ম্যান্ডেলা যা করেছেন, সুফল
ভোগ করছে দণি আফ্রিকা। ১৩ বছর
ধরে পক্ষ-বিপক্ষের যুদ্ধ ছাড়া আর
কী করেছি? বুঝলাম, হাসিনাই ১০০ ভাগ ঠিক
কিন্তু এভাবেই কি আগামীর ১০-২০ বছর
চলবে? তাহলে স্বেচ্ছায় যে দায়িত্ব
নিয়েছেন হাসিনা, ৯০ শতাংশের স্বার্থে ১০
শতাংশকে হয় মানতে হবে, নয় অন্য
দেশে পাঠিয়ে দিতে হবে, কারণ
এভাবে চলা সম্ভব নয়। সর্বস্তরের
জিঘাংসা যেমন বেড়েছে, বাংলাদেশের
অস্তিত্বও তেমনই হুমকির মুখে। বিচারের
কারণ ম্যান্ডেলারই বেশি এবং গৃহযুদ্ধের
ঝুঁকি আমাদেরই বেশি কারণ আমাদের
সংস্কৃতি, গায়ের রঙ, ধর্ম এক হলেও
ওরা সাদা বনাম কালো। বাইরের শত্র“র
সাথে যুদ্ধ শেষ হয় কিন্তু ঘরের যুদ্ধ
চলে অনন্তকাল। বুঝতে হবে যে,
ম্যান্ডেলা সাদা-কালোদের
মতো আমাদেরকেও সবাইকে নিয়েই বাস
করতে হবে। এক ধর্ম, বর্ণ, ভাষার মানুষের
মধ্যে আদর্শের যুদ্ধ আসলেই কোনো যুদ্ধ
নয়। না মানলে ম্যান্ডেলার মতো দেশী-
বিদেশী অর্থনৈতিক চাপে রেখেই পতন
ঘটাতে হবে। কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত
জেদে সত্যি সত্যিই গৃহযুদ্ধ শুরু হলে, সেই
দায়িত্ব গোটা জাতি বহন করবে না। আর কত
লাশ পড়লে ‘চৈতন্য’ উদয় হবে? কবে দেখব
বুদ্ধিজীবীদের অসহযোগ আন্দোলন!
নিউ ইয়র্ক প্রবাসী
[email protected]

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



