রফিকুল ইসলাম ঃঃঃঃঃ-----
যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে দেশে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুব- উল-আলম হানিফ বলেছেন, এর সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া জড়িত থাকলে তারও বিচার করবে সরকার।
যুদ্ধাপাধের বিচারের রায় ঘোষণার সময় এগিয়ে আসায় জামায়াতে ইসলামী সহিংস হয়ে উঠেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় প্রকাশের দিন যতো ঘনিয়ে আসছে পাকিস্তানি এজেন্ট হিসেবে জামায়াতে ইসলামী ততোই সহিংস হয়ে উঠছে এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
“এর সঙ্গে খালেদা জিয়াও যদি জড়িত থাকেন, তারও এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নাই। সরকার তারও বিচার করবে।”
সহিংসতার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সোমবার দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রোববারের অবরোধে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের বিভিন্ন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের হরতাল ‘ব্যর্থ’ হয়েছে বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
সমাবেশে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, “রাজনৈতিক সহিংসতা নয়, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই রাজনৈতিক সঙ্কটের সমাধান করতে হবে।”
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল ও নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতেই বিএনপি-জামায়াত এই হরতাল করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুণ অর রশীদ, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
নির্দলীয় সরকারের দাবিতে রাজপথ অবরোধ কর্মসূচিতে পুলিশের ‘বাধার’ অভিযোগে সারা দেশের সকাল-সন্ধ্যা এই হরতাল করছে বিরোধী দল।
হরতালকারীরা সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে গাড়ি ভাংচুর করে। তবে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হরতালবিরোধী মিছিল করে। এসব মিছিল পরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে প্রায় সারা দিনই গুলিস্তান আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়ে হরতাল ও জামায়াতবিরোধী স্লোগান দিতে বলা হয়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


