ফেসবুকে আমি কোনো ষ্টেটাস লিখলে আমার বেশ কিছু শুভাকাঙ্খী আছেন যারা সেটা নিয়ে খোজ খবর করেন।
সাফল্যের কিছু থাকলে অভিনন্দন জানান।
ব্যার্থতায় স্বান্ত্বণা দেন।
সেই সব বিষয় নিয়ে আমি ভালোই ছিলাম। কিছু ভার্চুয়াল দুনিয়ার মানুষজন আমার জন্য আছেন। মন ভালো হয়ে যেত।
তো সে ধারাবাহিকতায় একদিন লিখলাম, ইশতিয়াক আহমেদ আর ফিরবেন না। আমি ভেবেছিলাম, সে শোকে ফেসবুকভেসে যাবে। চোখের জলে ফেসবুকের যাবতীয় শব্দাবলীর কালি উঠে যাবে।
অবাক হলাম। দুয়েকজন এমন কথা লিখতে না করলেও দেখলাম প্রচুর লাইক পড়ে আছে।
হতাশ হলাম, হায়! আমার না থাকাটাকে কি পরিমান এপ্রিশিয়েট করছে আমার শুভাকাঙ্খি বন্ধুরা।
সে দুঃখকে ভেতরে নিলেও, চিন্তা করলাম ওটা বোধ হয় স্লিপ অব ফিঙ্গার। এমনিতেই মাউসে টিপ লেগে গেছে।
তার অনেকদিন পর আজ লিখলাম, কষ্টে আছে ইশতিয়াক। আজও ধারণা ছিল, দুঃখের স্রোত আটকানো যাবে না।
অতিরিক্ত মন খরাপের কারনে অফলাইন হয়ে গিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। ওঠে দেখি মহা কেলেঙ্কারী। আবারো সেই অনেকের 'লাইক'।
রাগে দুঃখে অপমানে পাথর হয়ে গেলাম।
এতাক্ষণ পর ষ্টেটাস মুছে ফেলার চিন্তা করেও সেটা মুছতে পারলাম না। কারন, যা হবার হয়ে গেছে। যা জানার জাতি তা জেনে গেছে।
হায়, নিয়তি! আমার প্রতি মানুষের ভালোবাসার গভীরতা নিয়ে কী গর্ব-ই না ছিল।
আজ সব-ই মাটিতে মিশে বিলীণ।
কষ্ট শেয়ার করে বেড়ে যাওয়া কষ্টের লোড নিতে এখন হিমশিম খাচ্ছি।
যা বুঝলাম, আমার আসলে কষ্টও পেতে নেই। স্বান্ত্বণা হিসেবে কষ্ট নিয়েই আসে শুভাকাঙ্খীরা।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



