সাদেক রাস্তা দিয়ে একা একা হাটছে।তার টাকার প্রয়োজন,টাকা না পেলে তার বাবা মারা যাবে।সে সকাল থেকে এই পর্যন্ত ৮-১০ জন এর বাসায় গিয়েছে টাকার জন্য,কিন্তু টাকা যোগার হয় নি।শেষ পর্যন্ত সে আর টাকার বেবস্থা করতে পারল না।সে এখন কাদতেও পারছে না।এক অদৃশ্য শক্তি তাকে ধরে রাখছে, সে আর চলার শক্তি পাচ্ছিল না। ঠিক এমন সময় একটা ফোন কল তাকে আশার আলো দেখাল।রাছেল কিছু টাকা যোগার করেছে।টাকা নিয়ে আসার জন্য ফোন করেছে।রাছেল বলেছে আমি এতটুকু ম্যেনেজ করতে পেরেছি।তুই এগুল নিয়ে হাসপাতালে যা,ডাক্তার ককে বল ওপারেসন শুরু করতে বাকি টাকা যোগার হয়ে যাবে।
সাদেক এক প্রশান্তির নিশ্বাস ফেলল।চিন্তা করল যারা তাদের উপকারে আসার কথা তারাই তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে,কিন্তু যার কাছ থেকে কখনো চিন্তাও করিনি টাকার সেই আজ উঠে পরে লেগেছে।বাবা তুমি ভুল ছিলে, তুমি বলেছিলে সব সময় সৎ পথে চলতে।কিন্তু সৎ পথে রোজগার করেও আজ তোমাকে বাচানোর জন্য মাানুষের দারে দারে ফিরতে হচ্ছে।
এই ভেবে ভেবে সাদেক টাকার ব্যগ টা নিয়ে হাটছিল,ঠিক সেই মুহূর্তেই একজন লোক তার ব্যগটা ছিনতাই করে নিল,সাদেক শত চেষ্টা করেও পারল না তার বাবার চিকিৎসার টাকা গুল ছিনতাই কারির হাত থেকে নিতে।সে পথেই বসে পরলো,সে আর তার বাবাকে বাচাতে পারল না।তার চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে।সে কিছুই দেখছেনা।সাদেক সেন্সলেস হয়ে পরে।
কিন্তু যখন তার হুস হল তখন খুব দেরি হয়ে গেছে।সে নিশ্চিত টাকার অভাবে তার বাবার মৃত্যু হয়েছে।সে ছুটে হাসপাতালে গেল,সে দৌড়াতে লাগল,তার বাবার কাছে যেতেই সে অবাক তার বাবার চিকিৎসা হয়ে গেছে।ডাক্তারের কাছে জানতে চাইলে,ডাক্তার জানান যে একটি লোক এসেছিল তার কাছে আপনার বাবার রিপোর্ট কার্ড ছিল, সে সকল চিকিৎসার খরজ দিয়েছে।
সাদেখ ধাঁধায় পরে গেল, কে এসেছিল, তাও আবার রিপোর্ট কার্ড নিয়ে?।
তখন তার মনে পরল তার যে ব্যগে টাকা ছিল সেটাতেই রিপোর্ট কার্ড ছিল,তাহলে কি ছিনতাই কারি এই সব করেছে।সে মনে মনে ভাবতে লাগল তার আপন জনরাই তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে,কিন্তু একটা চোরও সেই মানবিকতা অর্জন করেছে,হায়রে কি আজব এই দুনিয়া।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


