কিরে তুই পেন্সিল কইত্তে আনছস?
আম্মা আর কইওনা,আমি পুকুরের কাছে দাঁড়াইছি পুকুরতে একটা হাত উঠছে,হেই হাতটা আমারে এই পেন্সিল দিয়া গেছে।
সোহেল বাচ্চা ছেলে তার কথা শুনে তার মা হাসল।একটু পর তার ভাই এসে সোহেল কে ডাক দেয়।
কিরে সোহেল তুই বলে দোকান তে বাকিতে পেন্সিল আনছস।
হ ভাই আমি লেহুম,ইল্লাইগ্গা আনছি।
এমন সময় তার মা, এসে তাকে বলল,তোরে না এই পেন্সিল পুকুরের তে একটা হাত উঠছিল, ঐডা বলে দিছে।
এই শুনে সোহেল দৌড়ে পালিয়ে গেল।
সোহেল গ্রামের ছেলে,তবুও তার লেখা পড়ায় খুবই আগ্রহ,আর এই ছোট বয়স থেকেই সে অনেক গল্পের বই পরে শেষ করেছে।এমন কি তার বড় ভাইদের সকল বই সে নেরে চেরে দেখেছে।এমন কি যে সকল বই তার এই বয়সে পড়ার কথা ছিল না তাও সে পড়ে ফেলেছে।
আজ সোহেলের একটা কবিতা দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে,তাই সে অনেক খুশী আগ্রহ বশত সবাইকে দেখাল কিন্তু কেও গুরুত্ব দিল না।
কিন্তু এতে সে হতাশ হয়নি,দিস্তায় দিস্তায় নিউজপ্রিন্ট কাগজে গল্প লিখত,আর গল্প পছন্দ না হলে তা দুমরে মুচরে ফেলে দিত।
একদিন সে একটা গল্প অসমাপ্ত করে,তা টেবিলে রেখে কলেজে চলে যায়, তার বাবা এসে তার গল্পটা পড়ে দেখল, ভালই লিখেছে।তার বাবা গল্পটা শেষ হবার অপেক্ষায় আছে।
সোহেল পরে যখন গল্পটা লিখতে বসলো তখন তার আর এই গল্পটি ভাল লাগল না, সে কাগজ টি ফেলে দিল।
কিছুদিন পর তার বাবা তাকে জানতে চাইল,তার ঐ গল্পটি লেখা শেষ হয়েছে কিনা,কিন্তু সে আর কিছুই বললনা।তখন তার বাবা বুঝতে পারল যে লেখাটা ফেলে দিয়েছে সে।যা হইছে, কিন্তু লেখাটা ভাল হইছিল।
আজ ২৭ বছর পর সোহেল একজন নামকরা লেখক,কিন্তু তার বাবা বেঁচে নেই,তার বাবা বেঁচে থাকলে হয়ত আজ তার লেখা পড়ে কিছু একটা মন্তব্য করত।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


