somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হিমুর পাশে তিনটি ছায়াঃ পর্ব (৫)

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রুনি ডিভানের উপর বসতে বসতে আমাকে বলল, ‘রুবার সাথে আপনার পরিচয় হয়েছে তো ?’

আমি অবাক হয়ে বললাম, ‘রুবা কে ?’
‘এইমাত্র যেই মেয়ে বেড়িয়ে গেছে তার নাম-ই রুবা । নার্স হিসেবে তাকে পাওয়া গেছে । ভালো কথা, ডাক্তাররা আপনার পায়ের সমস্যা ধরতে পারেন নি । তারা বলছেন, যে কোন কারনেই হোক, আপনার পায়ের কিছু কিছু মাসল শক্ত হয়ে গেছে । মাসল Relaxation –এর জন্য কিছু ওষুধ দিয়েছেন ।’
‘আমি কবে নাগাদ হাঁটতে পারবো ?’
‘অনেকের দুমাস লাগে, অনেকের দু’বছর, অনেকে কখনোই হাঁটতে পারে না ।’

আমি হাই তুলতে তুলতে বললাম, ‘ও আচ্ছা ।’
‘আপনি অবলীলায় হাই তুলতে তুলতে বললেন – ও আচ্ছা ! আপনার ভয় লাগছে না ? যদি কখনোই হাঁটতে না পারেন ?’
‘তাহলে শরিফউদ্দিনই আমার একমাত্র ভরসা ।’
‘শরিফউদ্দিন কে ?’
‘অতি সজ্জন লোক । সোবাহানবাগে ভিক্ষা করে । তার একজন খোঁড়া ভিক্ষুকের বিশেষ প্রয়োজন । আমি হাঁটতে না পারলে তার সঙ্গী হয়ে যাবো । এমনিতেও বাজারে খোঁড়া ভিক্ষুকের ডিমান্ড বেশি ।’
‘আপনি ভিক্ষা করবেন ?’
‘পা ভালো না হলে তো ভিক্ষাই করতে হবে, তাই না ? কে আর আমাকে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াবে ?’
রুনি ভ্রু কুঁচকে বলল, ‘আপনি কি আমার সঙ্গে হিউমার করার চেষ্টা করছেন ?’
‘জ্বি ।’

রুনি অনেকক্ষন আমার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো । তারপর হঠাৎ করেই গম্ভীর হয়ে বলল, ‘আমি রুবাকে পাঠিয়ে দিচ্ছি । আপনি ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বারান্দায় আসুন । রুবা হেল্প করবে । বারান্দায় কফি খেতে খেতে কথা বলি ।’
‘ভাইব্রেটিং খাটে বসে গান শুনতে শুনতে কফি খেতে ইচ্ছে করছে ।’

রুনি দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বলল, ‘ঠিক আছে । আমি কফি নিয়ে আসছি ।’

আমার এক হাতে গরম কফির মগ । কফির কড়া মিষ্টি গন্ধে মাথা ঝিমঝিম করছে । আরেক হাতে একটা গাঢ় নীল রঙের খাঁচা । খাঁচা সবসময় লোহার হতে হবে সেটাই নিয়ম । কিন্তু আমার হাতের খাঁচা লোহার না । খাঁচার রডে প্লাস্টিকের মত নমনীয় একটা ভাব, তবে প্লাস্টিক যে না সেটা বোঝা যাচ্ছে । খাঁচার ভিতর কালো রঙের একটা পাখি । খুব সম্ভবত ময়না । ঠোঁট আর পায়ের রঙ এতো হলুদ আর কোন পাখির হবে না । এর চোখের পাশেও হলুদ দুটা ছোপ । ছোপগুলোর জন্যে দেখতে বেশি সুন্দর লাগছে । সে প্রবল মনযোগের সাথে ক্রমাগত তার খাঁচা ঠুকরে যাচ্ছে । এতো কাছ থেকে আমি কখনও ময়না পাখি দেখিনি । আমার পাখি দেখার দৌড় কাক, শালিক আর টিয়া পর্যন্ত । ময়নার চোখের সাথে কাকের চোখের তো বেশ মিল আছে ! এদের চোখ বরংচ কাকের চোখের চাইতেও স্বচ্ছ । দেখে মনে হচ্ছে দীঘির কাঁচের মত পানিকে আসলে ডাকা উচিত ময়না-চক্ষু জল । যদিও ‘কাকচক্ষু জল’ কথার মধ্যেই একটা সাহিত্য সাহিত্য ভাব আছে । ভাবটাই হয়তোবা বড় । তাছাড়া বাংলায় আমাদের প্রশংসাসূচক বিশেষনগুলো অদ্ভুত । যেমন, কন্যাসুন্দর আলো । আলোর বিশেষন হয়ে গেছে ‘কন্যাসুন্দর’ । যার মানে কন্যার মতো সুন্দর । কথা হচ্ছে, সব কন্যারাই তো আর সুন্দর না । টেরা কন্যাও তো পৃথিবীতে আছে । সুন্দরীদের চোখের প্রশংসায় বলা হয়, ‘পটলচেঁড়া চোখ’ । আমি নিজে বেশ কয়েকবার পটল ছিঁড়ে দেখেছি । বিভিন্ন সাইজের পটল মাঝখান থেকে, সাইড থেকে, উপর থেকে- কোন অ্যাঙ্গেলে ছিঁড়লেই আহামরি কিছু লাগে না । তবু সুন্দর চোখের জন্য এই বিশেষন । সেই হিসেবে এই ময়না পাখির চোখও ‘পটল-চেঁড়া চোখ’ । আমি বললাম, ‘কথা বলতে পারে ?’

রুনি তার কফির মগে চুমুক দিতে দিতে বলল, ‘এখনও পারে না । তবে পারবে । এখন শুধু আমার নামটা বলতে পারে ।’
রুনি আমার হাত থেকে খাঁচাটা নিয়ে টেবিলের ওপর রাখলো । খাঁচায় টোকা দিয়ে বাচ্চাদের মত চিকন সুরে বলতে লাগলো, ‘রুনি... রুনি...’

ময়নাটাও সাথে সাথেই ঘাড় নাচিয়ে চমৎকার ভঙ্গিতে তাকে নকল করে বলল, ‘রুনি । রুউউনি...’

আমি মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে বললাম, ‘এর নাম কি ?’
‘গ্রাকুলা ।’
‘ড্রাকুলা নাম শুনেছিলাম । রাতদুপুরে চাঁদ উঠলে ঘরে ঘরে গিয়ে এরা মেয়েদের উপর চড়াও হয় । কামড়ে কামড়ে রক্ত খায় । গ্রাকুলা জিনিসটা কি ?’
‘গ্রাকুলা হচ্ছে পাহাড়ি কথা বলা ময়নার বৈজ্ঞানিক নাম । গ্রাকুলা রেলিজোসা রেলিজোসা ।’

আমি বললাম, ‘খাঁচায় নীল রঙ দেয়ার বুদ্ধিটা অসাধারন । গ্রাকুলার পৃথিবী হচ্ছে তার খাঁচা । তার পৃথিবীর আকাশ এখন নীল ।’
রুনি বলল, ‘আপনি খুব সুন্দর করে কথা বলতে পারেন । এই তথ্য কি আপনার জানা আছে ?’
‘জ্বি । জানা আছে ।’
‘আপনার বিষয়ে আমি অদ্ভুত কিছু কথা শুনেছি । কথাগুলি কি সত্যি ?’
‘জ্বি সত্যি ।’
‘কি কথা শুনেছি না জেনেই বুঝে ফেললেন কথাগুলি সত্যি ?’
আমি মাথা ঝাঁকালাম । রুনি বলল, ‘তাহলে এখন বলুন আমি কি শুনেছি । যদি না পারেন তাহলে আপনার শাস্তি হবে । কঠিন শাস্তি ।’
‘আপনি শুনেছেন আমি সবসময় হলুদ পাঞ্জাবী পড়ে থাকি । রাস্তায় রাস্তায় খালি পায়ে হেঁটে বেড়াই । অদ্ভুত জীবনাচরন করি । আকাশ ভরে জোছনা নামলে গভীর অরন্যের দিকে চলে যাই । আধ্যাত্বিক ধরনের কাজ-কারবার করি । আমি থাকি কিংবা না থাকি আমার বাসার দরজা জানালা সবসময় খোলা থাকে । ইত্যাদি ইত্যাদি ।’
‘এসব কি সত্যি ?’

সাদাত সাহেবকে যেভাবে বলেছিলাম ঠিক সেই সুরে রুনির দিকে তাকিয়ে আবৃত্তি করলাম,
‘জগতে সকলি মিথ্যা সব মায়াময়
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয় ।’

রুনি বলল, ‘ঠিক করে বলুন তো, আপনার কি সত্যি সত্যি কোন আধ্যাত্বিক ক্ষমতা আছে ?’
আমি হাসলাম । রুনি বলল, ‘দয়া করে হাসি দিয়ে জবাব দেবেন না । Tell me the truth ।’
‘আমার কোন আধ্যাত্বিক ক্ষমতা নেই রুনি । এইগুলি ভড়ং । মানুষকে মাঝে মাঝে ভড়কে দিয়ে মজা পাই । এই পর্যন্তই ।’
‘তাহলে আপনার সম্পর্কে এইসব কথাগুলো ছড়ালো কিভাবে ?’
‘আমি জানি না ।’
‘আমি আপনার মেসে আপনার কাপড়-চোপড় নিয়ে আসতে শামসুকে পাঠিয়েছিলাম । সে এসে আমাকে এগুলি বলল । আপনার নাকি একটা হলুদ পাঞ্জাবী ছাড়া আর কোন কাপড়চোপড় নেই । আপনার ভাঙা খাটের উপর একটা খাম পেয়ে সে নিয়ে এসেছে । মেসের লোকজন আপনাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে । আপনাকে নাকি তাদের বিশেষ প্রয়োজন । শামসু যদিও এ বাসার ঠিকানা তাদেরকে দিয়ে আসে নি ।’

রুনি থেমে গেল । তার মোবাইলের রিংটোন বাজছে । সে একবার দেখেই বলল, ‘বাবার ফোন । কাল রাত থেকে আপনার সাথে অনেকবার কথা বলতে চেয়েছে । নিন । কথা বলুন ।’

আমি মোবাইল হাতে নিলাম । ওপাশ থেকে সাদাত সাহেবের উৎসুক কন্ঠ ভেসে এলো, ‘হ্যালো ।’
‘হ্যালো ।’
‘কেমন আছেন হিমু সাহেব ?’
‘ভালো । আমাকে ‘হিমু’ করে বললে ভালো হয় । হিমু সাহেব শুনতে ভালো লাগছে না ।’
সাদাত সাহেব হাসলেন, ‘ওকে । হিমু । ফ্যাক্সগুলো পেয়েছেন না ?’
‘জ্বি না ।’
‘সমস্যা নেই । রুনি আপনাকে দিয়ে দেবে । আমি কিছু বিশেষ সেক্টরের মানসিক রোগীদের সেকশনাইজ করেছি । আপনি ঐসব সেক্টর অনুযায়ী তাদেরকে ফোকাস করবেন । আজকেই কাজে লেগে যান । আমাদের হাতে সময় কম । রুনির এ টি এম কার্ডে আমি টাকাও পাঠিয়ে দিয়েছি । সাড়ে তিনশ ডলার আপনি সেখান থেকে আজই তুলে নিতে পারেন । আপনার কি অন্য বিশেষ কিছু লাগবে ?’

আমি একটু থেমে বললাম, ‘সাদাত সাহেব, ঢাকা শহরে আপনার পরিচিত বড় কোন পুলিশ অফিসার আছেন ?’
‘কেন বলুনতো ?’
‘আমার এক পরিচিত মানুষ জেলে আটকা পড়েছে । তাকে ছাড়িয়ে আনতে চাচ্ছিলাম ।’
‘রুনির বড় মামা ডি এম পি কমিশনার । আপনি রুনির সাথে কথা বললেই ও কথা বলিয়ে দেবে । আমি ওকে বলে দিচ্ছি । দিন । রুনিকে দিন ।’

রুনি কথা বলে ফোন রাখতে রাখতে বলল, ‘আপনাকে বাবার ফ্যাক্স করা কাগজগুলো এনে দিচ্ছি । দেখুন । আর বড় মামার সাথে আমি কথা বলছি । আপনার কি আজই তাকে দরকার ?’
‘শুভস্য শীঘ্রম । ভালো কথা । আপনার খাটের মিউজিক তো শোনা হল না । কয়েন ফেলে গান চালু করে দিয়ে যান । শুনি আপনার পছন্দের গান ।’

রুনি খাটের কয়েন বক্সে একটা কয়েন ফেলল । খাট নড়া শুরু করেছে । মিউজিক অন করে সে তার গ্রাকুলাকে নিয়ে চলে যাচ্ছে । গান শুরু হয়েছে । ইংরেজী গান । গ্রাকুলার বোধহয় গানটা খুব পছন্দ হয়েছে । সে পাখা ঝাপটে ঝাপটে ঘাড় এদিক-ওদিক করছে । গানের উৎস খোঁজার চেষ্টা । আমার কাছেও গানটা বেশ ভালোই লাগছে ! গানের তালে তালে মাথা দোলাতে ইচ্ছে করছে । মনে হচ্ছে আমি বিশাল বড় কোন হোটেলে বেড়াতে এসেছি । কোন কাজ নেই । কিচ্ছু নেই । কেবল হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে থাকা । মনে হচ্ছে আজ সারাদিন হোটেলের খাটে শুয়ে শুয়ে গান শুনতে থাকবোঃ

This hotel room got a lot of stuff
A laundry bag and a shoe shine cloth
Thirty-two hangers and a touch-tone phone
Well a light that comes on when I'm not home
I ain't home, I ain't home
You better leave a message cause I ain't home...

[ দ্বিতীয় অধ্যায় সমাপ্ত ]
( চলবে )

=========================================
উৎসর্গঃ

রাজশেখর বসুর বাংলা অভিধানে ‘কুম্ভীলক’ শব্দের অর্থ দেয়া আছে- ‘যে অপরের রচিত সাহিত্য হইতে ভাব ভাষা প্রভৃতি চুরি করিয়া নিজের বলিয়া চালায়’ । সেই হিসেবে কালিদাস-কাশীরাম দাস থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত সবাই কুম্ভীলক । উদাহরন, কালিদাসের ‘শকুন্তলা’ কিংবা রবীন্দ্রনাথের ‘কচ ও দেবযানী’ । একই চরিত্র ঘুরে ফিরে অনেকের লেখায় এসেছে । সবটাই সেই আদিশ্লোক-ছন্দের অনুকরনে, নতুন ছন্দে নয় । তবে, রাজশেখর বসু এঁদেরকে plagiarist মানতে রাজী হন নি । তিনি বলেছেন, এঁরা plagiarist এর ঠিক উল্টোটা । যাঁরা অপরের তৈরী চরিত্র নিয়ে লিখেই খুশি । কবিযশঃপ্রাপ্তি এঁদের কারোরই লক্ষ্য ছিল না ।

এতোসব কথার সারমর্ম একটাই । ‘হিমু’কে নিয়ে লিখবার দায়মুক্তি । ফ্রান্সিসকো মেলজি ‘মোনালিসা’র কপি এঁকেছিলেন । ক্যানভাসের সাইজটা বদলে পুরোটাই কপি করা । সেই ছবি দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম, কিন্তু ক্রিটিকরা এর দাম দেন নি । না দেওয়ারই কথা । সৃজনশীলতা এক, নকল করা অন্য । হিমুর স্রষ্টা আজ নেই । তিনি আজ অন্য কোন ভুবনে । আমি তাঁর পদধূলিকণা । তাঁর মত করে কখনই কেউ লিখতে পারবে না । আমিও পারিনি । পারার ইচ্ছাও নেই । অনেকের এই লেখা দেখে সঙ্গত কারনে খারাপ লাগতেই পারে । তাদের কিছু বলবার নেই । অন্যভুবনের জোছনা-পাগল মানুষটির কাছে দায়বদ্ধতা আছে । অন্যের লেখা ‘হিমুর পাশে তিনটি ছায়া’র উৎসর্গপত্রে তাঁর নামটাই থাকুক ।

কে লইবে মোর কার্য, কহে সন্ধ্যারবি—
শুনিয়া জগৎ রহে নিরুত্তর ছবি।
মাটির প্রদীপ ছিল; সে কহিল, স্বামী,
আমার যেটুকু সাধ্য করিব তা আমি॥

পরম শ্রদ্ধাষ্পদেষু, হুমায়ূন আহমেদ ।

===========================================

আগের পর্বের লিংকঃ
হিমুর পাশে তিনটি ছায়াঃ পর্ব (১)
হিমুর পাশে তিনটি ছায়াঃ পর্ব (২)
হিমুর পাশে তিনটি ছায়াঃ পর্ব (৩)
হিমুর পাশে তিনটি ছায়াঃ পর্ব (৪)
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×