somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কবি নজরুল রক্ত দিতে চাইলেন, কিন্তু তার রক্ত নেয়া হলো না। কেন?

২৩ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে লিখছি বেশ কয়েকটি পর্বে। তার কাব্য সাহিত্য আলোচনার বাইরে গিয়ে আমি চেষ্টা করেছি তার ব্যক্তিত্ব ও মন মানসিকতা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে।

কাজী নজরুলের প্রিয় বন্ধুদের একজন ছিলেন কাজী মোতাহার হোসেন। তাকে লেখা অনেক চিঠি আজো সংরক্ষিত রয়েছে। সেসব চিঠিতে কবি বারবার তার প্রিয়তমার মতো সম্বোধন করে কারো কথা লিখেছেন। কখনো ..... দিয়ে দিয়ে তাকে বুঝিয়েছেন। কবির যৌবনের কে সেই তার প্রিয়তমা? আমি এখনও তা উদ্ধার করতে পারি নি।
তবে একটি দুর্লভ চিঠি আমার কাছে এসেছে। কবি প্রথম যাকে বিয়ে করেছিলেন সেই নার্গিসকে লেখা কবির একটি চিঠি, যা তিনি বিচ্ছেদের পনের ষোলো বছর পর লিখেছিলেন।
কাজী মোতারহার ও অন্যান্য বন্ধুবান্ধবদেরকে লেখা সেসব চিঠি কবিকে জানার এক বিরাট উৎস। কবি তার এসব চিঠিতে নিজের সুখ দুঃখ অবলীলায় লিখেছেন। তার দুরন্ত ও চঞ্চল মনের অপূর্ব পরিচয় পাওয়া যায় এসব পত্র পড়ে।
১০-০৩-২৮ তারিখে রাত ২ টায় লেখা কাজী মোতাহার এর কাছে চিঠিতে কবি তাকে জানাচ্ছেন, তিনি একজন হিন্দু ব্রাক্ষণের জন্য রক্ত দিবেন। সেজন্য ডাক্তারের কাছে যাচ্ছেন। দৈনিক বসুমতী পত্রিকায় ঐ ব্রাক্ষণ তার জন্য রক্ত চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। এ কথা লিখে কবি তাকে অনুরোধ জানাচ্ছেন, একটি আমার- তোমার বন্ধুর অনুরোধ, এ কথা কাউকে জানিয়ো না যেন। কাউকে মানে- তাঁকেও জানিয়ো না।’ এই ‘তাকে’ কে? তার সবচিঠিতে এই অজানা প্রিয়তমার কথায় ভরা। চিঠির ভাবে মনে হয়, কবি তার কাছ থেকে বিচ্ছেদ পেয়েছেন, তবে এখনও তাকে ভুলতে পারছেন না।
পরের চিঠিতে কবি কাজী মোতাহারকে জানাচ্ছেন, তার রক্ত নেয়া হয়নি। কবির ভাষায়, ‘রক্তদান করিনি। ডাক্তার শালা বলে, হার্ট দুর্বল। শালার মাথা। মনে হচ্ছিল, একটি ঘুষি দিয়ে দেখিয়ে দিই কেমন হার্ট দুর্বল। ভিতরের কথা তা নয়। ব্রাক্ষণ ভদ্রলোক ‘মুসলমানে’র রক্ত নিতে রাজী হলেন না। হায়রে মানুষ, হায়রে তার ধর্ম। কিন্তু কোনো হিন্দু যুবক আজো রক্ত দিলেনা। লোকটা মরছে, তবুও নেবে না ‘নেড়ে’র রক্ত।’’

এমন অজানা অসংখ্য কান্ডকীর্তি বিবৃত রয়েছে কবির এসব চিঠিতে। নজরুলপ্রেমীদের জন্য তা তুলে ধরব আমার এ ধারাবাহিকে। অল্প অল্প করে লিখি, যাতে তা পড়তে গিয়ে কারো অস্থিরতা চলে না আসে। আমাদের জাতীয় কবি, প্রাণের কবি নজরুল। তার লেখা পড়–ন মনের আনন্দে। আমাদের কবি আমাদের গর্ব।

আগের পর্বগুলো-পাগলকে দিয়ে গান গাইয়ে কবি নজরুল বললেন, হুজুগে বাংলায় এসব একবারই চলে.........
যে ঘটনা কবি নজরুলকে বদলে দিল, কবি কাঁদলেন, এরপর থেকে বিষণ্ণ হয়ে গেলেন..
আরও পর্ব- Click This Link
Click This Link
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×