ভেজালের বেড়াজালে আমরা এমন ভাবে আটকে গেছি যে অখন আসল চেনাই দুষ্কর হয়ে পড়ছে।
আসুন এত ভেজালের ভিড় এ আসল দুধ চেনার কিছু কৌশল জেনেনেইঃ
১. লেবু পরীক্ষাঃ ৫০-৭০ মিঃ লিঃ দুধ একটি কাপ এ নিয়ে তার মধ্যে একটি লেবুর ৪ ভাগের ১ ভাগ নিয়ে ফোটায় ফোটায় রস যোগ করুন এবং ৩-৫ মিনিট হালকা করে ঝাঁকুন এবং দেখুন যদি ছানার মত হয় তাহলে সেটা গরু/মহিশ/ছাগলের দুধ, আর যদি ছানা না হয় তবে সেটা কেমিক্যাল দুধ।
২. ফরমালিন / হাইড্রোজেন পার অক্সসাইড পরীক্ষাঃ ফরমালিন / হাইড্রোজেন পার অক্সসাইড দুধে থাকলে সেই দুধে মাছি বসবে না।
৩. ছানা পরীক্ষা এবং দুধে পানির পরিমান নির্ধারনঃ খাঁটি দুধে প্রতি কেজিতে ১৮০ - ১৮৭ গ্রাম ছানা হবে। যদি ১৮০ গ্রামের কম ছানা হয় তবে বুঝতে হবে দুধে পানি মিশ্রিত আছে।
দুধে ছানার ওজনের উপর নিচের সূত্রের মাধ্যমে আপনি পানির পরিমান বের করতে পারবেন।
ধরুন আপনার ১ কেজি দুধে ১৮৭ গ্রাম ছানা হবে,
তাহলে সূত্রটি হবে নিম্নরুপঃ (1000/187)*(187 - আপনার তৈরিকৃত ছানার পরিমান) = মিশ্রিত পানির পরিমান গ্রামে।
বিঃ দ্রঃ পাউডার / গুড়ো দুধ মিশ্রিত দুধের বেলায় এই সুত্র কাজ করবে না।
৪. পাউডার মিশ্রিত দুধ পরিখাঃ ৪-৫ ফোটা দুধ হাতে নিয়ে ২ হাত দিয়ে ডলা দিন, যদি পাউডারএর মত হাতে দেখা জায় তবে ঐ দুধে পাউডার মিশ্রিত আছে। তবে এই পরীক্ষাটা করতে হলে আপনাকে খুব ভাল ভাবে আবলোকোন করতে হবে।
পাউডার মিশ্রিত দুধ পরীক্ষার সবচেয়ে ভাল প্রক্রিয়া হচ্ছে কেমিক্যাল পরীক্ষাঃ এজন্য আপনার একটি টেস্ট টিউব ও নাইট্রিক এসিড দরকার হবে
ক) ১০ মিঃ লিঃ দুধ একটি টেস্ট টিউবে নেই এর পর ফোটায় ফোটায় ৮-১০ ফোটা নাইট্রিক এসিড যোগ করি, যদি কমলা রং ধারন করে তবে উহা পাউডার মিশ্রিত দুধ। বাজারের সব ব্রান্ড এর দুধই পাউডার মিশ্রিত।
এ ছাড়া আরও কিছু পরীক্ষা আছে যেমনঃ অ্যালকোহল পরীক্ষা, Lactometer reading, Fat test, সোডা পরীক্ষা, ফরমালিন পরীক্ষা, COB test, হাইড্রজেন পার অক্সসাড পরীক্ষা, লবণ পরীক্ষা, চিনি পরীক্ষা, স্টাস পাউডার পরীক্ষা, দুধের এসিডিটি নির্ধারন - এগুলো পরবর্তী পোস্টে আলোচনা করব।
দুধে ভেজাল সম্পর্কিত আর একটি পোস্ট দেখুনঃ
বাজারের বিভিন্ন ব্রান্ড (মিল্ক ভিটা, আড়ং, প্রান, এ্যমো মিল্ক, ফার্ম ফ্রেশ, রংপুর ডেইরী মিল্ক, বিক্রমপুর ডেইরী মিল্ক) এর ভেজাল দুধ এবং আমাদের ঢাকাইয়া পাবলিক এর সমস্যা!!!!!!!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





