somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আত্নকথন :: অবসর সময়

২৯ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাঝে মাঝে অবস্থা এমন হয় যে করার মতো কোন কাজ থাকেনা। যখন খুব ব্যস্ত থাকি তখন ভাবি যে ফ্রী থাকলে এই এই কাজগুলা করব। কিন্তু অখন্ড অবসরে সেই কাজগুলার নামও মনে আসেনা। ফলে যা হবার তাই হয়। বিভিন্ন কাজে অকাজে সময় নষ্ট করা হয়। কোন কাজ করতেই ভালো লাগেনা।
অবসরে আমি যেই কাজটা বেশী করি - সেটা হল মোবাইল হাতে নিয়ে বিভিন্ন মানুষকে কল দেই। এটা হচ্ছে নিঃসঙ্গতা দূর করার প্রাথমিক প্রয়াস। দেখা যায় সবাই কম বেশি ব্যস্ত নিজেদের কাজ কর্ম নিয়ে। আমি আবার নিঃসঙ্গতায় পড়ে যাই। যে কাজই করি মনে হয় সময়ের অপচয় হচ্ছে । কিছুই করতে ইচ্ছা করেনা। কিছুই ভালো লাগেনা। এসময় মনে হয় একটা কাজ করলে খুব ভালো লাগবে সেটা হচ্ছে ভ্রমন । কিন্তু আমরা যারা ঢাকা শহরে থাকি আমাদের জীবন যাত্রা এত ব্যস্ততাময় যে অবসর থাকলেও ঘুরতে যাওয়া হয়না। কখন আবার নতুন কাজের ঢাক আসবে সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। একসময় অবসর থাকলে হালকা লেখালেখি করতাম। কলেজ লাইফে প্রচুর ডায়েরী লিখতাম। বেশীরভাগই পারিপাশ্বিক অবস্থা নিয়ে। আশেপাশের মানুষদের নিয়ে। জবাকে নিয়ে লিখতাম। তামান্না থাকত। ছদ্মনামেও একজনকে নিয়ে লেখা হত।
হলে উঠার পর কিছু গল্প টল্প লিখি। মান খুবই খারাপ , কিন্তু তাও ভালোই লাগত। মানে আমার নিজের অনেক ভালো লাগত এই আর কী! এখন অনেকদিন লেখা হচ্ছেনা। আমরা আসলে যাই করি সেখানে অন্যদের মতামত কেমন তা দেখতে চাই। এই যে আমি লিখলাম আমার গল্পের মান খুবই খারাপ , এইটা কিন্তু আমি মন থেকে লিখিনি। আমার এই লেখাটা কেউ পড়লে সে কী ভাববে এইটা ভেবে লিখেছি। আল্টিমেটলী মনের ভাব লেখার মাধ্যমেও প্রকাশ পাচ্ছেনা। আমি অবশ্য একটু চাপা স্বভাবের তাই হয়ত আমার এইরকম অনুভূতি হচ্ছে। এইটা ম্যান টু ম্যান ভ্যারী করতে পারে। করাটাই স্বাভাবিক।


২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×