মানুষকে দুঃখ দেয়ার ভয় যতটা কাজ করে আমার ভেতরে ততটা ভয় হয়তো আর কোন কিছুতেই নেই আমার । এটা একটু অতিরিক্ত হয়ে গেছে মনে হয়। শুধু বাস্তব জীবন বা কর্মক্ষেত্রেই নয় এমনকি ফেসবুক থেকে শুরু করে খুব ক্ষুদ্র ব্যাপারেও ভীত থাকি সব সময়, এই বুঝি কাউকে কোন কিছুতে আঘাত বা কষ্ট দিয়ে ফেললাম । এটা কি কষ্টের তীব্রতা কতটা হতে পারে সেটা খুব ভালো করে জানি বলে নাকি আরও কোন কারণ আছে জানিনা। ফেসবুকে অনেক সময় অনেক বন্ধুর অনেক বক্তব্য বা ছবিতে আমার আপত্তি থাকে, কিছু সময়ে সেটা মানতেও কষ্ট হয় । এখানে তর্ক করতে গেলে সবচেয়ে বড় ঝামেলা হল সামনে বসে কথা বলে একটা স্পর্শকাতর বিষয় যতটা সহজে পরিস্কার করা যায়, সেটা লিখে অনেক দূরত্বে থেকে কিছু সময় সম্ভব হয়না । সেটা যুক্তির অভাব কিংবা লেখার দুর্বলতার জন্য নয় । এর প্রধান কারণ হল যাকে বলা হচ্ছে সে বেশিরভাগ সময়েই বক্তার বক্তব্যের পেছনের মানসিকতা দেখতে পারেন না । আরেকটা ব্যাপার হল দুজন মানুষের একটা তর্কের মধ্যে আরেকজন মানুষ হঠাৎ করে তার বক্তব্য প্রকাশ করায় প্রসঙ্গ পরিবর্তনসহ ক্ষণিকের মাথা গরমে আলোচনার জায়গায় দাঙ্গা হাঙ্গামা শুরু হয়ে যায় । এটা সবার মত প্রকাশের জায়গা তাই অন্যের হস্তক্ষেপ ও মেনে নিতে হয় চুপচাপ । সবাই মতামত প্রকাশ করে কিন্তু সবাই সেটা নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনার ব্যপারে বিশ্বাসী বা তেমন মানসিকতার অধিকারী নয় । এটা আউলা লাগার আরেকটা কারণ । তাই তর্ক সহিংস রুপ নিয়ে সম্পর্কের পতন মানে ফেসবুকিয় সম্পর্কের পতন হল কাঁদা ছোড়াছুড়ি শেষে ব্লকের মাধ্যমে সমাপ্তি । এতো কাহিনী এতোদিনের ফেসবুক ব্যবহারের মাধ্যমে অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে পেশ করলাম । তার পেছনের কারণ হল আজ একজনের একটা পোস্ট দেখে খুব দ্বিধা দন্দে ভুগলাম । কথা বললেই আউলা লাগবে আর তাকে চুপচাপ রিমুভ করে দিলেও বেচারা কষ্ট পাবে । সেই মানুষকে কষ্ট দেয়ার ভয় থেকে বিরত থাকতে হল । এখানে ঠিক বা বেঠিকের চেয়ে কাউকে কষ্ট দিয়ে ফেলার ভয়টাই আমাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে বেশি । জানি এটা কোন প্রশ্ন হলে এর উত্তরটা খুব সহজ । অবশ্যই সবার নিজস্ব মতামত থাকবে এবং সেটা প্রকাশ করার অধিকারও, সেটা আমার সাথে না মিললেই সেটা ভুল তাও নয় । অবশ্যই একই জায়গায় যাওয়ার অনেকগুলো সঠিক পথ থাকে এবং থাকতে পারে । আপেক্ষিক আর খুব সাধারন ভাবেই সবারটা সবাই বেছে নেয় । কিন্তু এখানে প্রশ্ন সত্য আর সঠিক নিয়ে এবং তার বক্তব্য প্রকাশের বা সমস্যা সমাধানের পদ্ধতি নিয়ে । কারো কোন ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে আমার মধ্যে দ্বিমত পোষণ করার কোন কারণ বা সুযোগ নেই । আমি শুধু চাই সত্যটাকেই জানুক, বলুক আর সেটার ব্যপারে বক্তব্য যেন পরিস্কার, সুন্দর আর যুক্তিসঙ্গত হয় আমাদের । মনের অনেকগুলো দরজা জানালা আমরা হয়তো খুঁজেই পাইনা । সেগুলো খুঁজে খুঁজে খুলে দিলে আলোতে ভরে যেয়ে মনের ঘরটা অনেক বিশালতা পাবে । নিঃশ্বাস নেয়া ছাড়াও যে বেঁচে থাকার আরও কিছু মানে আছে তা জানতে হলে মনের যত্ন নেয়া নিঃশ্বাস নেয়ার চেয়ে বেশি জরুরী...!!!
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।