somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার কোন গল্প নেই

২৫ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক.

"আমার কোন গল্প নেই, ভাইয়া। আপনার কথা বলুন।" অনেকটা এইভাবেই আমার সাথে প্রথম আলাপ শারমিনের। কোনদিন ছিল তা আজ মনে নেই, মাসের কথাও বেমালুম ভুলে গেছি, বছরও গড়িয়েছে অনেক, তবে সময়টা আমার ঠিকই মনে আছে। কমলাপুর স্টেশানে সেইদিনই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়েছিল। আমরা এগারোজন ছিলাম সেদিন। ঘটনা কিছুটা খাপছাড়াই ছিল।

আমাদের বন্ধু তনিমের মেয়ে দেখার কথা ছিল সেদিন। নানা ঝুট ঝামেলায় মেয়ে দেখা পিছিয়ে যাচ্ছিল। শেষপর্যন্ত এমন দিনে দেখা মিলল যেদিন মেয়ে; বন্ধুদের সাথে বান্দরবান ঘুরতে যাচ্ছে। আমার সাথে শারমিনের পরিচয় সেখানেই। তনিম যে মেয়েকে দেখতে যাবে যার নাম লীনা, শারমিন তারই বন্ধু। যদিও তনিম কোনভাবেই দেখা করতে রাজি ছিল না। কারণ যে মেয়েকে পরিবার ঘরে আনবে বলে পাকা কথা দিয়েছে, তার সাথে দেশে আসার পর এদিন না সেদিন, সকাল না বিকাল, শুক্রবার না রবিবার, হাতিরঝিল না গ্লোরিয়া জিনস - এসব করে করে আর দেখা করা হয়েই উঠছিল না, সেখানে এরকম তাচ্ছিল্য কেউই মেনে নিতোনা। আমি নিজেও যখন শুনেছিলাম খুব বিরক্ত হয়েছিলাম। আরে বাবা সোজা বলে দিলেই তো পারো! এত অহংকার কীসের? কিন্তু তনিমের মা, আগে থেকেই হিসেব কষে রেখেছিলেন। এই মেয়েকেই উনার চাই। তাই আমাদের সমস্ত প্রতিরোধ ঢোক গিলে খেয়ে নিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়েছিলাম লীনাকে দেখতে, কথা বলতে।

আমি আর তনিম, আর ওদিকে লীনারা নয়জন। দুইজন ছেলেও আছে ওদের সাথে। ঝর্ণা দেখবে, পাহাড়ে ট্র‍্যাক করবে, কিছু ডকুমেন্টারি কাজও করবে। যেমন ভেবেছিলাম, তেমন কোন সমস্যা হলো না। এককথা দুকথায় আমাদের পরিচয় দিয়ে, সবাই মিলে টিস্টলে গেলাম। চা খেয়ে আমাদের চারজনকে রেখে বাকিরা কিছু শুকনো খাবার কিনতে চলে গিয়েছিলো।

লীনাকে যতদূর বুঝলাম, বেশ কঠিন মানুষ। একটা গাঢ় নীল রংয়ের ট্র‍্যাকস্যুট পরা, গলায় গামছা প্যাঁচানো, পায়ে রানিং শ্যু, কপালের উপর রোদচশমা ঠেলে দিয়ে ভ্রু কুঁচকে আমাদের দিকে তাকিয়েছিল। সেই তুলনায় শারমিন কিছুটা জড়সড় হয়ে এক কোনে বসে স্মার্ট ফোনের পর্দায় নিজেকে ব্যস্ত রাখছিল। শারমিনের বেণী করা চুল, লম্বা জামা আর হাতের অগুনিত ব্রেসলেটে একটা কিম্ভূত বৈপরীত্য ছিল। এমনও হতে পারে আমার অভিজ্ঞতার সাথে মিল পাচ্ছিলাম না দেখে এমন ভাবছিলাম। কিন্তু আমাদের এড়িয়ে যাওয়া, লীনার ভ্রুকুটি আর রেলস্টেশনের ব্যস্ততা মিলিয়ে আমাদের অস্বস্তির পাল্লা বাড়ছিলই।

এখানে না হয়ে যদি কোন কফিশপে বা শপিংমলে কিংবা কোন রেস্টুরেন্টে দেখা হতো, তবে মনে হয় অন্তত এটা সেটা অর্ডার দেবার ফাঁকে টুকিটাকি কথাও হয়ে যেতো। 'আপনারা কী নেবেন বলুন'? অথবা, 'কফি না চা'য়ের কথা বলবো বলেও কিছু জিজ্ঞাসা হয়ে যেতো। এরকম যখন ভাবছিলাম তখন তনিম সরাসরি লীনাকে বলেই ফেললো, "আপনার সানগ্লাসটা নামিয়ে ফেলবেন, প্লিজ! আর ভালো হয় যদি স্বাভাবিক হয়ে বসেন, এখানে কথা বলতে এসেছি, আপনাদের খুন করতে আসিনি। যেভাবে তাকিয়ে আছেন, তাতে তো মনে হয় আমরা মাত্রই কাউকে জখম করে এসেছি, আর আপনাদের এখন খুন করব!"

আমি কেন যেন বিপদের গন্ধ পেলাম। তনিমের কথা শুনে মনে হলো, "আন্টির কথায় ও রাজী হয়েছে ঠিকই, কিন্তু কোন একটা ছুতো পেলে ও মনেহয় খুশিই হবে"। আমি একবার লীনা আরেকবার শারমিনের দিকে তাকালাম। লীনা যেভাবে ছিল সেভাবেই রয়ে গিয়েছিল, শারমিনের হাতের আঙ্গুলগুলো স্মার্ট ফোনের পর্দায় আঁকিবুঁকি কাটা থেকে থেমে গিয়েছিল। আমি ঢোক গিলে পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণ রাখব কী রাখব না, এই সিদ্ধান্তহীনতায় যখন ভুগছিলাম, সেই মুহুর্তে লীনা হাত দুটো টেবিলের উপর রেখে সামনে ঝুঁকে বলেছিলো, "আমি এভাবেই থাকব, বাকিটা আপনার মর্জি"। আমার ততক্ষণে বোঝা হয়ে গিয়েছিল এই সম্পর্ক হবার বাস্তব সম্ভাবনা আর নেই। দুজনেরই আত্মমর্যাদাবোধ দিনের আলোর মতই দীপ্তিময়। এরকম স্বাধীনচেতা দুজন মানুষ একসাথে থাকতে পারে না।

লীনা আর তনিমের পাশে শারমিন আর আমি কি করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। সাহস করে বলেই ফেলেছিলাম, "আপনারা দুজন আলাপ করুন, আমরা প্ল্যাটফর্মে গিয়ে বসি"। বলে উঠে দাঁড়িয়েছিলাম, ভেবেও নিয়েছিলাম যদি লীনা বা শারমিন আমার কথায় রাজি না হয়, তবুও আমি উঠে পড়ব। শারমিন বোধহয় বিষয়টার গুরুত্ব বুঝেছিল বেশি, আমি বলার পর সেও উঠে এসেছিল। দোকানে লোকের আনাগোনাও বাড়ছিল, শেষ পর্যন্ত সবাই মিলেই বেরিয়ে এলাম দোকান থেকে। আমি একদম উত্তরের কোণের কাউন্টার থেকে দুটো প্ল্যাটফর্ম টিকেট কিনে এনে দেখি, তিনজন তিনদিকে ফিরে দাঁড়িয়ে আছে। একটা টিকেট তনিমের হাতে দিয়ে পাঁচ নাম্বার প্ল্যাটফর্মে লীনা আর তনিমকে বসিয়ে দিয়ে আরেকটু দূরে গিয়ে প্ল্যাটফর্ম এর পেভমেন্টে বসে পড়েছিলাম। শারমিন খানিকটা দ্বিধাগ্রস্ত থেকে, মোটামুটি তিনহাত দূরত্ব রেখে বসেছিল। আমি একটা বহুল ব্যবহৃত হাসি হেসে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, "আপনার গল্প বলুন, এই যে ঘুরতে যাচ্ছেন, কী করবেন, কোথায় যাবেন, কিকরে থাকবেন, এসব আরকি"!

দুই.

সেদিন এভাবেই পরিচিত হয়েছিলাম শারমিনের সাথে। ছয়নাম্বার প্ল্যাটফর্মের সামনের জায়গাটুকু বেশ লাগছিল। পুরানো স্টেশন থেকে পাঁচটা লাইন এসে ঢুকে পড়েছিল যেন কমলাপুরে। সবুজ ঘাসের চাদর রেললাইন ছেড়ে দুপাশে ঘন হয়ে ছিল। দূরে দেয়াল লিখন চোখে পড়ছিল, পলেস্তারা খসা দেয়ালের নীচে একটা ছোট ঘরে এক পাগল বসেছিল, পাশে আরেক পাগলি একটু পরপর মাথা চুলকাচ্ছিল, গাঁ চুলকাচ্ছিল, আর পানির ছিটা দিচ্ছিল পাগলটাকে। পাগলটা একটু পরপর কী জানি বলে উঠছিল আর পাগলিটা কিছুক্ষণ দূরে সরে আবার একই কাজ করছিল। ওদের খুনসুটি দেখতে দেখতে আমি হাসছিলাম। শারমিন এতক্ষণ চুপ করে থাকলেও আমার হাসি দেখে জিজ্ঞাসা করেছিলো, "এখানে হাসির ব্যাপারটা বুঝতে পারছি না"। আমি 'পাগলামি' বাদ দিয়ে শারমিনকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, "আপনারা তো আই আরে পড়ছেন, তাই না?" শারমিন এককথায় জ্বি বলে উত্তর দিয়েছিল। আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম, "লীনাও কী আই আরে পড়ছে?" শারমিন সেবারও জ্বি বলে উত্তর দিয়েছিল! আমি আবারও জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আপনারা এই নয়জনই কী আই আরে পড়ছেন?" একইভাবে এবারও 'জ্বী' বলেছিল শারমিন।

আমি মনে মনে ভাবছিলাম, ইদানিং দেশে আই আরে লেখাপড়া করার সংখ্যা মনেহয় বেড়ে গেছে। হয়ত আরো প্রশ্ন করলে শুনতে পারতাম যে দেশের তিনভাগের একভাগ মানুষই আই আর বুঝে, পড়ে আর বিশেষজ্ঞ হয়ে আছে। আমি হতাশ হয়ে, অন্যভাবে কথা আগানোর চেষ্টা করলাম। জিজ্ঞাসা করলাম, "আচ্ছা, এই যে পাহাড়ে যাবেন, কোন সমস্যা হতে পারে না!" শারমিন একটু কটমট করে আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিল, "সমস্যা তো হবেই, নিজেদের কাজ নিজেদের করতে হবে"। আমি বললাম আরে নাহ্, সেসব কিছু নয়, জানতে চাচ্ছিলাম পাহাড়ে যদি কিডন্যাপ হয়ে যান, তখন। কিংবা ধরেন ডাকাত পড়ল, বা ধরুন পাহাড় থেকে পড়ে গেলেন, হাত পা ভেঙ্গে গেলো, তখন?"

শারমিন হাতের স্মার্ট ফোন রেখে দিয়ে আমার দিকে তাকাল। সেই দৃষ্টিতে তাচ্ছিল্য ছিল না, করুণা ছিল না, বন্ধুত্বও ছিল না, ঘৃণা ছিল না, কী ছিল সে কবিরা হয়ত বলতে পারবে! আমার কাছে শুধু মনে হলো, এই যে ব্ল্যাক হোলের কথা শুনি, যেখানে সবই হারিয়ে যায়, আমিও বোধহয় হারিয়ে গেলাম। এমন কালো চোখের মণি, স্মার্ট ফোনে চোখ রাখতে রাখতে চোখের ভেতরের ভেসে ওঠা মাকড়শার জালের মতো স্নায়ুজাল, ফুলে ওঠা চোখের কোল - এসবই দেখে আমার কেমন যেন ধন্ধ লেগে গেলো। আমি হুট করেই আনমনা হয়ে গেলাম।

আলাপ আর বেশি গড়াতে পারেনি সেদিন। লীনা আর তনিমের মাঝে কী কথা হয়েছিল, সে নিয়েও যেন কোন চিন্তা ছিল না। একটা ঘোরে থেকেই যেন বিদায় নিয়ে চলে এসেছিলাম তনিম আর আমি। এরপর চাকুরি নিয়ে, ভবিষ্যত নিয়ে, সাফল্য ব্যর্থতা নিয়ে কেটে গিয়েছিল দুতিন বছর। তনিম আবার দেশের বাইরে চলে গিয়েছিল, আর আমি চাকরি নিয়ে ঢাকার বাইরে। সেদিন পত্রিকার পাতায় একটা ঘটনা পড়ে জানতে পারলাম শারমিনের কথা। ভেতরের পাতায় ছবি দেখে চিনতে এতটুকু কষ্ট হল না। সেই চোখ আগের মতোই আছে, শুধু শরীরটা কেমন যেন কুঁকড়ে গেছে। স্কটিশ একজন শিক্ষিকার করা একটা সংগঠন থেকে বাছাইকরা মোট তিরিশজন নারী, গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা সমস্ত ক্যান্সাররোগীদের সচেতনতা আর বিশেষ করে ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগীদের জন্য অর্থ সংগ্রহে প্রচারণা চালাচ্ছিল। শারমিনও সেই সচেতনতায় অংশ নিয়েছিল। হিমালয়ের বেজ ক্যাম্পে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের পতাকা হাতে দৃঢ়চেতা শারমিনকে দেখে সেই দিনের কথা মনে পড়ে গেলো। তারচেয়েও বেশি মন পুড়ছিল শারমিনের সে কথা মনে করে, "আমার কোন গল্প নেই, ভাইয়া"।

তখন কী আর জানতাম যে শারমিনের গল্পই আমাকে লিখতে হবে। তখন তো ভাবিনি একজন ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষ কেমন হতে পারে। তখনও জানা হয়ে উঠে নি, বান্দরবানে বেড়াতে যাওয়া শুধু তারুন্যের উচ্ছাসও ছিল না, আসলে ছিল এক দীর্ঘ যাত্রার প্রস্তুতি। আজ শারমিনের নিজের চেষ্টায় গড়ে ওঠা আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বিনে পয়সায় প্রতিবছর ক্যান্সারের চিকিৎসা পায় দশজন মানুষ। একটা স্কুল করেছে ওরা, ঢাকা সহ দেশের অন্যান্য জেলা থেকে পথের শিশুদের নিয়ে গড়ে তুলেছে এই স্কুল। আরো কত কিছু যে করেছে পড়তে পড়তে কখন আমি খয়ে গিয়েছিলাম জানিনা। হঠাৎ নিজের চিৎকারে নিজেই সম্বিৎ ফিরে পেলাম যেন।

লীনা মাহজাবিন! শারমিনের সেই বান্ধবী মানে, তনিমকে নিয়ে যাকে দেখতে গিয়েছিলাম, সেইতো, নাকী? রিপোর্টটার নিচেই ওদের ঠিকানা আর একটা নাম্বার দেখতে পেলাম। যোগাযোগ করতে যেই নাম দেয়া আছে, সেখানে প্রথমেই লীনার নাম দেয়া।

দুতিনবার রিং হবার পর একজন মহিলা ধরলেন, জিজ্ঞাসা করলাম 'আমি কী লীনা মাহজাবিনের সাথে কথা বলতে পারি'? উনি বললেন, জ্বি, বলুন, আমি লীনা বলছি। আমার বোধহয় অবাক হবার বাকি ছিল তখনও। একথা সেকথা জিজ্ঞাসা করেও সেদিনের লীনাকে যেন খুঁজে পাচ্ছিলাম না, সেই রগচটা, উন্নাসিক মেয়েটা, কেমন যেন হয়ে গেছে। এত অমায়িক ব্যবহার পেয়ে আমিও নানা কথা শুরু করে দিলাম। প্রায় দশ মিনিট বাদে আমাকে থামিয়ে দিয়ে লীনা বললো, "আপনার সাথে একজন কথা বলতে চায়, প্লিজ কথা বলুন"। আমি কাঁপা কাঁপা হাতে একবার চশমা ঠিক করলাম, একটু জল খেয়ে নিয়ে ভাঙ্গা গলায় বললাম, "জ্বি, আমি শুনছি"। ওপাশ থেকে কেউ একজন বললো, "কিরে হারামী, কেমন আছিস?" ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না কে আমাকে এমন করে বলতে পারে! ঘনিষ্ঠ কেউ! তার মানে, শারমিন, লীনা, তনিম - একসাথে? তবে কী ওদের...! তাই বলে আমি জানব না! ধ্যাত্তেরিকা! তনিম এখানে কী করছে? দেশে এসেছে, একবার জানালোও না!

আমাকে অবাক করে দিয়ে তনিম বলল, "শোন, আজ তো শুক্রবার। পারলে রাতে রওনা দিয়ে দে, কাল আসলে কথা হবে। বান্দরবান পৌঁছে ফোন দিতে ভুলিস না!" আমি কিছুক্ষণ হতভম্ব থেকে ভাবতে লাগলাম, "তবে কী তনিম লীনাকেই বিয়ে করেছে, কিন্তু আমাকেও জানালো না! কী করে সম্ভব? নাকি এই ছিল শর্ত যে, কাউকে বলবে না! লীনা যে মেয়ে, হয়ত বলেছে, 'এক শর্তে বিয়ে করতে রাজি, যদি বান্দরবানে এরকম একটা আশ্রয়কেন্দ্র করে - যেখানে দলিত, পথহারা, অধিকার হারানো মানুষের আশ্রয়স্থল হবে'। কী জানি হতেও পারে! সব ভাবনা বাদ দিয়ে শুধু মাথায় একটা শব্দ ঘুরছিল, "বান্দরবান"। চট করে ছোট একটা ট্র‍্যাভেল ব্যাগ গুছিয়ে, ফোন দিলাম বাস কাউন্টারে। ওপাশে রিং হচ্ছিল, আমার যেন আর তর সইছিল না! তারপরই আবার সে গভীর, ক্লান্ত অথচ দয়ার্দ্র দুটো চোখ যেন ভেসে ওঠল আমার অনুভবে। আর থেকে থেকে বলে যাচ্ছিল যেনো, "আমার কোন গল্প নেই"।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পশ্চিমা ইসলামবিদ্বেষ থেকে বাংলাদেশের ইসলামপন্থি রাজনীতি

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৬


আমি যখন কানাডায় বসে পাশ্চাত্যের সংবাদগুলো দেখি, আর তার পরপরই বাংলাদেশের খবর পড়ি, তখন মনে হয় - পশ্চিমা রাজনীতির চলমান দৃশ্যগুলো বহু পথ পেরিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহে আলো-ছায়ায় প্রতীয়মান... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×