somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইউনেস্কো ও সুন্দরবন | মঙ্গলগ্রহের রিপোর্ট

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গেলো কিছু সপ্তাহ থেকে বৃষ্টির অঝর ধারায় আমাদের দেহমন স্যাঁতসেঁতে হয়ে ছিল। একটু আলো, একটু আর্দ্রতার জন্য আমাদের যুক্তিবুদ্ধি গুলিয়ে গিয়ে ফ্যাকাসে হয়ে একটা অসুস্থতার ভাণ ধরেছিল। যাক গত পরশু বৃষ্টি ঝরেনি, তাতে করে আবহাওয়া উত্তপ্ত হচ্ছিল, আর আমাদের মুখে হাসি ফুটে উঠছিল।

আমাদের এই খুশির বিষয়টা মহাবিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকেও অনুভূত হচ্ছিল বলে বেশ কিছু সংবাদও এই লেখার আগ পর্যন্ত হস্তগত হয়েছে। তবে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য আমরা পেয়েছি মঙ্গলগ্রহ হতে। সেখানে থাকা Thousands Years of Bengal পত্রিকার সম্পাদক 'মঙ্গলম পোড়ামাটি'র রিপোর্ট টি বেশ কৌতুহলোদ্দীপক বলে আমার মনে হয়েছে।

পুরো রিপোর্টটি এখনও বিশ্লেষণ চলছে, তবে আপনাদের জন্য আমি সারাংশ বাংলায় লেখার চেষ্টা করেছি, কিছু ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে আমি যারপরনাই দুঃখিত।

রিপোর্টের সারমর্ম হচ্ছে, "কয়েক হাজার গ্যালাক্সির মাঝে, মিল্কিওয়ে নামক গ্যালাক্সির একমাত্র বসবাসযোগ্য গ্রহ Earth এর ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ জুলাই ২০১৭ খ্রিষ্টীয় সালে দফায় দফায় ধোঁয়ার উদগীরণ ঘটেছে। মঙ্গল থেকে তাক করা টেলিস্কোপে দেখা গিয়েছে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত ও মিয়ানমারের বেশ কিছু এলাকা, হাল্কা থেকে মাঝারি, কখনও কখনও মাঝারি থেকে ভারি ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। মঙ্গল কর্তৃপক্ষ তৎক্ষণাৎ NASA, UN এবং উল্লেখিত রাষ্ট্রগুলোর সাথে যোগাযোগ করলে এই ব্যাপারে কেউ কোন নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেনি। তদুপরি, মঙ্গলগ্রহের স্বউদ্যোগে প্রেরিত মহাকাশযান "গাঁজার নৌকা" যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে এসে পৌঁছায়, তখনও এই বিস্ময়কর ধোঁয়া পৃথিবীর আকাশে বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছিল।

মঙ্গলযান থেকে কিছু রোবট পাঠিয়ে এই ধোঁয়াকে পরীক্ষা করে তারা জানতে পারেন, আমেরিকা ও আফ্রিকার গাঁজার ব্যবসায়ীরা তাদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে গিয়ে উল্লেখিত দেশের গাঁজার বাগানে আগুন দিলে এই ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। তবে এই ধোঁয়া পরিবেশের তেমন ক্ষতি করবে না বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে এই সব দেশের লোকজন আলোকে আঁধার, কান্নাকে হাসি, দেশকে বিদেশ, বুদ্ধিমানকে বোকা বলে ভুল করার সম্ভাবনার কথা - রিপোর্টে বেশ প্রাধান্য দিয়ে বলা হয়েছে।

এই রিপোর্ট দাখিল হবার ঘন্টা তিনেকের মাঝেই প্রথম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় বাংলাদেশে। যেহেতু বাংলাদেশ একটি অসাধারণ বুদ্ধিমান প্রাণির নিবাস, সেহেতু তাদের চিন্তাচেতনায় এই গাঁজার ধোঁয়া এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গির জন্ম দিতে পেরেছিল। প্রায় প্রত্যেক বাঙ্গালি এই ধোঁয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মজে ছিল শেষ রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত। এই সময় বাংলাদেশের আন্তঃপৃথিবী মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে প্রায় সমস্ত পত্রিকা ও মার্ক জুকারবার্গের আরাধানালয়, ফেইসবুকে UNESCO কর্তৃক সুন্দরবনের সীমার কাছাকাছি রামপাল তাপবিদ্যুৎ Go ahead ছাড়পত্র প্রদান উপলক্ষ্যে বিশেষ রিপোর্ট পেশ ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

উৎসুক জনতা, খণ্ডকালীন সরকার সম্প্রদায়, অতি বুদ্ধিজীবী এবং চোখ বন্ধ সমর্থকেরা এসময় একে অপরকে মিষ্টি মুখ করিয়ে দিয়েছিলেন বলেও সংবাদে বলা হয়েছে।

গাঁজার ধোঁয়া শরীরে প্রবেশ করার ফলে মিষ্টির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় সমস্ত নাগরিককে মিষ্টি বিতরণের এক দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাও বাংলাদেশের আইন প্রণেতাগণ নিয়েছেন, যা পাশ হবার পথে রয়েছে। তবে যেসমস্ত বাংলাদেশি সেসময় হাসপাতালে, বাসায়, রাস্তায়, স্কুল কলেজে, আদালতে মাস্ক পরিহিত ছিলেন, তারা এই সংবাদ শোনার পরও বিশেষভাবে জীবিত রয়েছেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে মঙ্গলের রিপোর্টাররা এই বলে তাদের আন্তঃগ্রহ সংবাদ শেষ করেছেন যে, "মাস্ক পরা ব্যক্তিবর্গ UNESCOর করা ঘোষণা বিশ্বাস/হৃদয়ঙ্গম করতে না পেরে, এবং গাঁজার ধোঁয়ায় আক্রান্ত না হওয়ায় অস্বাভাবিকভাবে কেঁপে কেঁপে 'ডাহা মিথ্যা, ডাহা মিথ্যা' বলতে বলতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন।

যথারীতি বাংলাদেশ ও ভারতীয় সরকার এইসব দুর্বল মানুষদের দেশদ্রোহী ঘোষণা করলেও, দেশে থাকতে হলে আমৃত্যু মুখোশ পরে থাকার আদেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলগ্রহের রিপোর্টটি অতিসত্বর প্রকাশ করা হলেই আপনাদের অনুবাদ করে জানানো হবে। তদুপরি সমস্ত গ্যালাক্সির কথা মাথায় এনে আমাদের এক মুখোশ পরিহিত সাংবাদিক প্রায় কাছাকাছি একটি "গাঁজাখুরি" রিপোর্ট পেশ করেছেন। এই পোস্টের প্রথম মন্তব্যে আপনারা সেই রিপোর্টটি পড়তে পারবেন।

দ্রষ্টব্য - প্রকাশিত রিপোর্টটি আশি ভাগ বাংলায় আর বিশ ভাগ ইংরেজিতে করা হয়েছে। বাংলা না বুঝলে বাংলা একাডেমি আর ইংরেজী না বুঝলে আকাদেমিয়া বাঙ্গালার শরণাপন্ন হতে উৎসাহিত করা হলো।

#sundarban
#say_no_to_Rampal
#marsreport_gazar_nouka
#unescoreport
#daha_mithya
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮



এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×