somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি - হাতের নাগালেই!

১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ৯:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) বা কাল্পনিক বাস্তবতা এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা – এক বিশেষ ধরনের ডিভাইস যা মাথায় বা চোখে পরিধেয় এবং আপনার মাথার নড়াচড়া কে ট্র্যাক করে সৃষ্ট ত্রিমাত্রিক জগতের সাথে আপনাকে একাত্ম করে; তারমানে আপনি যে দিকেই ফিরে তাকাবেন, ত্রিমাত্রিক পরিবেশও সেভাবে ঘুরে যাবে। তাতে মনে হবে আপনি ঐ ত্রিমাত্রিক জগতের সাথেই মিশে গেছেন। ইদানিং এই প্রযুক্তি উপযোগী বহু গেমস ও সিনেমা সহজেই পাওয়া যাচ্ছে।
সেই ৭০ এর দশক থেকে এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি নিয়ে বিভিন্ন চেষ্টা চললেও, খুব সম্প্রতি ফেইসবুক মালিকাধীন অকুলাস রিফট্ (Oculus Rift ) এই প্রযুক্তিকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে তারা সহজে পরিধানযোগ্য হেডসেট (Headset) এর ২য় সংস্করণ বাজারে ছাড়ার প্রক্রিয়ায় আছে। এই হেডসেট মাথায় পরে usb এর মাধ্যমে পিসির সাথে সংযুক্ত করতে হয় এবং পিসির নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের (DVI) মাধ্যমে ত্রিমাত্রিক গেমস বা ভিডিও চালাতে হয়। অকুলাস রিফট মাথার সামান্যতম নড়াচড়াও ট্র্যাক করে এবং ৩৬০ ডিগ্রির ত্রিমাত্রিক পরিবেশে ব্যবহারকারীকে একাত্ম করে। বর্তমানে এটির দাম রাখা হয়েছে ৩৫০ ডলার।



অন্যদিকে অকুলাস রিফট্ এর সহায়তায় স্যামসাং এনেছে গিয়ার ভিআর (Samsung Gear VR)। এই হাল্কা ওজনের প্লাস্টিকের ডিভাইসে গ্যালাক্সি নোট ফোর ট্যাব ঢুকিয়ে ত্রিমাত্রিক প্রদর্শন দেখতে হয়। এই ক্ষেত্রে ট্যাবটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটির হার্ডওয়্যার ও ডিসপ্লে হিসেবে কাজ করে। এটি কিনতে হলে খরচ করতে হবে প্রায় ২০০ ডলার। তবে যাদের নোট ফোর আছে কেবল তারাই এর চমৎকারী দেখতে পাবেন।



এই ডিভাইস গুলো যে পদ্ধতিতে কাজ করে তা হল – এদের ডিসপ্লেটিকে দুই ভাগে ভাগ করে দুই চোখে আলাদা ভাবে দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। এই দুই ভাগে একই চিত্র দুই কোণে থাকার কারণে বাস্তবে চোখ যেভাবে দেখে ঠিক একই ভাবে ঐ চিত্রটিকেও দেখে (একে Stereoscopic vision বলে), একই সাথে মাথার নড়াচড়া বা ঘূর্ণন অনুযায়ী চিত্রপটও ঘুরে যায় – সব মিলিয়ে ব্যবহারকারির মনে হবে তিনি ঐ জগতে আছেন।

এই সাদামাটা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে গুগল বের করেছে সাধারণ কার্ডবোর্ডে তৈরি চোখে পরার উপযোগী একটি ডিভাইস – একেবারে পানির দরে! হ্যাঁ, মাত্র ২০ ডলারে গুগল দিচ্ছে Google Cardboard. এতে যেকোন স্মার্টফোন ঢুকিয়ে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি দেখা যায়। কার্ডবোর্ডে তৈরি হাল্কা এই ডিভাইসে আছে দু’টি বিশেষ লেন্স – যা বড়পর্দার অনুভূতি সৃষ্টি করে; একজোড়া গোলাকৃতি চুম্বক - যা মোবাইলের ম্যাগনেটিক সেন্সর কে ট্রিগার করতে পারে – এটি হাতের কন্ট্রোলার হিসেবে কাজ করে। সব মিলিয়ে একেবারে সস্তায় কাল্পনিক বাস্তবতার স্বাদ পাইয়ে দিচ্ছে এই Google Cardboard. তাই দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে।




এদিকে মাইক্রোসফটও বসে নেই। আরও কয়েকধাপ এগিয়ে মাইক্রোসফট কাজ করছে HoloLense প্রযুক্তি নিয়ে। একে তারা বলছে Augmented Reality. তারমানে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি থেকে বেশিকিছু। HoloLense দেখতে অনেকটা সানগ্লাসের মত, চোখে পরার উপযোগী। এর লেন্স বাস্তব জগতকে ভার্চুয়াল জগতের সাথে মিশিয়ে দেয়। একটা উদাহরণ দেই - মনে করুন আপনি মাঠে বসে আছেন HoloLense পরে, মুহুর্তেই আপনি যদি চান দেখতে পারেন একটি F22 ফাইটার বিমান মাঠের উপর ল্যান্ড করে আছে; চাইলে বিমানটির বিভিন্ন অংশ খুলেও দেখতে পারেন। এটাই হল Augmented Reality - বাস্তবের মাঠে ভার্চুয়াল বিমান। HoloLense এখনো বাজারের মুখ দেখেনি তাই এর দামও এখনো নির্ধারিত হয়নি; খুব যে কম হবে না তা সহজেই আঁচ করা যায়।



বাংলাদেশে খুব সীমিত আকারে কিছু ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট বিক্রি হচ্ছে। তবে দামের কারণে Google Cardboard ই সবচে’ জনপ্রিয়। বিভিন্ন অনলাইন কেনাবেচার সাইটে এগুলো বিক্রি হচ্ছে। মানের বিভিন্নতার কারণে একটু যাচাই বাছাইকরা বাঞ্ছনীয়। SjCodes এই ফেসবুক পেজেও ঢুঁ মেরে দেখতে পারেন, তাদের গুলো সবচেয়ে বেশি ফিচারের।
এগুলো ছাড়াও HTC, Razor, Sony সহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ সংস্করণে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির হেডসেট তৈরী করছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ৯:২১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×