somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আধুনিক চৈনিক সভ্যতায় আমি যখন অতিথি-২

১৩ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের মো্ট ১২ দিনের ট্যুর। ১ম এবং শেষ দিন বাদ দিলে পাক্কা ১০ দিন। প্রথম দিনই ডিনারে একটু বিপত্তি ঘটল। ডরমেটরিতে পৌছুতে আমাদের ৭:৩০ বেজে গেল। আধাঘন্টার মধ্যেই আমাদের সবকিছু চিনিয়ে এবং বুঝিয়ে দিয়ে লোকাল টিম বিদায় নিলে আমরা সবাই ফ্রেস হয়ে মোটামুটি ধীরে সুস্থে ডিনারের জন্য বের হলাম। ক্যান্টিনে গিয়ে দেখি সব অন্ধকার। কিছুক্ষন ডাকাডাকির পর একজন এসে চৈনিক ল্যাঙ্গুয়েজে কি যেন বলা শুরু করল। এরা চৈনিক ছাড়া অন্য কোনো ভাষা বোঝে না। আর আমি সহ আমার টিমের সকলেরই চৈনিক জ্ঞান ‘নি হাউ মা’ (কেমন আছেন?) পর্যন্ত। অবশেষে একজনকে পেলাম যে ইংরেজী এবং চৈনিক দুই ভাষাই জানে। আর তার মাধ্যমে যে জিনিসটি উদ্ধার হল তা শুনে তো আমাদের মাথা তো পুরাই খারাপ অহস্থা।

ক্যান্টিন ৬ টায় (বাংলাদেশ টাইম ৪টায়) বন্ধ হয়ে যায়। আগ্ই বলে রাখি বাংলাদেশের সাথে কুনমিং এর সময়ের পার্থক্য ২ ঘন্টা হলেও ভৌগলিকভাবে খুব বেশি দুরে না থাকার কারনে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত সবকিছুতে তেমন পার্থক্য নেই। যেমন কুনমিং-এ সূর্যাস্ত ৮:৩০ আর বাংলাদেশে ৬:৩০। সুতরাং ঘড়ির কাটা ২ ঘন্টা না বাড়ালে বাংলাদেশের মতই। কি আর করা। বাইরে খেতে হবে। সমস্যা সেখানেও হালাল খাবার কোথায় পাব? আবার সন্ধা ৮:০০ টার মধ্যে মোটামুটি দোকানপাট বন্ধ। অগত্যা ৫ কিলো হেঁটে কেক আর কলা কিনে রাতরে খাবারের ঝামেলা শেষ করলাম।

আমাদের তিন বেলা খাবারের রুটিন ছিল; ভোর ৭:৩০ নাস্তা, সকাল ১১:৩০ লাঞ্চ এবং বিকাল ৫:৩০ টায় ডিনার। আমরা আবার এর সাথে আরেকটি ওয়াক্ত বাড়িয়ে রাত ১১:০০ টার দিকে রাতের ডিনার যোগ করলাম। খাবারের স্বাদ নিয়ে একটু সমস্যা ছিল। শাক-সবজি সব অর্ধ সেদ্ধ। মাছ মাংশের টেস্ট মিস্টি মিস্টি লাগে। একদিন তো আমরা নিজেরাই কিচেনে ঢুকে গেলাম । আমাদের ঝাল আর স্পাইসি দিয়ে রাননা দেখে চায়নারা তো অবাক। ওরা সাহস করে আর আমাদের রান্না খেয়ে দেখেনি কেমন হলো। গরুর মাংশ আর মুরগি রান্না করে লাঞ্চ আর ডিনার টা ওইদিন আমাদের ভালোই কাটল।

আমাদের সমস্যা হল ভালো জিনিস আমাদের ভালো লাগেনা। ডালে চালে ঝাল খিচুরি না হলে কি আমাদের চলে। বাঙালি তো, তাই সমাধান বের করতে সময় লাগেনি। ইউনান ইউনিভার্সিটির পাশে ফরেন স্ট্রিট নামক যায়গায় একটা ইন্ডিয়ান রেস্ট্রুরেন্টে বিরিয়ানির সন্ধান পেয়ে গেলাম। খাবারের ঝামেলা থেকে মুক্তি পেয়ে আমরা মনোনিবেশ করলাম বিভিন্ন স্পট ভিজিটিং-এ। (চলবে)

সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×