
সমস্ত প্রশংসা মহান রব্বুল আ’লামীনের জন্য, যিনি আমাদেরকে একমাত্র তাঁরই ইবাদাত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। অসংখ্য ছ্বলাত ও সালাম শেষ নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর পরিবার ও সাথীবর্গের উপর।
বর্তমানে আমরা পশ্চিমাদের দ্বারা এতটাই বেশি প্রভাবিত যে, পশ্চিম থেকে বিষ আসলেও সেটাকে আমরা মধু মনে করে খেয়ে ফেলি। আদৌ এটা ভাল কি মন্দ সেটা উপলব্ধি ক্ষমতা আমাদের নেই। পশ্চিম থেকে আসা তেমনই একটা ব্যাপার হচ্ছে, আগে ক্যারিয়ার, পরে বিয়া শাদি। আর এই বিয়া শাদি না করলেই বা কি, এত কষ্টের ক্যারিয়ারের ইনকাম দিয়ে সরকারী লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্রোথেল গুলোতে যাবা। প্রতিদিন বউ চেঞ্জ করবা।
পশ্চিমা কাফের-মুশরিকদের এই থিওরি এখন আমাদের মুসলিম সমাজেও ব্যাপক দেখা যাচ্ছে। একটা বিশ-বাইশ বছর বয়েসি ছেলে যদি তার চরিত্র রক্ষা করতে বিয়া করতে চায় তখন সারা দুনিয়া এসে বলবে বিয়া যে করবা, বউকে খাওয়াবা কি? কেনরে ভাই তার বউ কি এখন না খেয়ে আছে? আর বিয়া করলে কি দেশে দুর্ভিক্ষ লেগে যাবে? আসেন দেখি তাহলে আমাদের সৃষ্টিকর্তা যিনি তার প্রেসক্রিপশন কি এই ব্যাপারে।
.
আরশের মালিক মহান আল্লাহ বলেন,"যমীনে বিচরণশীল এমন কোন জীব নেই যার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর উপর নেই, তিনি জানেন তাদের থাকার জায়গা কোথায় আর কোথায় তাদেরকে (মৃত্যুর পর) রাখা হয়, সব কিছুই আছে সুস্পষ্ট লিপিকায়।" (সূরা হুদঃ৬)
তাহলেই দেখতে পাচ্ছি আমাদের সৃষ্টিকর্তা বলেছেন যে যমীনে বিচরণশীল সকল প্রাণীর রিযিকের দায়িত্ব তিনি নিয়েছেন। এখন আমি কাউকে বিয়া করলে কি তার রিজিক ছিনিয়ে নেয়া হবে?
বিয়া করলে কি রিজিক কমে?
আমাদের রব মহান আল্লাহ বলেন,"তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন তাদের বিবাহ সম্পন্ন কর আর তোমাদের সৎ দাস-দাসীদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয় তাহলে আল্লাহ তাদেরকে নিজ অনুগ্রহে অভাবমুক্ত করে দেবেন, আল্লাহ প্রচুর দানকারী, সর্ববিষয়ে জ্ঞাত।" (সূরা নূর:৩২)
আমাদের যিনি সৃষ্টিকর্তা তিনি বলতেছেন বিয়া করলে তিনি নিজ অনুগ্রহে আমাদের অভাবমুক্ত করবেন অথচ আপনি বলতেছেন বিয়া করে খাওয়াবো কি? এই কথা বলে কি আপনি সীমালঙ্ঘন করছেন না? উপরের ছবিটির দিকে খেয়াল করুন? কি দেখলেন? এমন জায়গায় কি জীবনধারণ করা সম্ভব? আপনার আমার জন্য সম্ভব না কারন আপনি আমি মহান রবের উপর যেই তাওয়াককুল করার দরকার ছিল সেটা করতে পারি নাই। যদি তাওক্কুল করতে পারতাম তাহলে কি হত জানেন?
উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি যথাযোগ্য ভরসা রাখ, তবে তিনি তোমাদেরকে সেই মত রুজি দান করবেন যেমন পাখীদেরকে দান করে থাকেন। তারা সকালে ক্ষুধার্ত হয়ে (বাসা থেকে) বের হয় এবং সন্ধ্যায় উদর পূর্ণ করে (বাসায়) ফিরে। (তিরমিযি ২৩৪৪, ইবন মাজাহ ৪১৬৪)
শেষ করছি উমর ইবন খাত্তাব রাদিআল্লাহুআনহুর কথা দিয়ে, তিনি বলতেন,"ওই ব্যক্তির ব্যাপার বিস্ময়কর যে বিয়ের মধ্যে প্রাচুর্য খোঁজে না। কারণ স্বয়ং আল্লাহ বলেছেন, ‘তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন।"
আসেন ভাই পশ্চিমা পায়খানার তন্ত্র-মন্ত্র রেখে ফিরে যাই আমাদের রবের কাছে যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছে। আর তার দেওয়া জিবনবিধান মতে নিজেদেরকে গড়ে তুলি।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:১৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



