
‘ফেলানী, কিশোরী বোন আমাদের! পানি পানি বলে তোমার গগনবিদারী চিত্কারে আমাদের সরকার সাড়া দেয়নি। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা লাশ হয়ে কাঁটাতারে ঝুলে থাকার পরও কেউ তোমাকে উদ্ধার করতে যায়নি। আমরা তোমার শোকার্ত ভাই-বোনরা তাই আজ রাস্তায় ছুটে এসেছি। আমরা এ নির্মম হত্যাকাণ্ড মানি না। আমরা খুনি বিএসএফের বিচার চাই। শপথ নিলাম তোমার রক্তের বদলা নেব। বাংলাদেশের তরুণরা একযোগে খুনি বিএসএফকে জবাব দেব।’
সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর নির্বিচারে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যার বিরুদ্ধে এভাবেই শপথ নিয়েছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তরুণরা। এ সময় তারা বলে, সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যার বিরুদ্ধে সরকারের নীরব ভূমিকা বিএসএফের হত্যাকাণ্ডকে সমর্থনের শামিল। তারা সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে অবিলম্বে সরকারকে রাজনৈতিক ও সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানায়। এ সময় দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার আপসহীন যোদ্ধা আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবি করে তারা।
সম্প্রতি কুড়িগ্রামের ১৫ বছর বয়সী বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানীকে গুলি করে হত্যার পর তার লাশ ৪ ঘণ্টা কাঁটাতারের বেড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে ভারতীয় বিএসএফ। এ ঘটনার খবর ও ছবি বাংলাদেশ এবং ভারতের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হলে তরুণদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের তরুণরা ফেলানীর ঝুলে থাকা লাশের ছবি নিয়ে বাংলা কমিউনিটি ব্লগ এবং ও সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে ব্যাপক প্রচারণা শুরু করে। তারা ফেলানীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিএসএফের অব্যাহত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দেয়।
তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে গতকাল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন করে চট্টগ্রাম মহানগর আমার দেশে পাঠকমেলা, আমার বর্ণমালা ব্লগার্স ফোরাম ও নক্ষত্র সাংস্কৃতিক সংসদের সদস্যরা। তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে মানববন্ধনে যোগ দেয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, ইউআইটিএস, চট্টগ্রাম কলেজ, সিটি কলেজ, মুহসীন কলেজ ও কমার্স কলেজের শত শত শিক্ষার্থী।
প্রথম আলু...খালের কন্ঠু...যুগন্ডার...সমকালু এরা কি এই খবর চাপবে??
সুত্র-

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




