শবে বরাত সেই ছোটকাল থেকেই দেখে আসতেছি আমরা খুব ঘটা করে পালন করি। শৈশবে আমরা ছোটরা এই দিনে খুব মজা করতাম কারন সবাই মিলে তারাবাজি, আতশ বাজি , পটকা ফুটাইতাম। আতশবাজি , ফটকা ফুটানো এগুলো এখন উঠে গেছে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের কারনে।
শবে বরাতে আমার যেটা মনে হয় নিয়মিত নামাজিদের থেকে বেনামাজীদের উদ্দপনা বেশি থাকে। অনেকের কাছে এটা গেট টুগেদারের জন্য একটা ভাল দিন। এই যে আজকে রাতে বন্ধুরা ফোন দিবে, আড্ডা হবে , ঐ যে কাম থেকে আকাম গুনার কাম বেশী হবে। আর যারা মাজার মানে তাদের তো আজকে পোয়াবারো, সারা রাত নামাজ তো দূরের কথা, গায়ে আতর চোখে সুরমা লাগিয়ে মাজারে গিয়ে শিরক এ লিপ্ত থাকবে। আল্লাহ্ তাদের সুমতি দান করুক।
আমি শবে বরাত উদযাপন ছেড়ে দিছি যখনই বুঝেছি এটা বিদাআত। শবে বরাত এ যে নামাজ আমরা পড়ি সেটা হচ্চে নফল নামাজ মানে ঐচ্ছিক যেটা পড়লে সওয়াব না পড়লে গুনাহ নাই। সেটা প্রতি রাতেই পড়া যায়। সেই নফল নামাজ নিয়ে আমাদের মধ্যে যে আয়োজন অথচ ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ যেট বাধ্যতামুলক, যেটা না পরলে আমাদের ইমান থাকা না থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে, সেই নামাজ আমরা পড়ি না। শবে বরাত তথা নফল নামাজ নিয়ে আমাদের যে দরদ, সেই দরদটুকু যদি আমারা নিয়মিত নামাজে দেখাতাম তাহলে আমাদের মুসলিম সমাজের কতই না ভাল হত! অনেকে বলে এটা ত খারাপ কিছু না, কমপক্ষে যারা নামাজ পড়ে না তারাও মসজিদে ঢুকে এই রাতে। খারাপ ত কিছু না, যখন ইসলাম বলে তোমরা এমন কিছু কর না যা ইসলামে বিদাত হিসেবে গন্য হয়। আমাদের নবী করিম (সা) আল্লাহ্র কাছ থেকে ৫০ রাকাত সালাত কমাতে কমাতে ৫ ওক্তের মধ্যে নিয়ে আসছে যাতে আমাদের জন্য সহজ হয়, সেই আল্লার বিধান ৫ অয়াক্ত সালাত আমরা আদায় করি না অথচ নতুন কিছু আমরা তৈরি করে সেগুলোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠি। এই যেভাব মিলাদ মাহফিল করা হয় নবী (সা) ভালবেসে। অথচ আমরা কয়েক টা দরুদ শরিফ শিখতে পারিনা ওনার নামে পড়ার জন্য। কিন্তু বাহ্যিক লৌকিকতা নিয়ে আমরা বেশি ব্যস্ত থাকি। আল্লাহ্ ও আল্লাহ্র রসুল (সা) ভালবাসতে হলে আমাদের ৫ অয়াক্ত সালাত (রোজ, হজ্জ, যাকাত, সুন্নত মত চলা) আদায় করতে বলা হয়েছে এর বাইরে অতি রঞ্জিত করতে মানা করা হয়েছে। এর বাইরে গিয়ে ভালবাসা প্রকাশ ইসলাম অবমাননার শামিল।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



