‘বিশ্বাস’ অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলা যায়। ‘আত্নবিশ্বাস’ অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে নিজের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলা যায়। তাই আত্নবিশ্বাস ব্যক্তির উন্নয়নের চাবিকাঠি।
আত্নবিশ্বাস হচ্ছে তাই যা তুমি বিশ্বাস কর। অন্যে তার জন্য যতই সমালোচনা করুক না কেন তুমি তাই করতে চেষ্টা কর। আত্নবিশ্বাস হচ্ছে ঝুঁকি গ্রহণের ফল। ভালো কিছু অর্জনের জন্য অতিরিক্ত পরিশ্রম করা আবশ্যক। আত্নবিশ্বাসের মাধ্যমে নিজের ভুলগুলো চিহ্নিত করা যায় এবং তা থেকে শিক্ষালাভ করা যায়। নিজের সম্পাদিত কার্যের জন্য অন্যের অভিবাদন পাওয়ার অপেক্ষা করাও এক প্রকার আত্নবিশ্বাস।
লিখেছেন শরীফ বিল্লাহ
যখন তোমাকে ভালো দেখাবে না তখন তুমি নিজেকে অন্যের কাছে উপস্থাপন করতে বা কথা বলতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করবে না। তাই নিজের বাহ্যিক চেহারার প্রতি তোমার মনোযোগী হওয়া উচিত। আর এর জন্য নিয়মিত শেভ করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধান করা এবং আধুনিক ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা আবশ্যক।
আত্নবিশ্বাসের সঙ্গে দ্রুত হাঁটলে তুমি নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে, মানুষকে দেখতে এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করতে সক্ষম হবে। সাধারণভাবে হাঁটার চেয়ে ২৫% বেশি গতিতে হাঁটলে আÍবিশ্বাস বেশি পাওয়া যায়।
দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ভাবভঙ্গি ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করার মাধ্যমে তুমি স্বাভাবিকভাবে আত্নবিশ্বাস বাড়াতে পারবে। তাই সোজাসুজি দাঁড়াও। মাথাকে সব সময় ওপরের দিকে রাখ এবং দু’চোখের মধ্যে তাকানোর ক্ষেত্রে
সম্পর্ক রাখ।
আত্নবিশ্বাস বাড়ানোর অন্যতম একটি পন্থা হচ্ছে প্রেরণাযুক্ত কথা শোনা। কর্মক্ষেত্রে সফল হয়েছে এমন ব্যক্তির কথা শুনলে আত্নবিশ্বাস বাড়ে।
আত্নবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য নিজের যা কিছু আছে তার জন্য কৃতজ্ঞ থাক। অতীতের সফলতাগুলো, অন্যের সঙ্গে ভালো সম্পর্কগুলো ইতিবাচকভাবে স্মরণ কর। আর এটাই তোমার পরবর্তী সফলতা লাভের প্রথম পদক্ষেপ।
যখন তুমি অনেক লোকের সঙ্গে গল্পগুজব করতে থাকবে তখন তুমি অনুপস্থিত পরিচিত লোকের সম্বন্ধে ভালো মতামত দাও। এতে সবার কাছে তোমার সম্মান বাড়বে পাশাপাশি সবাই তোমাকে পছন্দ করবে। ফলে তোমার আত্নবিশ্বাস বাড়বে।
স্কুল, অফিস বা কোন মিটিংয়ে পেছনের সারিতে না বসে সামনের সারিতে বসা উচিত। এতে আত্নবিশ্বাস বাড়ে।
গ্র“প মিটিংয়ে অনেকেই লজ্জায় কথা বলতে চায় না। আবার অনেকে কথা বলতে ভয় পায়। এটা নিতান্তই নির্বুদ্ধিতা। তাই গ্র“প মিটিংয়ে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করলে ব্যক্তিত্ব ও আত্নবিশ্বাস বাড়ে।
শারীরিক সুস্থতা আত্নবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। তাই অলসতা পরিহার কর এবং কাজ কর। এতে শারীরিক সৌন্দর্য শক্তিশালী ও ইতিবাচক থাকে এবং আত্নবিশ্বাস বাড়ে।
যদি তুমি এই পৃথিবীতে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে চাও তাহলে ভালো কাজের প্রতি অবদান রাখ। এতে যেমন তোমার আত্নবিশ্বাস বাড়বে তেমনি অন্যের কাছে তুমি অনেকদিন বেঁচে থাকবে।
ছোট বদঅভ্যাসগুলো ত্যাগ করতে পারলে আত্নবিশ্বাস বাড়ে। পাশাপাশি নিজেকে সজীব রাখা যায়। যেমনঃ- অতিরিক্ত কথা বলা,
ধূমপান ইত্যাদি।
সূত্রঃ- যুগান্তর- ২১-০৮-২০১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



