নব্বইয়ের দশকের প্রথম থেকেই শ্রীলঙ্কা দলের নিয়মিত সদস্য তিনি। ’৯৬ সালে বিশ্বকাপে ওপেন করতে নেমে তার মারকুটে ব্যাটিং ওয়ানডে ক্রিকেটের বিরাট ‘দিন-বদল’ ঘটিয়েছে। একসময় বিশ্বের সব বোলারের কাছেই ছিলেন আতঙ্কের প্রতিমূর্তি। মুহূর্তের আগ্রাসনে প্রতিপক্ষকে দিশেহারা করে দেয়ার একটি ইমেজও তৈরি হয়েছিল তার। অথচ আজ সেই জয়াসুরিয়াকে নিয়ে আগ্রহ নেই কারোর। নিজ দেশের ক্রিকেট বোর্ডও তাকে শেষবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ দেয়নি।
তবে দলে সুযোগ না পাওয়া, আইপিএলে নিলামে তার মতো নামী খেলোয়াড়ের নাম না ওঠা—এই সবকিছুকেই অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন তিনি। ‘আমি একজন পেশাদার খেলোয়াড়। পেশাদারিত্বে মুদ্রার অপরদিক দেখাটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। সব খেলোয়াড়ই বিশ্বকাপ খেলতে চায়, আর আমি যেহেতু এখনও ক্রিকেটেই আছি, তাই আমিও বিশ্বকাপটা খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তা আর হলো কই?’
দেশের হয়ে ৪৪৪টি ওয়ানডে খেলেছেন, টেস্ট খেলেছেন ১১০টি। পাঁচটি বিশ্বকাপে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাই বিশ্বকাপটা তার চেয়ে ভালো আর কেউ বোঝে না। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ আর সবকিছু থেকেই আলাদা। এখানে প্রতিটি দলই দুর্দান্ত প্রস্তুতি নিয়ে খেলতে আসে। তাই খেলাগুলো হয় খুবই কঠিন। এবারের বিশ্বকাপে ভারত ভালো করবেই বলে তার বিশ্বাস। নিজ দেশ শ্রীলঙ্কাকে ‘বিপজ্জনক দল’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।
আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে তিন মৌসুম খেলেছেন। এবারের মৌসুমে সেই মুম্বাই ইন্ডিয়ানসই তাকে দলে নেয়নি। তার পরও তার সাবেক আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজকে শুভ কামনাই জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘চমত্কার এ দলটিতে খেলে খুবই আনন্দ পেয়েছি আমি। শচীন এই দলটাকে দুর্দান্ত নেতৃত্বই দিয়েছিল। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ড্রেসিং রুমকে খুবই মিস করব আমি।’ বলা দরকার, জয়াসুরিয়া এখন শ্রীলঙ্কার সংসদ সদস্যও। সে দেশের সর্বশেষ সংসদ সদস্য নির্বাচনে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে জিতেছেন তিনি।
জযসুরিয়া শুধু নিজেই বিশ্বকাপ মিস বরবে না আমরা ও উনাকে মিস করব মিস করব উনার মারমুখি ব্যাটিং।
সূত্র:-- দৈনিক পত্রিকা সমূহ
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:২৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



