মানুষ বহুরুপী। প্রয়োজনে,অপ্রয়োজনে,সময়ে, অসময়ে,কারনে বা অকারনে তাদের চেহারা বা আচরনের ভিন্ন ভিন্ন রুপ প্রকাশ পায়।যখন বেশ ছোট ছিলাম, তখন মনে হত-মানুষ প্রথমে যে রুপের প্রকাশ ঘটায় তাই বুঝি তার জন্য আমৃতু্য্য্ সত্যি এবং অপরিবরতনিয়।কিন্তু যখন-ই কারো পরিবরতীত রুপ প্রকাশ পেত ,কোথায় যেন চাপা কস্ট অনুভুত হত,নিশ্বাস টা বেশ চেপে ধরত,পিপাসায় কাতর হয়ে যেতাম্, আর তখুন্নি ছুটে যেতাম খোলা মাঠে আকাশের কাছে অভিযোগ দিতে। আর কেবলি মনে হত-আকাশ ত একটাই রুপ নিয়ে আছে,তাহলে মানুষ কেন পারে না??আকাশ তো নিজেকে সবার কাছে প্রকাশ করে দিয়ে আছে তবে মানুষের কেন এত লুকোচুরি??...আর আকাশের বুকে ভেসে বেরানো মেঘ গুলো বুঝি তার মনের-ই বহিঃপ্রকাশ ঘটায়,কিন্তু মানুষ তাহলে কেন পারে না??
কিন্তু সেদিন,যেদিন প্রথম জানলাম,আকাশের রয়েছে সাত-টি স্তর, মেঘেরাও তার একটি স্তর, এবং তার সাত-টি স্তর কে খালি চোখে একবারে আমরা দেখতে পারি না।। যেনে বড্ড কস্ট পেয়েছিলাম এই ভেবে যে আকাশ ও আমার কাছে নিজেকে পুরোপুরি প্রকাশ করে নি।।খুভ ঠক মনে হয়েছিল আকাশ কে সেদিন্,আর নিজেকে বড্ড বকেছিলাম আকাশের মত এত বড় একজন ঠকের কাছে নিজেকে সমরপনের জন্ন।।খুব ফঁাকা লাগছিলো নিজেকে।বেশ একা।। প্রতিজ্ঞা করেছিলাম আর কোনোদিন চাইবো না আকাশের পানে মুখ তুলে।
আর তখন আকাশ মেঘলা হলেই ভাবতাম-আমি তার পানে ফিরে চাইনা দেখে,সেও বুঝি দুঃখে ম্লান হয়ে গেছে।ঝড় হলেই মনে হত-সে বুঝি সব কিছু চুরমার করে দিয়ে তার বিরুধে আমার আনা অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ করছে। কিংবা ভোরে ঘুম ভাংলেই তার ঝলমলে রোদ্দুর দেখলেই মনে হত-সে তার ভুলের প্রায়শ্চিত্ত স্বরুপ হাত ভরা আনন্দ নিয়ে আমার দ্বারে এসেছে...কিন্তু আমি যে বড় অভিমানী!!! তাই মুখ তুলে তাকাইনি দীরঘ দিন।
এই মান আর অভিমানের খেলায় সময়ের হিসেব টা একেবারেই মাথায় ছিল না। তাই কোন ফাঁকে যে কেটে গেল এত্ত গুলো বছর টের-ই পাই নি!!! আজ এই বড় বেলায় এসে যখন সব কিছু ঝেড়ে দিয়ে ভাবছি-সবাই ত ভুল করে,আর সে ভুলেরও অনেক শাস্তি হয়েছে বটে, এবার তবে মুখ তুলে তাকানো যাক!!! কিন্তু ঠিক তখনি............(শেষ টুকু পাঠকের উপর ছেড়ে দিলাম)......

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




