somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আপনার অনার্স বা মাস্টার্স-এর থিসিস কোন জার্নালে পাবলিশ করবেন? কেন করবেন? মুলত হেলথ সায়েন্স রিলেটেড প্রকাশনার জন্য

২০ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের দেশে বিজ্ঞান গবেষণার সুযোগ কম। সেই স্বল্প সুযোগকেও কাজে লাগিয়ে অনেকেই অনার্স বা মাস্টার্স লেভেলে ভালো থিসিস/প্রজেক্টের কাজ করে থাকেন। একটি গবেষণা কর্মের আউটপুট যদি ভালো হয় এবং এর রেজাল্ট যদি সিগনিফিকেন্ট হয় তাহলে সেটি শুধু ইউনিভার্সিটির সেমিনার লাইব্রেরী পর্যন্ত সীমাবদ্ধ না রেখে ন্যাশনাল বা ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে প্রকাশ করা উচিত।

এখানে খুব স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠবে কোন জার্নালে প্রকাশ করবো? কেন করবো? আশাকরি এই পোস্ট থেকে আমরা প্রাথমিক একটি ধারণা নিতে পারবো। তবে মনে রাখতে হবে গবেষণার রেজাল্ট বা আউটকাম সিগনিফিকেন্ট হতে হবে।

১. জার্নাল প্রকাশনার ক্ষেত্রে আপনার সবচেয়ে কাছের মানুষ হচ্ছেন আপনার প্রজেক্ট/থিসিস সুপারভাইজার। তিনি নিজেই সাধারণত ভেবে রাখেন কাজের সিগনিফিকেন্স এবং আউটকাম অ্যানালাইসিস করে কাজটি কোথায় পাবলিশ করা যায়। আপনি প্রাথমিক ভাবে যে কাজটি করতে পারেন সেটি হচ্ছে একটি ড্রাফ্ট ম্যানুস্ক্রিপ্ট তৈরী করে সুপারভাইজারকে দেখাতে পারেন।

২. ড্রাফ্ট তৈরী করার ক্ষেত্রে মনে রাখুন আপনি খুবই নবিশ। তাই আহামরী দুর্দান্ত কিছু ঘটিয়ে ফেলবেন সেটা আশা না করাই ভালো।

কোন জার্নালের ফরমেটে ড্রাফ্ট রেডি করবেন?

প্রাথমিকভাবে কোন স্পেসিফিক জার্নালেই পাবলিশ করবো এমনটি ভাবা বা ভেবে কাজ করা খুব বুদ্ধিমানের মত কাজ হবে বলে আমি মনে করিনা। তারপরও যদি আপনি মনে করেন স্পেসিফিক জার্নাল ফরমেটে ড্রাফ্ট রেডি করবেন সেক্ষেত্রে কিছু বিষয় খুব কেয়ারফুলি বিবেচনা করা উচিত।

১. জার্নালের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর আছে? থাকলে কত?

খুব সহজ করে বলতে গেলে ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর হচ্ছে একটি জার্নাল সাম্প্রতিক কতগুলো আর্টিকেল প্রকাশ করলো এবং সেই আর্টিকেলগুলোকে অন্যরা তাদের প্রকাশনায় কতবার রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করলো।

ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর সম্পর্কে আরো জানতেঃ উইকিপিডিয়া, থমসন রয়টার

ধরে নেয়া হয় যে জার্নালের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর যত বেশি সেটি তত গুরুত্বপূর্ণ ও ভালো জার্নাল। প্রাসংগিক ভাবে বলে রাখা ভালো ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর একটি জার্নালের মানের কোন অ্যাবসোলিউট প্যারামিটার নয়। কেননা এটি থমসন রয়টারের একটি বানিজ্যিক প্রডাক্ট, মানে শুধুমাত্র সায়েন্স সায়টেশন ইনডেক্সে ইনডেক্সড জার্নালগুলোরই ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর থাকে।

দেখুন আপনি যে জার্নালে প্রকাশ করতে ইচ্ছুক সেটির ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর কত!!

২. জার্নালের প্রকাশক কে?

জার্নালের প্রকাশক কে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। আপনি যে সকল প্রকাশকের জার্নালে চোখ বুঁজে ম্যানুস্ক্রিপ্ট সাবমিট করতে পারেন (কিছু উদাহরণ, পূর্নাংগ লিস্ট নয়)ঃ

Lippincott Williams and Wilkins

BioMed Central

Cambridge University Press

Elsevier Science

Medknow Publications

Nature Publishing Group

Oxford University Press

Sage Publications

SciELO

Springer

Informa plc

Taylor and Francis Group

John Wiley and Sons

৩. জার্নালটি কোন কোন মেজর ডেটাবেসে ইনডেক্সড?

আমরা ইতিমধ্যে একটি ইনডেক্সিং সার্ভিসের কথা বলেছি। আরো কিছু ডেটাবেজের কথা উল্লেখ করা যাক। দেখুন আপনি যে জার্নালটির কথা ভাবছেন সেটি এর কোন কোন ডেটাবেসে ইনডেক্সডঃ

দেখতে পারেন নিচের দুটো লিংকে-

লিংক ১

লিংক ২


সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন যে বিষয়টি!!

১. জার্নালটির স্কোপের মাঝে আপনার কাজটি পরে কিনা? ধরুন আপনি কোন একটি প্লান্টের কোন ভেষজ গুন সংক্রান্ত কাজ নিয়ে লিখেছেন সেটি পাবলিক হেলথ রিলেটেড জার্নালে প্রকাশের সুযোগ নেই।

২. জার্নালটির রিভিউ পলিসি কি?
২৩টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×