১ম পর্ব
http://www.somewhereinblog.net/blog/jogaimadhob/29665952
ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরে রাথাকে যদি বলে লিপ লক তা হলে পুচ্ছে পুচ্ছ চেপে ধরাকে কি বলব? Butt lock।
আমাদের শহর ঢাকায় কিছু অদ্ভুৎ বাহনে চড়তে গিয়ে আমার এই শব্দটি আবিষ্কার। এই সকল বাহনে ভাইরাসের মত বাহিত হবার সময় আমাদের সবারই কম-বেশি মিষ্ট, তিক্ত অথবা রিক্ত অভিঞ্জতা আছে।
একবার, আমার তখন সেমিস্টার ফাইনাল পরিক্ষা চলে। এই দিকে পুচ্ছে একখানা দশাষই ফোঁড়া। একেবারে Boil in the Butt। রিতিমত বিষ ফোঁড়া। কিন্তু পরিক্ষার দিনতো যেতেই হবে। তাই বাধ্য হয়ে বিষ ফোঁড়ার বিষ (ব্যাথা) নিয়েই বাসে উঠলাম। দেখতে দেথতে বাসএ প্রত্যেকের Butt lock হয়ে গেল। তবুও মানুষ উঠছেই আর উঠছেই। আমিতো পুচ্ছের গুচ্ছ নিয়ে মহা চিন্তায়। কখনযে গুচ্ছ গলে বিগলিত হয়ে যায়? রিডারের রিডিং অথবা আমার থিংকিং শেষ হবার আগেই ফোঁড়াটা ফুঁড়ে গেল। একবার খালি আউ করে উঠেছিলাম্, কসম আর কিছু না।
মোটামুটি একটা তিক্ত অভিঞ্জতা বললাম। এবার একটা রিক্ত অভিঞ্জতা শুনুন। আমার পরিচিত এক ভদ্রলোকের গল্প। সে যাত্রাবাড়ি থেকে উত্তরায় ডেইলি প্যাসেন্জারি করে। একদিন বাসে এক ক্যানভাসার দারুন পাম দিয়ে কোন একটা বাম বিক্রির চেষ্টা করছিল। আমার পরিচিত সেই ভদ্রলোকটি, পামে প্রসারিত হয়ে অথবা অন্য যে কোন কারনে ক্যানভাসারকে ডেকে বসল। ক্যানভাসার তার বিধিতে (কপালে) পরিক্ষামূলক ভাবে একটু বাম ঘষে দিল। ব্যাস বিধিবাম হয়ে গেল। রিক্ততার তিক্ত অভিঞ্জতা।
এই পাম কিন্তুক মজার জিনিস। মনেকরেন লোকাল গাড়ির লেডিস সিটে চারজন ডাবল সাইজের মহিলা বসে আছে। আর একজন উঠল। জায়গা হবেনা বলে সন্দেহ? কন্ডেক্টর কিন্তু রেডি হয়েই আছে---
" কি কন আপা যায়গা লয়না। মোটা মহিলা হইলেও পাচ জন বসে, আর আপনেরাতো মাশ্শাল্লাহ পাতলা পুতলা।"
হয়ে গেল পাম দেয়া, এবার মহিলাগুলি মন প্রসারিত করে, শরির সংকুচিত করে এডজাস্ট করেনিল।
মেয়েদের কথা যখন আসলো তা হলে একটু Bus থেকে House এ আসি। মেয়েরা বোধকরি পাম শুনতে এবং গুজব শোনাতে ভালোবাসে। গুজব বানাতে এবং ছড়াতে মেয়েরা ওস্তাদ। গুজব কি জিনিস যানেনতো। কোন job থেকে যখন গু-এর মত গন্ধ বের বা বের করার চেষ্টা করা হয় তখন তাকে গুজব বলে।
এই গুজবের উপর হুমায়ুন স্যারএর একটা গল্প না বললেই নয়। গল্পটা একটু নিজের মত করে বলি।
" রসুলপুর গ্রমে এক মহিলা সন্তান প্রসব করল। ছেলে। ছেলের গায়ের রং হল মিশমিশে কালো। তো ধাই আঁতুর ঘরথেকে বের হয়ে ঘোষনা করল পোলা হইসে কাউয়ার মত কালা।
মাস দুই ধরে আশেপাশের পাঁচ গ্রামে ঘটনা ছড়ালো। শেষ পর্যন্ত ঘটনার আকার দাড়ালো এমন-
রসুলপুর গ্রামে পাপিষ্টা মহিলার শাস্তি এবং আল্লাহ্ তালার অশেষ লিলার প্রমান। পাপিষ্টা গৃহবধুর গর্ভে কাকের জন্ম। প্রত্যক্ষদর্শিরা জানালেন জন্মের পরপরই কাকটা নাকি কা-কা বলে উড়ে গিয়েছিল।"
গুজবের বদলে একটু সত্যিকার গুjob এ আসা যাক। পুচ্ছদিয়ে শুরুকরেছিলাম, পুচ্ছদিয়েই শেষ কারা্যাক।
" এলান গিয়েছে রেস্টুরেন্টে। অনেক দেখে টেখে স্যুপ খাবে বলে মনস্খির করল। এক তরুনি ওয়েট্রেস এসে অর্ডার নিয়ে গেল।
মিনিট দশেক পরে এলান দেখল ওয়েট্রেস স্যুপ নিয়ে আসছে। কিন্তু ওয়েট্রেসের বামহাতের মধ্যাঙ্গুলী স্যুপ-এ ডোবানো। এই দেখে এলান খেপে গিয়ে জিঞ্জেস করল---
" তুমি আমার স্যুপএর মধ্যে আঙ্গুল চুবিয়ে রেখেছ কেন?"
ওয়েট্রেস খুবই মন খারাপ করে জবাব দিল-
" স্যার, কিছু মনে করবেন না, আসলে আমার ওই আঙ্গুলটাতে দুদিন ধরে ব্যাথা, গরম কোথাও ঢুকিয়ে রাখলে একটু আরাম লাগে।"
এই কথা শুনে এলান আরো রেগে গেল। রাগের চোটে মুখদিয়ে বাজে কথা বেরিয়ে এল-
" তাহলে তোমার উচিৎ অন্যের স্যুপে না ঢুকিয়ে নিজের পুচ্ছদ্বারে ঢুকিয়ে রাখা।"
বলে স্যুপ এর বাটিটা হাতেনিয়ে ছোট একটা চুমুক দিল। আর ওর কথা শুনে ওয়েট্রেস একটু লজ্জা পেয়ে বলল-
" ঢুকিয়েছিলামতো স্যার। আপনাকে স্যুপ দেবার আগে সেখানে ঢুকিয়েই দাড়িয়ে ছিলাম।"