আজকের প্রথম আলো যাঁরা পড়েছেন, তাঁরা হয়তো খেয়াল করবেন, সেখানে অনলাইন জরিপ বাক্সটির ওপরে আর নিচে দু'টি সংখ্যা মুদ্রিত আছে। একটিতে বলা আছে, প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণের পাঠকসংখ্যা 269, 386 জন, আর জরিপে অংশ নিয়েছেন 2,734 জন।
এটি শুধু আজকের ব্যাপারই নয়, প্রত্যেক দিনই চিত্রটি এরকম। গড়ে শতকরা 1 জন অনলাইন জরিপে অংশগ্রহণ করেন।
ওয়েবসাইটে অনলাইন জরিপটির অবস্থান বেশ স্ট্র্যাটেজিগত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়। সেটি সহজেই দৃষ্টি কাড়ে, এবং রাজনীতিসচেতন বাংলাদেশীদের জন্য চিন্তার খোরাক কিছু প্রশ্ন সেখানে থাকে। ইতিবাচক, নেতিবাচক এবং খামোশবাচক তিনটি অপশন সেখানে আছে। একটি ক্লিক করলেই জরিপে অংশগ্রহণ করা যায়। কিন্তু তবুও দেশে-বিদেশে [দেশে খুবই কম হওয়ার কথা] যাঁরা অনলাইনে প্রথম আলো পড়েন, তাঁদের প্রতি 100 জনে 99 জন ঐ ক্লিকটি দেয়ার পরোয়া করেন না।
জরিপের বিষয়বস্তু একেবারে পানসে হলে এমনটি হতেই পারে। কিন্তু দিনের পর দিন, মাসের পর মাস সে পানসেমি কাটবে না, তা হতে পারে না। সিনেমা পাতা খুলে পপি কী দিয়ে দুপুরে ভাত খায়, সেটা পড়ার সময় যদি মানুষের থাকে, তাহলে জরিপে অংশগ্রহণের জন্যও সময় থাকার কথা। প্রবাসে ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে যদি শুধু টুক করে শিরোনামগুলিতে লোকে চোখ বুলিয়ে যান, তাহলে অবশ্য ব্যাপারটার একটা ব্যাখ্যা মেলে, কিন্তু তবুও মনটা খচখচ করে, একটা মাত্র ক্লিকই তো!
আরেকটি উত্তর থাকতে পারে, জাতিগতভাবে আমাদের জরিপবিমুখতা। টেলিভিশন ক্যামেরা নেই এমন কোথাও যেচে পড়ে নিজের মত এত স্বল্প আয়াসে জাহির করে আসার মতো তুচ্ছ কাজে সময় [সে যতোই কম লাগুক না কেন] ব্যয় করার স্পৃহা আমাদের নেই। তাই পত্রিকাগুলির অনলাইন জরিপ অস্পৃষ্ট পড়ে থাকে।
অবশ্য এমন হতে পারে, প্রবাসীরা এমন অসংখ্য জরিপের অনুরোধ প্রত্যেকদিন পেয়ে থাকেন। জরিপে জরিপে তাঁরা জর্জরিত। জরিপ কথাটা শুনলেই তাঁদের রগ গরম হয়ে যায়। এটি জরিপবিমুখতার মূল কারণ।
কিন্তু তার পরও কথা থেকে যায়। সেটা হচ্ছে, [link|http://narilipshu.googlepages.com/CNG.htm|GLv
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



