somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বৃষ্টি আমাকে আর টানে না

২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দুপুরে সিলেটের আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামলো। নাহ, বৃষ্টিতে ভিজার ইচ্ছা আমাকে আর টানে না, উল্টা বৃষ্টি দেখে মেজাজ খারাপ হয়। কেন হয়, আজকের আগে বুঝি নাই, অথবা কেন এমন হয় কখনো ভাবিও নাই।

শেষ বৃষ্টিতে ভিজেছি গতবছরের মে মাসের কোন এক দুপুরে। ঢাকার রাস্তায় কারো জন্য অপেক্ষা করে। সেইবারই শেষ। তার সাথে আর ওইদিনের মত কথাও হয়নাই আর। বৃষ্টিতে ভেজা মাটির গন্ধটাও নাকে লাগেনাই এরপর থেকে, রাস্তায় নেমে পাগলামীও করা হয়নাই।

কি কি কারণে আমাদের গল্পটার শুভ সমাপ্তি তো দুরের কথা, কখনো কাগজে-কলমে লেখাও শুরু হবে না, সেটা আমার থেকে ভাল আর কেউ জানে না। আমি হোপলেস রোমান্টিক টাইপের না যে একজনের উপর দোষ চাপায় দিয়ে স্বান্তনা খুঁজবো, ভাল থাকার চেষ্টা করবো। আর কোনদিকে না হলেও এই একটা সাইডে আমি রিয়েলিস্টিক থাকতে চাই। কিন্তু সেটা যে থাকতে পারিনা সেটা পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে যায় যখন দেখা যায় আমি আর আগের মত নাই, বিন্দুমাত্র না বদলানোর প্রাণপণ চেষ্টা করেও একবছর পর আস্তে আস্তে নিজের পরিবর্তনগুলো নিজের কাছে ক্লিয়ার হওয়া শুরু করে। অবচেতনভাবে নিজেকে অল্প-অল্প করে ভেঙ্গে ফেলে পিছনে ফিরে যখন সেই ভাঙ্গা টুকরোগুলো দেখি তখন নিজেকে পরাজিত মনে হয়, যেখানে জয়-পরাজয়ের কোন প্রশ্নই উঠেনি কখনো!। নিজের সবচেয়ে প্রিয় জায়গাটায় সবচেয়ে কাংক্ষিত মানুষটাকে দেখার অসাধারণ সুন্দর অনুভুতিটা একবছরের মধ্যেই সবচেয়ে কঠিন শাস্তি মনে হওয়া শুরু করেছে। যে মানুষটা এখন পর্যন্ত জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন হতে পারতো, তার মুখটাই এখন “face of refusal” হয়ে তাড়া করে বেড়ায়। তাকে হাসতে দেখলে মাথায় এখন আর কোনকিছুই কাজ করেনা। দুই-তিনঘন্টা নিজের ভিতরে পুড়তে থাকি এটা ভেবে যে সে কেন ভাল থাকবে? তার মনে কি একবারের জন্যও প্রশ্নটা আসে না যে আমি কেন নিজেকে শুধু তার কাছ থেকে না, বরং আস্তে আস্তে সবকিছু থেকে সরিয়ে নিচ্ছি? নিজের হাতের ধমনীটা কেটে ফেলতে ইচ্ছা করে সে সময়।

না, আমি এত বোকা না যে যে মানুষটা আমার কথা ভেবে এক মুহুর্তও নষ্ট করেনা, তার জন্য নিজেকে মেরে ফেলবো বা ধংস করে দিবো। একচুয়ালি, যারা এরকমটা করে তাদের মানসিক বিকাশের স্বল্পতা আমাকে অবাক করে। আবার এটাও ঠিক যে আমার নিজের মানসিক বিকাশও কীটপতঙ্গের চেয়ে খুব বেশি উপরের স্তরের না। একটা গুবরে পোকার চেয়ে সামান্যতম বেশি বুদ্ধিমান হলে বারবার জেনেশুনে আগুনে লাফ দিতে এগিয়ে যেতাম না, বা আগুনের কথা ভেবে এতদিন ধরে নিজেকে ভিতরে ভিতরে জ্বালাতাম না।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×