somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাধু সাবধান !! সুন্দর মুখের বা চেহারার মানুষ তুলনামূলক ভাবে অহংকারী ও স্বার্থপর হয়ঃ কখনে চরম নিষ্ঠুর

১৭ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রবাদ আছে সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র। এ প্রবাদ হয়তো অনেক ক্ষেত্রেই সত্যি। কারণ, সুন্দর মুখ সহজেই অন্যদের প্রভাবিত করে। তবে স্কটিশ গবেষকেরা সুন্দর নারী ও পুরুষের ওপর খুব বেশি নির্ভর করতে বারণ করেছেন। কারণ, গবেষণায় তথ্য মিলেছে যে অনেক ক্ষেত্রেই তারা যেমন অহংকারী তেমনি স্বার্থপরও হতে পারে কোন কোন ক্ষেত্রে নিষ্ঠুরও হয়। স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এ গবেষণা করেন।
গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ইকোনমিকস অ্যান্ড হিউম্যান বায়োলজি সাময়িকীতে। চলতি মাসের শেষের দিকে জার্মানিতে নোবেল বিজয়ীদের একটি অনুষ্ঠানে এ গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হবে। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল ২৯২ জন ব্যক্তির ওপর গবেষণাটি চালান। দীর্ঘ সময় ধরে এসব ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষণ করা হয়।

বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের পরীক্ষা করা হয়। এতে বৈষয়িক লাভ-ক্ষতি ও সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের মানসিকতা প্রকাশিত হয়। এর ভিত্তিতে কে কোন ধরনের মানসিকতার, তা ধরা পড়ে। এরপর অংশগ্রহণকারীদের চোখ, নাক, মুখ, কানসহ মুখমণ্ডলের ১৫টি অংশ আলাদা-আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করে সবচেয়ে নিখুঁত মুখের মানুষকে চিহ্নিত করা হয়।
এতে দেখা গেছে, যাঁদের মুখশ্রী সব মিলিয়ে সুন্দর নয় এবং স্বাস্থ্য ভালো নয়, শৈশবে তাঁরা অনেকেই বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। পুষ্টির অভাব, শারীরিক অসুস্থতা, ধূমপান ও পরিবেশদূষণের বিরূপ প্রভাব তাঁদের চেহারায় প্রভাব ফেলেছে। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ হতদরিদ্র অবস্থা থেকে ধনকুবের হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু চেহারার দৈন্য ঘোচেনি।
অন্যদিকে সুন্দর চেহারার যেসব মানুষের নাক, মুখ, চোখ ইত্যাদি নিখুঁত, তাঁরা অনেকেই অন্যদের চেয়ে বেশি স্বাবলম্বী। এ ক্ষেত্রে তাঁদের চেহারার ইতিবাচক ভূমিকা লক্ষণীয়। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, সুদর্শন পুরুষ ও সুন্দরী নারীরা অনেকে অন্যদের সহযোগিতা করতে চান না। কখনো বা প্রদর্শন করে চরম নিষ্ঠুরতা । খবরঃ ডেইলি মেইল।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:৩০
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×