অনেক তর্ক বিতর্ক থাকতে পারে, ভিন্ন মত থাকতে পারে, এটাতে কারো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য সাধিত হতে পারে। কেউ হয়তো এ ক্যাম্পেইন করে টুপাইস কামিয়ে নিচ্ছে। কারো মতে এটা পুরোপুরি একটা ব্যবসায়িক ধান্ধা। তার মতে "কোথাকার একটি ওয়েবসাইট হিট পাবার জন্য একটি ধান্ধা শুরু করল, আর অমনি আবাল লোকেরা ভোট দেবার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ল। এভাবে একটি ভুয়া ওয়েবসাইটে সুন্দরবন প্রথম স্থানে গেলে সারা দুনিয়ার লোকেরা কি সুন্দরবন দেখার জন্য চলে আসবে?"
আর একজন বলছেন , " প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচন একটা ব্যাবসাই... প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচন ফাউন্ডেশনের কর্তাব্যাক্তিদের সাথে মূলত টেলিটকের চুক্তি হয়েছে এবং তাদের মাধ্যমেই বাকী অপারেটররা চুক্তিবদ্ধ Revenue Sharing এর জন্য। সুতরাং এখানে মোবাইল কোম্পানীদের দেশ প্রেমিক হওয়ার কোন কারণ নেই, তাদের এসএমএস এর খরচ ও লাভ দুটোই তুলতে হবে। যে ব্যক্তি ফুটপাতে বসে জুতো সেলাই করে, সেটাও তার ব্যবসা, সুতরাং তাকে লাভ করতেই হবে..
সবসময় মোবাইল কোম্পানীদের দিকে আংগুল তোলার এই অভ্যাসটাকেও আমার জাতিগত দৈন্যই মনে হয় ! মোবাইল নেটওয়ার্ক কাভারেজ এর কারণে আমাদের দেশের যে আর্থ সামাজিক পরিবর্তন এসেছে সেটা ভেবেও একটু কৃতজ্ঞ থাকা দরকার, অন্তত যারা ব্যাপারগুলো বোঝেন !! এই বিদেশী কোম্পানীগুলোকে দেশে বিনিয়োগ করার জন্য আমরাই রোড শো করে ডেকে এনেছি, কেন ডেকে এনেছি সেটা একটু ভেবে দেখুন...
আমরা কয়দিন কেএফসি, নান্দুস বা ফাইভ স্টার হোটেলের লাভ বা সমাজের প্রতি তাদের দ্বায়বদ্ধতা নিয়ে কথা বলেছি?? নিশ্চিত থাকুন, তাদের লাভের পরিমান মোবাইল কোম্পানীগুলোর লাভের চেয়ে অনেক অনেক বেশী !!!"
সবই ঠিক আছে, তার পরেও যদি বাংলাদেশের সুন্দরবনকে আপনার আমার একটি ভেটে বাংলাদেশকে প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য়ের দেশ নির্বাচন করতে পারি এবং পৃথিবীর মানুষ সুন্দরবনকে জানতে পারে তাতে ক্ষতি কী? তাই বাংলাদেশকে প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য়ের দেশ নির্বাচন করতে সুন্দরবনকে ভেট দিন, মনে রাখবেন শেষ সময় ১১ নভেম্বর'১১ বিকেল ৫টা ১১মিঃ
আর মাত্র এক দিন বাকি। আগামীকালই সুন্দরবনকে ভোট দেয়ার পর্দা নেমে যাবে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সুন্দরবনকে ভোট দিয়ে পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনের আহ্বান জানানো হয়েছে সংশিস্নষ্ট মহল থেকে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনকে প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনে ১১ নবেম্বরের পরে আর ভোট দেয়ার সুযোগ নেই। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর মুক্তমঞ্চে সর্বশেষ প্রচার ও ভোটিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ও সাইবার কাফে ওনার্স এসোসিয়েশন।
পর্যটন কর্পোরেশন সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ স্থানীয় সময় আগামীকাল শুক্রবার বিকেল ৫টা ১১ মিনিট পর্যন্ত ভোটিং লাইন খোলা থাকবে। ওই দিন রাত ১২টার পরের কোনও এক সময়ে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত সাতটি স্থানের নাম প্রকাশ করবে নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন। সুন্দরবনে প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য হওয়ার পথে এসএমএস ভোটের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট ভোটও জরম্নরী। কারণ সুন্দরবনকে সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে এসএমএস ভোটের চেয়ে ইন্টারনেট ভোটকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই সুন্দরবনের পক্ষে ভোট প্রদানের সূচক উর্ধমুখি রয়েছে। ইন্টারনেট ভোটিংয়ের মাধ্যমেই এই সূচক প্রকাশ করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশের যে কোনও মোবাইল ফোন থেকে এসএমএস-এর মাধ্যমে সুন্দরবনকে ভোট দেয়া যাচ্ছে। ভোট দেয়ার জন্য মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে 'এসবি' (ঝই) লিখে '১৬৩৩৩' নম্বরে পাঠাতে হবে। একটি সিম থেকে যত খুশি তত এসএমএস করে ভোট দেয়া যাবে। প্রতিটি এসএমএসে ভ্যাটসহ খরচ পড়বে দুই টাকা ৩০ পয়সা। বিশ্বের সামনে সুন্দরবনকে প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনে প্রয়োজন সবার অংশগ্রহণ। ইন্টারনেট থেকে ভোট দেয়ার নিয়ম হচ্ছে, ই-মেইল ঠিকানা থেকে ভোট দিতে হবে। ধাপে ধাপে এ ভোট দিতে হয়। new7wonders.com/ community/en/new7wonders/new7wonder_0f_nature/voting ঠিকানায় প্রবেশ করতে হবে। সাইটটির প্রথম অংশেই step 1 লেখা প্রদর্শিত হয়। এর নিচেই আছে চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ ২৮টি স্থানের ছবি।
ছবির ওপর মাউস দেখা যাবে ওই স্থানের নাম। আর ক্লিক করলে ছবিটি বড় হয়ে স্থানটির সংক্ষিপ্ত বিবরণ পাওয়া যাবে। এখানেই ৩ নম্বর কলামে আছে সুন্দরবনের ছবি। এবার যেসব স্থানকে নির্বাচিত করতে চান তা ঝটপট বাছাই করে নিন। এক্ষেত্রে সুন্দরবনের সঙ্গে তালিকার প্রথম ৬টি স্থান বাছাই করে নিন। কারণ ওই ৬টি স্থান ছাড়া অন্যগুলো সিলেক্ট করলে সেগুলোও সুন্দরবনের সঙ্গে এগিয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের কাজ হচ্ছে, সুন্দরবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এরপর নিচের অংশের Continue to step 2 এ ক্লিক করতে হবে।
তবে আমার প্রস্তাব ছিলো দেশের মোবাইল কোম্পানীগুলো আমাদের কষ্টার্জিত ঘাম ঝড়ানো পয়সায় নিজেদের সম্পদের পাহাড় গেড়ে তুলছেন, গ্রীষ্মের দাবদহে শীতল হচ্ছেন শীতল ঘরে তাদের প্রতি নিবেদন, জাপানীরা যেমন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাই তাদের বাস গৃহ ও অফিস আদালতে এয়ার কন্ডিশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন আপনারাও তেমন মহতী উদ্দ্যোগ নিয়ে সুন্দরবনকে সপ্তাশ্চর্য নির্বাচন যুদ্ধে বিজয়ী করতে এসএমএস চার্জ মওকুফ করে দিন। জাতি আপনাদের এই অবদান চিরদিন কৃতজ্ঞতা চিত্তে স্মরণ রাখবে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




