
ব্যক্তিগত ব্যবহারের কাজে আমি যতোটা সম্ভব নতুন ডিভাইস/গ্যাজেট কেনা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি। কারণটা সহজ, পেশাগত কারণে সারাদিনই প্রযুক্তির মধ্যে ডুবে থাকি।
কয়েকদিন ধরে বউ নতুন লেড টিভি কেনার জন্যে বায়না ধরেছে। প্রথমে নিমরাজী থাকলেও পরে রাজী হলাম, আমাদের ঘরে ঢুকলো লেটেস্ট মডেলের স্মার্ট টিভি। এবং তার কয়েক ঘন্টার মধ্যে এর যাবতীয় কারু-কাজ দেখে আমরা মোটামুটি হতভম্ব হয়ে গেলাম।
ইউ টিউবের সাথে বিল্টইন ফাংশানালিটি, পছন্দ মতো ভালো মানের নাটক থেকে শুরু করে, রান্না-বান্না, খেলাধুলা, পড়াশুনা (আবশ্যই খান একাডেমী!) আরো কতো কি। আছে শত শত এপ, একেকটা থেকে একেকটা ভালো। সবচে' মজার ব্যপার হলো নিজের মোবাইল (বা ল্যাপটপটি) সরাসরি কানেক্ট করে চোখের পলকেই ছোট স্ক্রীণটির বিষয়বস্তু ভরিয়ে ফেলছে ৪০ ইঞ্চির দানবীয় স্ক্রীণ!
হিন্দি সিরিয়ালগুলো নিয়ে আমাদের দেশী দর্শকদের সমস্যা প্রায় চরম পর্যায়ে পৌঁচেছে। একদল আসক্ত, তাদের কারণে আর একদল বিরক্ত। যারা আসক্ত, তাদের বক্তব্য সময় কাটানোর জন্যে এর চাইতে ভালো অল্টারনেটিভ নেই। দেশী চ্যানেলের কথা বললে রীতিমতো ফুঁসে ওঠে তারা, একেতো যাবতীয় ভাঁড়ামীতে ভরা, তার ওপর বিজ্ঞাপনে ভরা।
স্মার্ট টিভির কারণে কুচক্রি হিন্দি সিরিয়াল বা বিজ্ঞাপন ও ভাঁড়ামো ভরা নাটকের দিন শেষ হতে মনে হয় বেশি দেরী নেই আমাদের দেশে। কারণ আমাদের দেশের মানুষ নতুন প্রযুক্তি বেশ ভালোই আয়ত্ব করতে পারে। বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারের ঘনত্ব পৃথিবীর যেকোন উন্নত দেশকে পাল্লা দেবার মতো, সেখানে স্মার্ট টিভি ব্যবহার নস্যি!
এটা ভাবতে ভালোই লাগে, হিন্দি সিরিয়ালের প্যাঁচাপেচি গল্প কিংবা বোরিং নাটকের হতাশা নয়, আমাদের সামনের দিনগুলোতে আড্ডা দখল করে নেবে নিত্য-নতুন সৃষ্টিশীল বিষয়, যার বেশীরভাগই উৎসরিত হবে প্রযুক্তির কল্যানে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




