কথায় কথায় রাস্তা অবরোধ করা, গাড়ি ভাঙা ব্যাপারটা আমার মোটেও পছন্দের নয়। হয়ত মাঠ পর্যায়ের কর্মী থাকায় এতো গাড়ি-ঘোড়া ভেঙেছি, রাস্তা অবরোধ করেছি- যে এখন ঘেন্না এসে গেছে। ক্ষেত্রবিশেষে অপরাধবোধও কাজ করে। জান-মালের ক্ষতি ঘটিয়ে দাবি আদায়ের পদ্ধতিটা কোন বিবেকবান মানুষ সমর্থন করতে পারে না। কিন্তু আমাদের ছাত্রসমাজের মধ্যে কেন জানি এই কাজটার প্রতি আগ্রহ বেশি। আমি বহুবার এসব নিয়ে কথা বলেছি।
কিন্তু মানুষের ভেতরে তো দুটো মন। একটি বিড়লাপণা সুবিধাবাদী, অপরটি চঞ্চল বিদ্রোহী। সেই দুষ্টু মনটা কেন জানি ঘৃণ্য কাজে আমাকে ডাক দেয়। ফিসফিস করে বলে ‘আয়, পথে আয়-’। তখন মধ্যবিত্তসুলভ পিছলে যাওয়ার প্রবণতা দেখলে মনটা বিস্বাদে ভরে ওঠে। যেমনটা হয়েছিল ২০০১-এ। প্রতিরাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে রাস্তা আমাকে ডাকত।
আজ অনেকদিন পর একেবারে অন্য রকম অনুভূতি নিয়ে সখ হলো রাস্তায় নামতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের যে কাজটা একেবারে অপছন্দ, আমার মনে হলো সে কাজেই শরিক হই। সত্যি আজ আমার মন ভরে গেছে। এদেশ এখনো নষ্টের দখলে যায়নি। আমি আপনি হয়ত সুবিধাবাদের কোলে মাথা রেখে বেশ্যাবৃত্তি করছি। এর বাইরেও অনেক নিষ্কুল শুদ্ধ মানুষ আছে। এদেশ কখনোই সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে মাথা নত করবে না। কারণ এদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নামের এক বিবেকের প্রহরী আছে। প্রহরী তোমাকে লাল সালাম।
Click This Link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




