বিশ্বের ৫০০ জন সর্বাধিক প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তিত্বের মধ্যে প্রথম হচ্ছেন সৌদি বাদশা আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ। "সেন্টার ফর মুসলিম-ক্রিশ্চিয়ান আন্ডাষ্ট্যান্ডিং" মুসলিম বিশ্বের উপর গবেষণা করে। এতে ৪৩তম স্থানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর নাম। তার সম্পর্কে বইয়ে বলা হয়েছে, তিনি বাংলাদেশে সামাজিক ও রাজনৈতিক সংস্কার এবং ইসলামী শিক্ষা বিস্তার এবং ইসলাম প্রচারে অবদান রেখেছেন। জামায়াতের অভ্যন্তরে ও বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক চর্চায় অবদান রাখায় মাওলানা নিজামীর প্রশংসা করা হয়। এতে বলা হয়, সক্রিয় রাজনীতিবিদ মাওলানা নিজামী জামায়াতে ইসলামীর অভ্যন্তরে এবং বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থায় গণতন্ত্রের একনিষ্ঠ সমর্থক|
বিশ্বদরবারে তিনি বাংলাদেশের গৌরব বৃদ্ধি করেছেন। এজন্য তাকে রাষ্ট্রীয় ভাবে সম্মান জানানো উচিত। কিন্তু তা না করে একশ্রেণীর অপদার্থ আছে যারা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী কে গালি দেয়, বুঝতে হবে তাদের জন্মগত দোষ আছে। যে গালি দেয় সে গালির সাথে নিজের সম্পর্ক আছে। নতুবা এত নিকৃষ্ট গালি রুচিতে বাধত। ছোট্র বেলা থেকে শুনতাম কুকুরের জানে ঘি ভাত হজম হয়না। তাদের অবস্থা দেখে মনে হয় কুকুরের চেয়ে নিকৃষ্ট। ভালো কিছু বলতে বা হজম করতে পারেনা। মন্দের সাথে সবকিছূুর ছন্দ মিলাতে আনন্দ পায়। এটা তাদের মজ্জাগত দোষে পরিণত হয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রাšত করছে পরিবার সমাজ এমন কি ডিজিটাল বাংলাদেশ। তবে ভয় নেই আমাদের কাছে এন্টি ভাইরাস আছে। সময়মত প্রয়োগ করলে সব ডিজিজ সাফ হয়ে যাবে। যেভাবে অতীতে করা হয়েছিল।
এই ভাইরাস কাদের ?
যারা পিতা বলে অন্যকে দাবী করে তাদের জন্মগত ভাইরাস থাকা স্বাভাবিক। কোন অর্থে শেখ মুজিবকে তারা জাতির পিতা বলে! হিন্দু না মুসলিম জাতির পিতা? অবশ্যই মুসলিম জাতির পিতা নয়। মিল্লাতা আবিকুম ইব্রাহিম বলে চৌদ্দশ’ বছর পূর্বে আল্লাহ ঘোষনা দিয়েছেন। তাহলে কি বাঙ্গালী জাতির পিতা? কখনো নয়! পশ্চিম বঙ্গের উনিশ কোটি বাঙ্গালী কখনো তাদের জাতির পিতা হিসেবে স্বীকার করবেনা।
তবে কোন জাতির পিতা?
উত্তর হতে পারে বাংলাদেশী জাতির পিতা!
কিন্তু বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী না হলে বাংলাদেশী জাতির পিতা হওয়ার যোগ্যতা কতটুকু? কারণ শেখ মুজিবুর রহমান ও তার দল বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী নয়। তারা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদে বিশ্বাসী। যেখানে স্বয়ং আল্লাহ বলেছেন, ইন্নাদ্দিনা ইন্দাল্লাহিল ইসলাম। সেখানে তাদের ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ খোদাদ্রোহীতার প্রমাণ। খোদার প্রতি এই মনোভাব যাদের আপাময় জনতার বোধগম্য ভাষায় তাদের বলে কাফির। আর এদের সম্পর্কে না বলা-ই শ্রেয়।
মাওলানা কে গালি দেয়ার কারণ কি?
তিনি একাত্তরে স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিলেন! এটা কোন দোষ নয়। মানুষ আল্লাহ ছাড়া কারো গোলাম নয়। তিনি বা তার দল রাজনৈতিকভাবে অখন্ড পাকিস্থান চেয়েছিল। এই চাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। যুগে যুগে দেশে দেশে মানুষ স্বাধীনতার পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। অখন্ড ভারতবর্ষ চেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু পাকিস্থান ভারত ভেঙ্গে দুই খন্ড হয়েছিল। তাই বলে কংগ্রেসের প্রতি সেদেশের মানুষের কোন ক্ষোভ নেই। বরং রাজার আসনে বসে দেশ পরিচালনা করছে। এজন্য তাদের দেশ অনেক এগিয়ে। আর আমাদের দেশ হয়েছিল এক নেতার এক দেশ, এক রাতে সব শেষ!
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আসলে কে চেয়েছিল?
জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক কারনে চায়নি। শেখ মুজিবুর রহমানও স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন না। এটা ঐতিহাসিক সত্য। তা লুকোচুরির কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেয়েছিলেন মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। সত্তুরের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্থানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে পাশের জন্য ভোটের মাঠ চষে বেড়ান। কিন্তু বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীনতাকামী মানুষের অগ্রণায়ক মাওলানা ভাসানী বলেন, যাদের সাথে আমরা থাকব না তাদের সাথে কিসের নির্বাচন? তিনি নির্বাচন বর্জন করেন। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্থানীদের সাথে নির্বাচনে নামেন। মাওলানা ভাসানী স্বাধীনতার ডাক দিয়ে বলেন, ভোটের বাক্সে লাথি মারো বাংলাদেশ কায়েম করো!
অপরপক্ষে শেখ মুজিবুর রহমান সেই ভোটের বাক্সে সালাম করে নির্বাচনে নামেন। তিনি দেশে স্বাধীনতার ডাক উপেক্ষা করে রাজমাল্য বরণের জন্য প্রস্তুত হন। জয়লাভ করে বারবার পাকিস্থানীদের কাছে ক্ষমতা চান। কিন্তু তারা ক্ষমতা না দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
এখানে লক্ষনীয় যে শেখ মুজিবুর রহমান সত্তুরের নির্বাচনের পূর্বে কিংবা নির্বাচনোত্তর বিজয়ের পরেও বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা বলেন নি। ক্ষমতা লাভের সব দুয়ার যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন বলেন এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। কথায় বলে যে যাই বলুক ভাই আমার সোনার হরিন চাই। ঐ সোনার হরিন ছিল ক্ষমতা। তিনি রেসকোস্ ময়দানে ভাষনে বলেন যার যা আছে তা নিয়ে প্রস্তুত থাকতে। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক সত্য ৭মার্চের ঐ ভাষনের পরেও তিনি ক্ষমতা গ্রহনের জন্য তদবির করেন। ১৬ মার্চ থেকে ২৩ মার্চ পযšর্ত তিনি, তাজউদ্দিন সহ অন্যরা ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করেন। কিছুতে যখন কিছুই হয়নি, দেশের মানুষ কে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেন। তিনি যদি ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারতেন বাংলাদেশ স্বাধীন হত না। শেষ পযšর্ত আম ও যাবে ছালা ও যাবে এই ভয়ে ক্ষমতা না পেয়ে স্বাধীনতা চান!
কিন্তু পাকিস্থানীদের বুঝা উচিত ছিল কুকুরের মুখে হাড্ডি দিলে ঘেউ ঘেউ করে না। তেমনি ক্ষমতা লোভীদের ক্ষমতা দিয়ে দিলে এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম হত না। তখন কেউ দাবী করত না জাতির পিতা, কেউ হত না পাকিস্থানের মিতা; সবাই থাকতাম একদেশের জনতা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



