~~~উপলবদ্ধি~~~
সৃষ্টিকর্তা আমাদের সব কিছু দেননি, কিছু না কিছু তাঁর কাছে রেখেছেন আমরা যেন সেটা উপলব্ধি করতে পারি।
সারাদিন না খেয়ে থাকা একটি পথ শিশুকে যদি প্রশ্ন করি– ”তোমার সুখ কিসে, কি চাই?" সে বলবে দু’–"বেলা পেট পুরে খেতে চাই।”
নিজ প্রাসাদে লক্ষ টাকার খাটে শুয়ে ঘুমের ওষুধ খেয়েও ঘুমোতে পারেনা, ডিপ্রেশনে ভুগে এমন একজনকে আমি চিনি, সিগারেটের সাথে তার রাত কাটে। আর সিএনজি ওয়ালা সারাদিন অ্যাক্সেলেটর টেনে বিছানায় পিঠ লাগিয়ে গভীর ঘুমে ঘুমিয়ে পড়ে।
কেউ হাজার টাকা খরচ করে জিমে গিয়ে ফিটনেস ঠিক রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। আবার কারও মাটি কাটতে কাটতে অটোমেটিক ফিটনেস্ হয়ে গেছে।
কেউ মুড়ি খেলেও মোটা হয়ে যাচ্ছে, আর কেউ জগতের সব খাবার খেয়েও মোটা হতে পারছেনা।
কেউ পেয়ে কাঁদে, আর কেউ না পেয়ে কাঁদে।
রাতের পর রাত না খেয়ে কেউ জিরো ফিগার বানাতে ব্যস্ত, আর বাড়ির কাজের মেয়েটির কী সুন্দর জিরো ফিগার। কারও টাকা আছে কিন্তু খেতে পারেনা, আর কেউ টাকার অভাবে খেতে পারেনা!
কেউ ওজন কমানোর জন্য শুকনাে মুড়ি খেয়ে দিন কাটিয়ে দিচ্ছে, আর কেউ ভালো কিছু খেতে পারেনা বলে রোগা হয়ে যাচ্ছে।
সব কিছুর মাঝে থেকেও কেউ আত্মহত্যা করছে, আবার কেউ বেঁচে থাকার জন্য মানুষের কাছে হাত পেতে যাচ্ছে। কেউ পরিপূর্ণতায় সুখ খুঁজে পায়না, আর কেউ অপরিপূর্ণ থেকেও দিব্যি হেসে বেড়াচ্ছে।
আমি এমন একজনকে চিনি- যিনি পেট কমাতে প্রতিদিন সাত কিলোমিটার দৌড়ান, আবার এমন অসংখ্য জনকে চিনি যারা জীবনের জন্য দৌড়াচ্ছেন, একটি চাকরীর জন্য, একবেলা খাবারের জন্য।
আমি এমন অনেককেই চিনি’– যারা অর্ধেক খেয়ে বাকীটা ফেলে দেয়, আবার এমন মানুষকেও চিনি’– যে পেটপুরে খেতে পারেনি অনেক দিন।
আমি অনেক অশিক্ষিত, অল্প শিক্ষিত মানুষ দেখেছি যাদের অঢেল সম্পত্তি। আবার অনেক উচ্চশিক্ষিত মানুষ দেখি যারা বেকারত্ব মাথায় নিয়ে ধূকেধূকে জীবনের অন্তিম প্রহর শুনছে....
ছোট বেলায় গল্পের বইতে পড়েছিলাম– ‘রাজার অসুখ হয়েছে, সুখি মানুষের জামা পড়লে তার অসুখ সারবে। অনেক খুঁজে একজন সুখি মানুষকে পাওয়া গেল কিন্তু তার গায়ে জামা ছিলো না।”
সৃষ্টিকর্তা আমাদের সব কিছু দেননি, কিছু না কিছু তাঁর কাছে রেখেছেন আমরা যেন সেটা উপলব্ধি করতে পারি।
(তিন বছর আগে ফেসবুকে লিখেছিলাম)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


