somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জুল ভার্ন
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

হালদা নদীতে মাছের ডিম সংগ্রহ.........

১৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হালদা নদীতে মাছের ডিম সংগ্রহ.........

এপ্রিল এবং মে মাসে(বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ)বিশ্বের একমাত্র মিঠা পানির প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে কার্পজাতীয় (মেজর কার্পঃ রুই, কাতলা, মৃগেল, কালোবাউশ), মাইনর কার্পঃ বাটা, পুটি, সিলভার/মিরর কার্প ইত্যাদি) মা-মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুম। তাই মার্চ মাস থেকেই জেলেদের উদ্দীপনা শুরু, যা শেষ হয় মে মাসের মধ্যে ডিম আরোহন করা পর্যন্ত। এই কয়মাস নদীই হয়ে উঠে স্থানীয় জেলেদের আবাসস্থল। নদীর পাড়েই নিবিড় পর্যবেক্ষণে কাটে সময়। নদীতে মা মাছের আনাগোনা দেখে তারা খুশিতে উদ্ববেলিত হয়। বৃহত্তর পরিসরে হালদাকে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননকেন্দ্র বলা হয়। প্রতিবছর এ সময়ের জন্য অপেক্ষা করেন জেলে ও ডিম সংগ্রহকারীরা।



স্থানীয় এক বন্ধুর আমন্ত্রণে ২০০৮ সনে হালদা নদীতে মাছের ডিম সংগ্রহ অভিযান দেখতে গিয়েছিলাম। তখন খুব কাছে থেকে দেখেছিলাম মাছের ডিম সংগ্রহের আনন্দমুখর পরিবেশ। স্থানীয় জেলে/ ডিম সংগ্রহকারীদের কাছে শুনেছি- একই মা মাছ বছরের পর বছর শুধু ডিম ছাড়তেই এখানে আসে। ডিম ছাড়া শেষে আবার ফিরে যায় অন্যত্র। সচারাচর ডিম সংগ্রকারীর কখনো মা মাছ শিকার করেনা। তবে ইদানীং কিছু প্রভাবশালী অসৎ লোক গোপনে মা মাছ শিকার করছে।



এখানকার অভিজ্ঞ ডিম শিকারিরা মাছের ডিম দেখেই বলতে পারেন - যে মাছগুলো ডিম দিয়েছে কোন মাছ কতো বছর যাবত ডিম দিচ্ছে, কিম্বা প্রথমবার ডিম দিয়েছে! এখানকার নারী কর্মী এবং শিশুরা মাছের প্রকার অনুযায়ী ডিম আলাদা করার কাজ করে। হালদার মাছ গবেষকগণ বলেন, কোনো কোনো মাছ জীবনে ৫০/৬০ লক্ষ টাকার ডিম দিয়ে থাকে।



২০০৮ সনে যখন এসেছিলাম তখন অনেক ছবি তুলেছিমা- যা এখন আর সংগ্রহে নাই। হালদা নদী বাংলাদেশের পূর্ব-পাহাড়ি অঞ্চলের খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১০৬ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১৩৪ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার।
হাটহাজারী-রাউজান-ফটিকছড়ি উপজেলা সীমানা দিয়ে বয়ে যাওয়া হালদা নদী। প্রথম কয়েক দিন মা মাছ নমুনা ডিম ছাড়তে শুরু করে। হ্যাচারি পোনার চেয়ে হালদার পোনা দ্রুত বর্ধনশীল বলে এ পোনার কদর সারাদেশে। ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম সংগ্রহ করে তা থেকে রেণু ফুটিয়ে বিক্রি করেন। রেণুর আয় দিয়ে পুরো বছর জীবিকা নির্বাহ করেন তারা। প্রতি কেজি রেনু বিক্রি হয় ১ লাখ ২০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকায়।

(ছবি সংগ্রহ করেছি দৈনিক প্রথম আলো থেকে)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৮
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আসেন জুলাই/ আগস্টের মিনি পোস্ট মোর্টেম করি।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:২৪





গল্প শুনেন বলি-

আমরা পড়ালেখা গুছগাছ কইরে চাকরীতে ঢুকছি।হঠাৎ বন্ধু গো ইমেইলের গ্রুপে মেসেজ (নাম ধরেন রফিক), রফিক যে পাড়ায় (রেড লাইট এরিয়া) যাইতো সেখানের একজন সার্ভিস প্রোভাইডাররে বিয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

কবিতাঃ হে বলবান

লিখেছেন ইসিয়াক, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪০

কে আছিস বলবান!
হ্ আগুয়ান।
দে সাড়া দে ত্বরা।
ধরতে হবে হাল,বাইতে হবে তরী, অবস্থা বেসামাল।

জ্বলছে দেখ প্রাণের স্বদেশ
বিপর্যস্ত আমার প্রিয় বাংলাদেশ।
মানবিকতা, মূল্যবোধ, কৃষ্টি, সভ্যতা, সংস্কৃতির বাতিঘর।
সর্বত্র আজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

জুলাইয়ের তথাকথিত আন্দোলন পুরোটা ছিল মেটিকিউলাস ডিজাইন

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১৬

জুলাইয়ের তথাকথিত আন্দোলনের পুরোটা ছিল মেটিকিউলাস ডিজাইন

লালবদর নীলা ইস্রাফিল এখন বলছেন ও স্বীকার করছেন যে—
জুলাইয়ের সবকিছুই ছিল মেটিকিউলাস ডিজাইন।
মুগ্ধের হত্যাও সেই ডিজাইনের অংশ।

অভিনন্দন।
এই বোধোদয় পেতে দেড় বছর লাগলো?

আমরা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

তারেক ৩০০০ কোটী টাকার লোভেই দেশে ফিরেছে

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১০



তারেক এসেছে, বলেছে, I have a plan; তারেকের প্ল্যানটা কি? এই মহুর্তে তার প্ল্যান হতে পারে, নমিনেশন বাণিজ্য করে কমপক্ষে ৩০০০ কোটি টাকা আয়। ৩০০ সীটে গড়ে ১০... ...বাকিটুকু পড়ুন

বই : টক অব দ্য টাউন

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৮

বই : টক অব দ্য টাউন



একটি বই হঠাৎ করে এতটা আলোচনায় আসবে আমরা কি ভাবতে পেরেছি ?
বাংলাদেশের মানুষ অতি আবেগপ্রবন , বর্তমান রাজনৈতিক অস্হিরতার মধ্যে ও
বাঙালীর স্বভাবসুলভ অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×