somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জুল ভার্ন
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

চা শ্রমিকদের আন্দোলন..........

১৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চা শ্রমিকদের আন্দোলন..........

"দুটি পাতা একটি কুড়ি"- কী সুন্দর শ্লোগান!
যদি এই সুন্দর শ্লোগানের সাথে যোগ করা হয়-
দুটি পাতা একটি কুড়ি
'শুনতে কী পাও- চা শ্রমিকদের আহাজারি?'



চা, চা বাগান এবং চা শ্রমিকদের জীবন নিয়ে ২০০৮ সনে আমি ৪ পর্বের একটা ধারাবাহিক লিখেছিলাম এই ব্লগেই। এর পরেও বিভিন্ন সময় চা নিয়ে বেশ কয়েকটা পোস্ট দিয়েছি। আমরা পত্রিকায় পড়েছি, বেশ কিছুদিন যাবত চা শ্রমিকরা তাদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করছেন। স্বাধীনতার পর এক টাকা দুই আনা মজুরি পেত শ্রমিকরা। পরে সেটা বেড়ে দৈনিক পাঁচ টাকা হয়। এভাবে মজুরি বাড়তে বাড়তে এখন একজন চা শ্রমিকের দৈনিক ১২০ টাকা হয়েছে। দুই পূজায় কোনো চা বাগানে হাফ এবং কোনো চা বাগানে ফুল বোনাস মিলে। সেই সাথে কিছু অধিকারও পেয়েছে চা শ্রমিকরা। কিন্তু বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে সমন্বয় করলে তাতে সংসার চালানেই দায় বলে জানান শ্রমিকরা। দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে গেলেও চা শ্রমিকদের দুর্দশা বঞ্চনা আর কৃতদাসের জীবন সেই শুরু থেকেই। পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন হলেও চা বাগান যেন একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। এখানে পৌঁছে না আধুনিকতার আলো, মিলে না জীবন ধারণের ন্যুনতম সুযোগ সুবিধা।

ব্রিটিশ আমলে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থান থেকে দরিদ্র মানুষদের এনে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের টিলাভূমিতে চা বাগানের সূচনা করা হয়। সীমাহীন দারিদ্রতার মধ্যে দিয়ে এসব শ্রমিককে সেখানে কাজ করতে হতো। বাজারে প্রচলিত মুদ্রাও তখন তাদের কপালে জুটত না। বাগানে ব্যবহারের জন্য এক ধরনের বিশেষ মুদ্রা পেতেন শ্রমিকরা। সেই মুদ্রা বিনিময়ের জন্য তারা বাগানের বাইরে যেতে পারতেন না; বাগানেই তাদের জীবন কাটাতে হতো।


শতাব্দী পেরিয়ে এসে সেই নির্মমতা হয়তো এখন নেই। কিন্তু বঞ্চণার মধ্যেই বাঁচতে হয় উত্তরাধিকার সূত্রে কাজ পাওয়া চা শ্রমিকদের। চা বাগানে শ্রমিক ও তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে যে পাঁচ লাখের মতো মানুষ তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশের অধিক অবাঙালি। এদের জাতি পরিচয় অবাক করার মতো। সাম্প্রতিক সময়ে চা শ্রমিক হিসেবে যোগ দেয়া বাঙালি ৫ শতাংশের মতো আর বিহারি মুসলমান ৩ শতাংশের মতো। বাকিদের মধ্যে আছেন আদিবাসী ও নানা জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্টে (সেড) ২০১৪-১৬ সালে পরিচালিত জরিপ ফলাফল অনুসারে চা বাগানে ৮০টির মতো জাতিগোষ্ঠী আছে এবং তাদের মধ্যে প্রচলিত আছে ১৩টি ভাষা। তবে চা বাগানের শ্রমিক পরিবারগুলোর মধ্যে হিন্দু ধর্মবলম্বীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।

চা শ্রমিকরা চা পাতার ভর্তা খায়। কচি পাতাগুলো খুব কুচিকুচি করে তাতে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, সেদ্ধ আলু আর চানাচুর সরিষার তেল দিয়ে মাখানো হয়। গরম ভাত অথবা রুটির সাথে খায়। সুস্বাদু না। অথচ তারা প্রতিবেলায় খায় বিকল্প নাই বলেই খায়। তবুও তারা খায় কারণ দুইশো টাকা কেজি ব্রয়লার মুরগীর এই বেহেশতে একদিনে তাদের বেতন ১২০ টাকা। এক আঁটি শাক কিংবা এক কেজি সবজি কেনার চেয়ে চা পাতার ভর্তা দিয়ে দু'মুঠো ভাত খেয়ে ফেলাই তাদের জন্য সহজ।

আমার ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধু দেশের দুটো বিখ্যাত চা বাগানের উর্ধতন কর্মকর্তা হবার সুবাদে বিভিন্ন সময় বহুবার চা বাগানে টানা মাসাধিকাল অবস্থান করে চা বাগানের মূল প্রাণ চা শ্রমিকদের দুর্দশা যেমন দেখেছি তেমনি চা বাগান মালিক-কর্মকর্তাদের বিলাসবহুল জীবন যাপনও প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়েছি।

চা বাগানের উর্ধতন দুই বন্ধুদের একজন সরকারের মালিকানাধীন চা বাগানের জিএম, অন্যজন বৃটিশ মালিকানাধীন চা বাগানের জিএম। দুজনের কাছেই সরকারি ও বেসরকারী মালিকানাধীন চা বাগানের ভিন্ন ভিন্ন বৈষম্যের চিত্র পেয়েছি। বেতনের ক্ষেত্রে বেসরকারি /ব্যক্তিমালিকানাধীন বাগানে দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ১৪ টাকা বাড়িয়ে এখন হয়েছে ১৩৪ টাকা। সরকারি মালিকানাধীন বাগানে এখনো দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা। বোনাসের নিয়মঃ আগে বোনাস দেওয়া হতো ৪৭ দিনের মজুরির সমান। এখন দেওয়া হবে ৫২ দিনের। অর্থাৎ পাঁচ দিনের হাজিরার সমান অর্থ মূল বোনাসের সঙ্গে সংযুক্ত হবে- বছরে দুই বার ভাগ করে অথবা একবারে।
চা শ্রমিকদের সকল অভিযোগ অনেকটা স্বীকার করেই উভয় জিএম বলেন, চা চাষের গোড়াপত্তন থেকে এই জনগোষ্ঠীর কপালে জুটেছে শুধু অবহেলা-নির্যাতন। উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি তাদের জীবনযাত্রায়। মাত্র কয়েকটি বাগানে নামমাত্র চিকিৎসা সেবা দেয়া হলেও বেশিরভাগ বাগানে তা নেই।

বর্তমান সময়ে বাজারে ভোজ্য তেল, চাল, আটা, ডালের দাম ৫০% বেড়েছে। অথচ চা শ্রমিকদের বেতন সেই ১২০ টাকা। ব্যাপারটা একদিনে ১২০ টাকাও না। একজন চা শ্রমিক যদি দিনে ২৪ কেজি চা পাতা তুলতে পারে তাহলে সে পাবে ১২০ টাকা। বেশিরভাগ শ্রমিক ২৪ কেজি তুলতে পারেন না, গড়ে একজন শ্রমিক ১৪-১৫ কেজি পাতা তোলেন। বয়স্ক যারা তাদের চা পাতা তোলার পরিমাণ আরও কম। ফলে তারা পুরো টাকাটা পান না।

এই একজনের মাথার ওপরে রয়েছেন 'চার থেকে সাতজন খাওয়াইয়া'। এই টাকা দিয়ে সংসার পরিচালনা অবিশ্বাস্য। এই কারণে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে চা শ্রমিকরা। যদিও বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশীয় চা সংসদের আইন অনুযায়ী, "শ্রমিকদের বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, রেশন, পানীয় জলের ব্যবস্থা ও বোনাসসহ ন্যায্যমজুরি নিশ্চিত করবে বাগান মালিক। মজুরি বাড়ানোর জন্য প্রতি দুই বছর পর পর বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশীয় চা সংসদের মধ্যে সমঝোতা বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে উভয়ের আলোচনায় ঐক্যমতের পর চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এই চুক্তি অনুযায়ী, পরবর্তীতে দুই বছর শ্রমিকরা বেতন-ভাতাসহ অনান্য সুযোগ-সুবিধা পেয়ে যাবেন।"- এই নিয়ম শুধু চুক্তিতে আছে, প্রয়োগ নাই।

চা শ্রমিকদের সঙ্গে সবশেষ দ্বি-বার্ষিক চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। এর পরই বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশীয় চা সংসদের কাছে ২০ দফা দাবিনামায় ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরি দাবি করেন। এ নিয়ে দফায় দফায় এ পর্যন্ত ১৩টি বৈঠকও হয় দুই পক্ষের মধ্যে। কিন্তু দাবির বাস্তবায়ন হয়নি।


শ্রমিকদের প্রায় ৭০ শতাংশ নারী। ১২০ টাকা মজুরিতে তারা প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা কাজ করেন। ১২০ টাকার বেতন আর সপ্তাহে ৩ কেজি চাল বা আটা রেশন হিসেবে পান তারা। যা ৫/৬ জনের পরিবারে মৌলিক চাহিদা পূরণের অপূর্ণতার পাশাপাশি বেঁচে থাকার মত সুযোগও পাচ্ছেন না। ফলে শিশু মৃত্যু, মাতৃমৃত্যুসহ অপুষ্টির কারণে এখানে গড় আয়ুও কম। আর্থিক টানা পোড়ন নিয়ে জীবন কাটালেও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চা উৎপাদন ধরে রেখেছেন চা কন্যারা।

কাজের স্থানে নারী শ্রমিকদের জন্য কোনো শৌচাগার নেই। নেই বিশুদ্ধ পানি, বিশ্রামাগার কিংবা টয়লেট ব্যবস্থা। প্রতিটি বাগানে ডিসপেনসারি থাকার কথা এবং তাতে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও ৯০ শতাংশ বাগানে সেই সুবিধা নেই। ৭০/৮০ শতাংশ বাগানে নাম মাত্র থাকলে সেখানে প্যারাসিটামল আর নাপা ছাড়া কোন চিকিৎসা মিলেনা। চা শ্রমিকদের সর্বরোগের ঔষধ প্যারাসিটামল।

চা বাগানের নারী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করেছে নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফোরাম’ স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুসারে চা বাগানে নারীদের মধ্যে জরায়ূ ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের প্রার্দুভাব বেশি। বাগান ভেদে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ নারী জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকিতে আছেন।
দীর্ঘ ৮/১০ ঘণ্টা প্রস্রাব চেপে কাজ করতে হয়। এতে জরায়ু মুখ নেমে আসে। অধিকাংশ নারী এই সমস্যায় ভুগছে। চা বাগানে নারীদের গর্ভধারণের সংখ্যা অধিক। গর্ভবতী থাকা অবস্থায় একদিকে যেমন পরিমিত পুষ্টির অভাব, অন্যদিকে চা বাগানের কমিউনিটি ক্লিনিকে অনুন্নত ডেলিভারি ব্যবস্থা।

চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা দাবির আন্দোলন সমর্থন করি।

তথ্যসূত্রঃ সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের (সেড)
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৮
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=একটি ডায়াটের গল্প, যেভাবে ওজন কমিয়েছিলাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮


১৬ ডিসেম্বরের খাবার ছিল। উপরের চায়ের ছবিতে ফেসবুকের দুই গ্রুপে দুটো পুরস্কার পেয়েছি প্রতিযোগিতায় আলহামদুলিল্লাহ।

মোবাইলে পোস্ট, ভুল ত্রুটি থাকিতে পারে, মার্জনীয় দৃষ্টিতে রাখবেন।

জব করি বাংলাদেশ ব্যাংকে। সারাদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

'আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান'

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯



১। মার্টিন লুথার কিং ১৯৬৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।
আমাদের মহাত্মা গান্ধীর কর্মকান্ড লুথার খুবই পছন্দ করতেন। ১৯৫৫ সালে লুথার বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ফিলোসোফি ডিগ্রি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে ভারতের কি করণীয় ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৭


গত মে মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ফটোকার্ডে দেখানো হয়েছিল ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের তালিকা। তখন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলেও এখন পরিস্থিতি নতুন মোড় নিয়েছে। গত ১১... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৈয়দ কুতুবের পোষ্ট: ভারতের করণীয় কি কি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৩



বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য ভারতের করণীয় কি কি?

০) শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো।
১) বর্ডার থেকে কাঁটাতারের ফেন্চ তুলে নেয়া।
২) রাতে যারা বর্ডার ক্রস করে, তাদেরকে গুলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

খাম্বার পরবর্তী অধ‍্যায় ,নাকি ১০% বদল হবে‼️অমি খোয়াব ভবনে ঘুমিয়ে , হাওয়া ভবনের আতঙ্কে আতঙ্কিত॥

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৮



খালেদা জিয়ার অসুস্থতার নাটক ছিল তারেক জিয়ার দেশে ফেরার রাজনৈতিক ট্রাম্পকার্ড। কথায় আছে,' দুষ্টু লোকের মিষ্টি ভাষা '। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দূর্নীতিবাজ ও মাফিয়া গডফাদার তারেক রহমানের দেশে ফেরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×