কৃতজ্ঞ, অকৃতজ্ঞ ও কৃতঘ্নঃ
‘কৃতজ্ঞ’ হচ্ছে- যারা উপকারীর উপকার স্বীকার করেন। ‘অকৃতজ্ঞ’ হচ্ছে যারা উপকারীর উপকার স্বীকার করেন না। ‘কৃতঘ্ন’ হচ্ছে যারা উপকারীর উপকার স্বীকারতো করেনই না, বরং উপকারকারীর ক্ষতি করেন।
মানবজীবনে উপকারকারীর প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ থাকাটাই বাঞ্চনীয়। দুঃখ কষ্ট বিপদের সময় যারা উপকার করেন উনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন জীবনের অনেক মৌলিক গুণের একটি। তবে পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, কিছু মানুষের মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধের বড়ই অভাব। বরং অকৃতজ্ঞতাই দেখা যায়। অকৃতজ্ঞতা মোটামুটি মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু কৃতঘ্নতা মেনে নিতে নির্দোষ অন্তরে অনেক কষ্ট হয়। উপকারভোগী দ্বারা উপকারকারীর ক্ষতির বিষয়টি মহাদুর্ভাগ্যের বিষয়।
বিপদগ্রস্ত মানুষটাকে উপকার করার সময় উপকারকারীর একমাত্র চিন্তা- বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে সাহায্য করা। উপকারভোগী ব্যক্তি পরবর্তীতে কৃতজ্ঞতা, অকৃতজ্ঞতা ও কৃতঘ্নতা- কোন্ বিষয়টি দেখাবে সেটি উপকারকারীর মাথায় থাকে না এবং না থাকাটাই স্বাভাবিক। সেজন্য কারো উপকার করলে প্রতিদানের আশা না করে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করাই শ্রেয়। প্রতিদানের আশায় করা হলে কালের বিবর্তনে উপকারভোগী ব্যক্তি যদি অকৃতজ্ঞতা বা কৃতঘ্নতা দেখান তাহলে স্বাভাবিকভাবে মনে কষ্ট পাবেন। সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কারো উপকার করা হলে তেমন পরিস্থিতিতে কোন কষ্ট পাবেন না। বরং সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির জন্য কারো উপকার করলে নির্মম প্রতিদানের শিকার হলেও সৃষ্ট কষ্ট সৃষ্টিকর্তাই দূর করে দেন।
পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ যদি কৃতঘ্ন, অকৃতজ্ঞ হতেন তাহলে পুরা পৃথিবীটাই নরকে পরিণত হতো। স্রষ্টাকে অপরিসীম ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা তিনি অন্তত এই কাজটা এখনো পর্যন্ত করেননি। অকৃতজ্ঞতাও এক ধরনের ভালো, কিন্তু অকৃতজ্ঞতার সাথে কৃতঘ্নতা যোগ হলে মানুষের প্রতি মানুষের আর ভরসা করার সুযোগ থাকে না। তেমন অবস্থা যেনো মানব জীবনে কাউকে দেখতে না হয়।।
(একটা বিশেষ অবস্থায় এই লেখাটা লিখেছি কিন্তু বিস্তারিত প্রকাশ করতে পারছিনা)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




