somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জুল ভার্ন
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী তাওয়াক্কোল আব্দেল-সালাম কারমান.........

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী তাওয়াক্কোল আব্দেল-সালাম কারমান.........

নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী তাওয়াক্কোল আব্দেল-সালাম কারমান। যখন সাংবাদিকরা তার হিজাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন এবং কিভাবে এটি তার বুদ্ধি ও শিক্ষার স্তরের সাথে অনুপাত নয়।
তিনি উত্তর দিয়েছেন:
"প্রারম্ভিক সময়ে মানুষ প্রায় নগ্ন ছিল এবং তার বুদ্ধিবৃত্তিক বিবর্তিত হওয়ার সাথে সাথে তিনি পোশাক পরতে শুরু করেছিলেন আমি আজ যা আছি এবং আমি যা পরে আছি তা মানুষের অর্জন করা সর্বোচ্চ পর্যায়ের চিন্তা এবং সভ্যতার প্রতিনিধিত্ব করে, এবং এটি পিছুটান নয়। এটা আবার জামাকাপড় অপসারণ, এটাই প্রাচীন সময়ে ফিরে আসা।"

(Noble Peace Prize Winner "Tawakkul Abdel-Salam Karman", when asked about her hijaab by journalists and how it is not proportionate with her level of Intellect and education.
She replied:
"Man in early times was almost naked and as his intellect evolved, he started wearing clothes. What I am today and what I am wearing represents the highest level of thought and civilization that man has achieved, and its not regressive. Its the removal of the clothes again, that is the regression back to the Ancient Times.")


তাওয়াক্কোল আব্দেল-সালাম কারমান একজন ইয়েমেনের সাংবাদিক, রাজনীতিক এবং ইয়েমেনের আল-ইসলাহ রাজনৈতিক দলের একজন সদস্য। কারমান একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবেও দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। তিনি “উইমেন জার্নালিস্ট উইথআউট চেইন্স” নামক নারী সাংবাদিকদের একটি দলকে নেতৃত্ব দেন। ২০০৫ সালে তিনি এটি প্রতিষ্ঠা করেন। কারমান আন্তর্জাতিকাভাবে পরিচিত হয়ে উঠেন ২০১১ সালের ইয়েমেন বিদ্রোহের সময়। তাকে “লৌহ মানবী” ও “বিদ্রোহের মাতা” বলে অভিহিত করে ইয়েমেনের জনগণ। তিনি ২০১১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করেন। তিনিই প্রথম ইয়েমেনীয় ও প্রথম আরবীয় নারী হিসেবে এই পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি দ্বিতীয় মুসলিম নারী এবং দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে নোবেল শান্তি পদক লাভ করেন।
২০০৫ সালে সাংবাদিক হিসেবে কারমান ইয়েমেনে পরিচিত হয়ে উঠেন। তখন তিনি একটি মোবাইল ফোন সংবাদ সেবার মুখপাত্র ছিলেন, ২০০৭ সালে এই সেবাটির লাইসেন্স বাতিল করা হয়। এরপর তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন শুরু করেন। এছাড়া কারমান আরব বিদ্রোহের স্বপক্ষেও আন্দোলন করেন। তিনি ইয়েমেনীয় রাষ্ট্রপতি আলী আবদুল্লাহ সালেহ-এর বিপক্ষে প্রবল প্রতিবাদী হয়ে উঠেন।


কারমান ১৯৭৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ইয়েমেনের মেখলাফে জন্মগ্রহণ করেন। মেখলাফ তাইজ শহরের নিকটেই। তাইজ ইয়েমেনের তৃতীয় বৃহত্তম শহর এবং এখানে অনেক প্রখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কারমান তাইজ শহরেই শিক্ষাগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দেল সালাম কারমান, তিনি একজন আইনজীবী এবং রাজনীতিক। আব্দেল সালাম একসময় ইয়েমেন সরকারের আইন বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। তাওয়াক্কোল কারমানের এক ভাই, তার নাম তারিক কারমান। তারিক কারমান ইয়েমেনের প্রখ্যাত কবি। তাওয়াক্কোল কারমানের বোনের নাম সাফা কারমান, যিনি আল-জাজিরার সাংবাদিক। কারমানের স্বামীর নাম মোহাম্মেদ আল-নাহমী। তাদের তিন সন্তান।

কারমান ব্যবসা শিক্ষায় স্তাতক এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেছেন। ২০১২ সালে তিনি কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ আলবার্টা থেকে আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন।

২০১০ সালে একটি প্রতিবাদ সভায় একজন মহিলা কারমানকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা করেন, তবে কারমানের সমর্থকরা সেটা প্রতিহত করেন। তারিক কারমানের উদ্ধৃতি থেকে জানা যায়, একজন প্রবীণ ইয়েমেনীয় আমলা তার বোন তাওয়াক্কোল কারমানকে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে হত্যার হুমকি দিয়েছিল এবং তাকে প্রতিবাদ সভায় অংশগ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ থাকতে বলে।

কারমন পরিবারের পূর্ব পুরুষরা তুরস্কের আনাতোলিয়ার কারামান নামক অঞ্চলে থাকতেন। তুরস্ক সরকার কারমনকে তুরস্কের নাগরিকত্ব প্রদান করে, কারমান ২০১২ সালের অক্টোবরে আনুষ্ঠানিকভাবে এই নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।

তথ্যসূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া, বায়োগ্রাফি এবং একটা ছবি উইকিপিডিয়া এবং স্যোশাল মিডিয়া।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:২২
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভোটের পর, আমরা পাকীদের বুটের নীচে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩২



পাকীরা অমানুষ, অপসংস্কৃতির ধারক ও বাহক; ওরা ২টি জাতিকে ঘৃণা করে, ভারতীয় ও বাংগালীদের; ওরা মনে করে যে, বাংগালীদের কারণেই পাকিরা হিন্দুদের কাছে পরাজিত হয়েছে ১৯৭১... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফুড ফর থট!!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৫



একটা বিশাল আলোচনাকে সংক্ষিপ্ত আকার দেয়া খুবই কঠিন, বিশেষ করে আমার জন্যে। তারপরেও বর্তমান পরিস্থিতিতে ভাবলাম কিছু কথা বলা উচিত। দেশের আভ্যন্তরীন বা আঞ্চলিক রাজনীতিতে ক্রমাগত বড় বড় ভূমিকম্প... ...বাকিটুকু পড়ুন

তারেক রহমান আসবে, বাংলাদেশ হাসবে?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩৮


আমি যখন স্কুলে পড়তাম, দুপুরের শিফটে ক্লাস ছিল। একদিন স্কুলে যাওয়ার আগে দেখি ছোটো মামা সংসদ টিভিতে অধিবেশন দেখছেন। কৌতূহল হলো, মামা এত মনোযোগ দিয়ে কী দেখছেন। আমিও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামে কোনটি মত এবং কোনটি মতভেদ?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৫৪




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=একটি ডায়াটের গল্প, যেভাবে ওজন কমিয়েছিলাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮


১৬ ডিসেম্বরের খাবার ছিল। উপরের চায়ের ছবিতে ফেসবুকের দুই গ্রুপে দুটো পুরস্কার পেয়েছি প্রতিযোগিতায় আলহামদুলিল্লাহ।

মোবাইলে পোস্ট, ভুল ত্রুটি থাকিতে পারে, মার্জনীয় দৃষ্টিতে রাখবেন।

জব করি বাংলাদেশ ব্যাংকে। সারাদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×