somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জুল ভার্ন
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

সন্তানকে মানুষ করা মানে কি?

০৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সন্তানকে মানুষ করা মানে কি?

ছেলে-মেয়েদেরকে 'মানুষ' করা মানে শুধু ভাল স্কুলে রেখে পড়াশোনা শিখিয়ে স্বাবলম্বী করে দেওয়া নয়; ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার অথবা বড় কোনো পেশাদার বানিয়ে রোজগেরে করে দেওয়াও নয়; মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের মধ্যে বাঁচতে শেখানোটাও ছেলে-মেয়েদেরকে মানুষ করার মধ্যেই পড়ে। সামাজিক জীব মানুষ যদি সামাজিক সৌজন্যতাই না জানল, যদি আন্তরিকতা-সহমর্মিতাই না জানল, তো সে কিসের মানুষ? একটা ছেলে অথবা একটা মেয়ে পড়াশোনাতে যত তুখোড়ই হোক, পেশাদারী জীবনে যত সফলই হোক, মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের মধ্যে বাঁচতে না শিখলে সে একপ্রকার অমানুষই থেকে যায়। কাণ্ডজ্ঞান হোক সকলের।

একটি শিশুর প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্র হচ্ছে তার পরিবার। বড় হয়ে সে যে পরিবেশেই শিক্ষা নিতে যাক কেন পারিবারিক শিক্ষার একটা প্রভাব তার মধ্যে সবসময় পরিলক্ষিত হয়। তাই প্রত্যেক মা বাবারই সন্তান প্রতিপালনে কিছু কথা মেনে চলা উচিত। যেমন-
সন্তানকে নিয়ন্ত্রিত আবেগের সঙ্গে লালনপালন করা:
মা-বাবা সন্তানকে খুব বেশি ভালোবাসবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সে ভালোবাসা যেন তার নিজের এবং অন্যের জন্য ক্ষতিকারক না হয় তা মনে রাখা উচিত। অতিরিক্ত আদরে সে যেন অন্যায় কোনো আবদার না করে বসে। তাই ছোটবেলা থেকেই তার এবং আপনার নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন।

অধিক শাসন করা থেকে বিরত থাকুন:
কখনোই সন্তানকে অতিরিক্ত শাসন করা উচিত নয়, কারণ অতিরিক্ত শাসন তাকে আপনার থেকে দূরে ঠেলে দেবে। আর সে আপনার কাছে সব কিছু লুকানোর চেষ্টা করবে, যা হয়তো আপনার সন্তানকে নিয়ে যেতে পারে কঠিন পরিণতির দিকে। সেক্ষেত্রে পারিবারিক সামাজিকবোধগুলো নিজেদের মধ্যে শেয়ার করুন।

বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করুন:
আপনিই হতে পারেন আপনার সন্তানের সবচেয়ে প্রিয় আর বিশ্বস্ত বন্ধু। অবসর সময়ে তার সঙ্গে আড্ডা দিন। খোঁজখবর নিন তার লেখাপড়া আর সহপাঠীদের সম্পর্কে। মাঝে মাঝে তাকে নিয়ে ঘুরতে যান। তাহলে সে আপনার সঙ্গে সহজ হতে পারবে আর সব কিছু শেয়ার করতে পারবে।

বড়দের শ্রদ্ধা আর ছোটদের স্নেহ করতে শেখান:
আপনার সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই বড়দের সম্মান আর ছোটদের আদর করতে শেখান। আর এ শিক্ষাটা তার পরিবার থেকেই শুরু করুন। পরিবারের বড়দের কথা মেনে চলা, ছোট ভাই বোনদের সঙ্গে জিনিসপত্র শেয়ার করার মানসিকতা পারস্পরিক সৌহার্দ্যতা বাড়ায়।

শৃঙ্খলা মেনে চলতে শেখান:
সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই উৎসাহ দিন নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলতে। অনেকেই এটাকে পরাধীনতা মনে করে। আসলে নিয়ম মেনে চলা পরাধীনতা নয়। শৃঙ্খলা মানে হচ্ছে জীবনকে গুছিয়ে চলা, যা জীবনকে আরও সুন্দর ও পরিপাটি করে তুলে। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা এবং রাখা।

সন্তানকে নীতিগত শিক্ষা দিন:
ছোটবেলা থেকেই সন্তানকে নীতিগত শিক্ষা দিন। কখনোই সন্তানকে অন্যায় করতে উৎসাহ দেওয়া উচিত নয়। কারণ অন্যায়ের পরিণতি সব সময় খারাপ হয়। ভালো এবং মন্দের পার্থক্য বুঝতে, শিখতে দিন।

সন্তানকে যথাযথ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন:
অনেক বাবা-মা আছেন যারা অতিরিক্ত আবেগে ভুলে যান যে, তার সন্তান শুধু পারিবারিক গণ্ডিতেই জীবন পার করবে না। তাকে বড় হয়ে অনেক কিছু সামাল দিতে হবে। তাই আপনার সন্তানকে স্বাবলম্বী ও যথাযথ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন। অন্য শিশুদের সাথে খেলাধূলা এবং মেলামেশার সুযোগ দিন।

টেকনোলজির শিক্ষা দিন সচেতনতার সঙ্গে:
বর্তমান সময়ে আধুনিক টেকনোলজি সম্পর্কে জানা খুব জুরুরি। তবে টেকনোলজি মানেই- দিনভর ভিডিও গেম আর কার্টুন দেখা নয়। কিন্তু আমাদের তরুণ সমাজ বেশির ভাগ সময়েই তার অপব্যবহার করে থাকে। তাই টেকনোলজির ব্যবহার সম্পর্কে আপনার সন্তানকে সচেতন করে তুলুন।

পরিশ্রমী হতে উৎসাহিত করুন:
অনেক মা-বাবাই ভাবেন আমার সন্তান কেন কষ্ট বা পরিশ্রম করবে। একটু ভেবে দেখুন, সে যে পরিশ্রম করবে বা করছে তার সুফল সে নিজেই উপভোগ করবে। যার ফলে সে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবে আর মানসিক প্রশান্তি পাবে। তাই সন্তানকে পরিশ্রম করতে উৎসাহ দিন। তার জীবন তাকেই উপভোগ করতে দিন। আপনার ইচ্ছে আর স্বপ্ন সন্তানের ওপর চাপিয়ে দেবেন না। যে ধরণের খেলাধূলায় কায়িক পরিশ্রম আছে- সেই ধরণের খেলাধূলায় উতসাহিত করুন।

এখন একটা সামাজিক শ্লোগান হচ্ছে- “আপনার শিশুকে না বলবেন না”!
এই বিষয়ে আমার ভিন্নমত আছে। অনেক আহ্লাদী মায়েরা তাদের সন্তানদের ছোটবেলায় শাসন করতে চান না। বলেন, “ও তো এখনো ছোট, বড় হলে ঠিক হয়ে যাবে”। কিন্তু ছোটবেলা থেকে একটা শিশুকে ন্যায়-অন্যায়ের মানদন্ড যদি বাবামা না শেখায় তবে সে “ঠিক” হবে কি করে? একটা শিশু বেড়াতে গিয়ে অন্যের ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর করবে, আর শিশুটির মা মিষ্টি হাসি দিয়ে বলব, “ছোটবাচ্চা, ঠিক হয়ে যাবে?- কক্ষনো নয়!

আগুন দেখতে সুন্দর কিন্তু তা ধরলে হাত পুড়ে যায়- এই শিক্ষা শিশু বয়সেই শিখাতে, বোঝাতে হবে। মাঝে মাঝে ছোট ছোট বিপদের কাছাকাছি যেতে দিয়ে শিশুকে সচেতনতা শেখানো যায়। এতে সে বৃহত্তর বিপদ থেকে রক্ষা পায়। Responsibility বিষয়টা সবাইকে ছোটবেলা থেকেই শেখানো উচিত। একইভাবে এটাও নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন যে আমাদের শিশুরা টিভিতে কি দেখছে। Almost 70 of the Tom and Jerry cartoon shows that Tom is extensively addicted to the opposite sex. And he reacts strangely when he sees anyone of the opposite sex. Guardians are not weary of what it represents but the kids are watching this very easily with family! শিশুকে যে ধরণের রুচি দিয়ে বড় করা হবে তাই শিশুর ভালো মনে হবে।


(পুরনো পোস্ট নতুন করে)
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারো বলছি দেশে জঙ্গী নেই উহা ছিল আম্লিগ ও ভারতের তৈরী

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৮


আওয়ামী নস্টালজিয়ায় যারা অন্তরের ভিতর পুলকিত বোধ করে তাদের কাছে বাংলাদেশ মানেই হলো জঙ্গী, অকার্যকর অথবা পাকিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্র। ৩৬ জুলাই পরবর্তী মহা-গণবিস্ফােরনকে কোনাভাবেই মানতে পারেনি তারা ভয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী-লীগের ছায়া দায়িত্ব নিয়ে তারেক জিয়া এখন দেশে

লিখেছেন অপলক , ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৬



সংবাদের টাইটেল অনেক কিছু বলে দেয়। ভেতরেটা না পড়লেও চলে। বস্তুত: এতদিন ধরে ভারতের গ্রীন সিগনাল পাচ্ছিলেন না, তাই তারেক জিয়া দেশে আসার সময় বারবার পিছাচ্ছিলেন। এখন চুক্তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভোটের পর, আমরা পাকীদের বুটের নীচে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩২



পাকীরা অমানুষ, অপসংস্কৃতির ধারক ও বাহক; ওরা ২টি জাতিকে ঘৃণা করে, ভারতীয় ও বাংগালীদের; ওরা মনে করে যে, বাংগালীদের কারণেই পাকিরা হিন্দুদের কাছে পরাজিত হয়েছে ১৯৭১... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফুড ফর থট!!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৫



একটা বিশাল আলোচনাকে সংক্ষিপ্ত আকার দেয়া খুবই কঠিন, বিশেষ করে আমার জন্যে। তারপরেও বর্তমান পরিস্থিতিতে ভাবলাম কিছু কথা বলা উচিত। দেশের আভ্যন্তরীন বা আঞ্চলিক রাজনীতিতে ক্রমাগত বড় বড় ভূমিকম্প... ...বাকিটুকু পড়ুন

তারেক রহমান আসবে, বাংলাদেশ হাসবে?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩৮


আমি যখন স্কুলে পড়তাম, দুপুরের শিফটে ক্লাস ছিল। একদিন স্কুলে যাওয়ার আগে দেখি ছোটো মামা সংসদ টিভিতে অধিবেশন দেখছেন। কৌতূহল হলো, মামা এত মনোযোগ দিয়ে কী দেখছেন। আমিও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×